
MD. Razib Ali
Senior Reporter
হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ ও তাৎক্ষণিক চিকিৎসা: জীবনের বাঁচানোর উপায়

নিজস্ব প্রতিবেদক: হৃদরোগ এমন একটি অবস্থা যেখানে হৃদপিণ্ডের পেশীতে রক্ত সরবরাহ হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে যায়, সাধারণত রক্ত জমাট বাঁধার কারণে। এ অবস্থায়, অনেক মানুষ সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন, তবে হার্ট অ্যাটাকের সবচেয়ে গুরুতর ঝুঁকি থাকে, যার ফলে হৃদস্পন্দন বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটতে পারে, যা “কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট” হিসেবে পরিচিত।
যদি কারও হার্ট অ্যাটাক হয়, তবে তাকে দ্রুত সাহায্য করা এবং জরুরি সেবা (৯৯৯ বা ১১২ নম্বরে) কল করা অত্যন্ত জরুরি। যারা এনজাইনা নামক বুকে ব্যথায় ভোগেন, তাদের হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। এনজাইনা হলো বুকে ভারী হওয়া বা চাপা ব্যথার অনুভূতি, যা অনেক সময় তীব্র অস্বস্তি সৃষ্টি করে।
আরও পড়ুন:
গ্যাস্ট্রিক নাকি হার্ট অ্যাটাক? ভুল বুঝলে হতে পারে মারাত্মক বিপদ!
যদি কাউকে এনজাইনার সমস্যা থাকে এবং তারা বিশ্রাম নিয়ে ওষুধ গ্রহণ করলে কিছু মিনিটের মধ্যে ব্যথা কমে যায়, তবে এটি সাধারণত গম্ভীর কিছু নয়। তবে যদি ব্যথা কম না হয়, তাহলে এটি হার্ট অ্যাটাক হতে পারে বলে ধরে নেওয়া যায়। হার্ট অ্যাটাকের সময় যে লক্ষণগুলি দেখা দিতে পারে, তা হলো:
বুকে তীব্র ব্যথা, যা চোয়াল, ঘাড়, বা বাহুতে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
শ্বাসকষ্ট এবং পেটের অস্বস্তি।
তীব্র বদহজম বা সারা শরীরে চাপ অনুভব করা।
হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে যাওয়া বা মাথা ঘোরা অনুভূতি।
আসন্ন ধ্বংসের অনুভূতি।
ঠোঁট নীলচে হয়ে ফ্যাকাশে ত্বক।
দ্রুত, দুর্বল বা অনিয়মিত নাড়ির স্পন্দন, ঘাম এবং হাঁপানো।
যদি আপনি এই ধরনের লক্ষণ দেখতে পান, তবে অবিলম্বে ৯৯৯ বা ১১২ নম্বরে কল করুন এবং জানান যে আপনি মনে করেন তারা হার্ট অ্যাটাকের শিকার। ফোন করার পর, আক্রান্ত ব্যক্তিকে দ্রুত আরামদায়ক অবস্থানে বসানোর চেষ্টা করুন। সবচেয়ে ভালো অবস্থান হলো, মাথা ও কাঁধ ধরে মেঝেতে বসে হাঁটু বাঁকানো। তাদের পিছনে এবং হাঁটুর নীচে কুশন রাখুন যাতে তারা আরামদায়কভাবে বিশ্রাম নিতে পারে।
এছাড়া, যদি তাদের কাছে এনজাইনার ওষুধ থাকে, তবে সেটি খেতে সাহায্য করুন এবং তাদের ৩০০ মিলিগ্রাম অ্যাসপিরিন ট্যাবলেট দিন। তবে, ১৬ বছরের কম বয়সী কাউকে অ্যাসপিরিন দেওয়া উচিত নয়। যদি তারা এনজাইনার ওষুধ খেতে পারে, তাহলে সেটি সঠিকভাবে গ্রহণ করতে সাহায্য করুন।
হতাশ হয়ে যাওয়ার পরিবর্তে, তাদের শ্বাস-প্রশ্বাস, নাড়ি এবং প্রতিক্রিয়ার মাত্রা পর্যবেক্ষণ করুন। সাহায্য আসা পর্যন্ত শান্ত থাকার চেষ্টা করুন। যদি তারা কখনো অসহায় হয়ে পড়েন, তাহলে তাদের শ্বাসনালী খুলে শ্বাস-প্রশ্বাস পরীক্ষা করুন এবং প্রাথমিক চিকিৎসা প্রয়োগের জন্য প্রস্তুত থাকুন, বিশেষত সিপিআর প্রয়োগের প্রয়োজন হতে পারে।
মনে রাখবেন, হার্ট অ্যাটাকের সময় দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া একেবারে গুরুত্বপূর্ণ। তাই, যদি আপনি মনে করেন যে কেউ হার্ট অ্যাটাকের শিকার হচ্ছে, তাহলে দ্রুত ৯৯৯ বা ১১২ নম্বরে কল করুন এবং জরুরি সাহায্যের জন্য অপেক্ষা করুন।
এভাবে আপনি হার্ট অ্যাটাকের শিকার কোনও ব্যক্তির সাহায্য করতে পারবেন এবং তাদের জীবন বাঁচানোর জন্য জরুরি পদক্ষেপ নিতে পারবেন।
মো: রাজিব আলী/
পাঠকের মতামত:
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- শেয়ারবাজারে কারসাজির চক্র: দুর্বল কোম্পানির শেয়ারের দামে অস্বাভাবিক উল্লম্ফন
- ৩ কোম্পানির কারখানায় ঝুলছে তালা, ক্ষোভ বাড়ছে বিনিয়োগকারীদের
- শেয়ারবাজার স্থিতিশীলতায় আইসিবির বিশেষ তহবিল থাকবে ২০৩২ সাল পর্যন্ত
- ৮ প্রতিষ্ঠানের লভ্যাংশ ঘোষণা, ছয় কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা খেলো ধাক্কা
- শেষ হলো বাংলাদেশ বনাম অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্সের বাঁচা মরার ম্যাচ
- রপ্তানি আয়ের ৮ হাজার কোটি টাকা গায়েব: কেয়া গ্রুপ ও চার ব্যাংককে তলব
- এশিয়া কাপ ২০২৫: তিন ওপেনার নিয়ে বাংলাদেশের চূড়ান্ত স্কোয়াড ঘোষণা
- ভারত বনাম বাংলাদেশ : ৯০ মিনিটের খেলা শেষ, জেনে নিন ফলাফল
- ভারত বনাম বাংলাদেশ: গোল, গোল, ৮০ মিনিটের খেলা শেষ
- বদলে গেল ফোনের ডায়াল প্যাড, জানুন আসল কারণ ও আগের অবস্থায় ফেরানোর উপায়
- শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত পাঁচটি প্রতিষ্ঠান বোর্ড সভার তারিখ ঘোষণা
- বীমা খাতে সুবাতাস, দ্বিতীয় প্রান্তিকে ১৯ কোম্পানির মুনাফায় উল্লম্ফন
- বদলে গেল আপনার ফোনের ডায়াল প্যাড, আতঙ্ক নয় সমাধান আছে, জেনে নিন
- এশিয়া কাপ 2025 : বাংলাদেশের চুড়ান্ত স্কোয়াড ঘোষণা করলো বিসিবি
- গুজব না সত্য: যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা হাসিনার পদত্যাগপত্র খুঁজে পায়নি