
Alamin Islam
Senior Reporter
ভিটামিন ঘাটতি বাড়ায় মৃত্যুঝুঁকি: জেনে নিন ৪ নীরব ঘাতক

নিজস্ব প্রতিবেদক:
এই ৪ ভিটামিনের ঘাটতিতে বাড়ে মৃত্যুর ঝুঁকি, আপনি কতটা নিরাপদ?
খাবার খাচ্ছেন নিয়মিত, অথচ শরীর ঠিক নেই। ক্লান্তি, ব্যথা, মন খারাপ—এসব আমরা হেলাফেলায় নিই। অথচ এগুলো হতে পারে মারাত্মক ভিটামিন ঘাটতির লক্ষণ, যেখান থেকে শুরু হয় ধীরে ধীরে মৃত্যুর পথে যাত্রা।
সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, নির্দিষ্ট কিছু ভিটামিনের অভাব শরীরে ভয়াবহ প্রভাব ফেলে—স্নায়ু বিকল থেকে শুরু করে অন্ধত্ব বা হার্ট অ্যাটাক পর্যন্ত হতে পারে। নিচে এমন চারটি ভিটামিনের বিষয়ে আলোচনা করা হলো, যেগুলোর ঘাটতি সবচেয়ে বেশি প্রাণঘাতী।
১. ভিটামিন বি১২: স্নায়ু ক্ষয়, স্মৃতিভ্রংশ ও হৃদরোগের ঝুঁকি
ভিটামিন বি১২ মূলত রক্ত তৈরিতে ও স্নায়ুতন্ত্রের সঠিক কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ। এর অভাবে মারাত্মক রক্তশূন্যতা ও স্নায়ু ক্ষতি দেখা দিতে পারে। শুরুতে ক্লান্তি, হাত-পায়ে ঝিনঝিন ভাব দেখা যায়, পরে মানসিক বিভ্রান্তি ও স্মৃতিভ্রংশও হতে পারে।
আরও পড়ুন:
রসুন খাওয়ার ৭টি অজানা উপকারিতা যা আপনি জানেন না
রসুনের গুণে ক্যানসারের ঝুঁকি কমবে, জানুন কিভাবে
লক্ষণ: দুর্বলতা, ঝিনঝিন ভাব, স্মৃতিভ্রান্তি
ঝুঁকি: স্নায়ু বিকল, হৃদরোগ, মৃত্যু
প্রতিরোধ: মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, প্রয়োজনে সাপ্লিমেন্ট
২. ভিটামিন ডি: হাড় দুর্বলতা থেকে ক্যান্সার পর্যন্ত
ভিটামিন ডি মূলত হাড়ের গঠনে সহায়ক, তবে এর প্রভাব আরও গভীর। এর অভাবে হাড় দুর্বল হয়ে ফ্র্যাকচারের ঝুঁকি বাড়ে, সঙ্গে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাও কমে যায়। বিষণ্নতা, বারবার সংক্রমণ ইত্যাদিও এই ঘাটতির ইঙ্গিত হতে পারে।
লক্ষণ: হাড় ও পেশির ব্যথা, মন খারাপ, সংক্রমণ
ঝুঁকি: ফ্র্যাকচার, হৃদরোগ, ক্যান্সার, মৃত্যু
প্রতিরোধ: সূর্যের আলো, চর্বিযুক্ত মাছ, ডিম, দুধ
৩. ভিটামিন বি১ (থায়ামিন): ছোট ভুলে বড় বিপদ
থায়ামিন বা ভিটামিন বি১-এর অভাবে বেরিবেরি রোগ হয়, যা হৃদপিণ্ডের কার্যক্রমে প্রভাব ফেলে। শ্বাসকষ্ট, পেশি দুর্বলতা ও হৃদস্পন্দনের গতি বেড়ে যাওয়া এর প্রাথমিক লক্ষণ। সময়মতো ব্যবস্থা না নিলে হৃদযন্ত্র বিকল হয়ে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
লক্ষণ: পেশি দুর্বলতা, বুক ধড়ফড়, শ্বাসকষ্ট
ঝুঁকি: হৃদযন্ত্রের ব্যর্থতা, মৃত্যু
প্রতিরোধ: বাদাম, শাকসবজি, পূর্ণ শস্য, মাছ ও মাংস
৪. ভিটামিন এ: শিশুদের অন্ধত্বের প্রধান কারণ
বিশ্বের অনেক উন্নয়নশীল দেশে ভিটামিন এ-এর অভাব শিশুদের অন্ধত্বের প্রধান কারণ। এটি রাতকানা, ত্বকের শুষ্কতা ও সংক্রমণের প্রবণতা বাড়ায়। শিশুদের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয় এবং রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়।
লক্ষণ: রাতকানা, শিশুদের বৃদ্ধি ব্যাহত
ঝুঁকি: অন্ধত্ব, শিশু মৃত্যুহার বৃদ্ধি
প্রতিরোধ: গাজর, পালং শাক, মাছের তেল, ভিটামিন এ ক্যাপসুল
করণীয়
প্রতিদিন সুষম ও পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করুন
সূর্যালোকের যথাযথ ব্যবহার করুন
রক্তে ভিটামিন মাত্রা পরীক্ষা করুন
চিকিৎসকের পরামর্শে ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করুন
ভিটামিনের ঘাটতিকে অবহেলা না করে গুরুত্ব দিন। শরীরের ছোট ছোট সংকেত উপেক্ষা করলে তা বড় বিপদের রূপ নিতে পারে। সচেতনতা ও সময়মতো ব্যবস্থা গ্রহণই হতে পারে জীবন রক্ষার উপায়।
আপনার একটি সচেতন পদক্ষেপই বদলে দিতে পারে ভবিষ্যৎ।
আল-আমিন ইসলাম/
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কা: বৃষ্টির কারণে বন্ধ ম্যাচ
- আলোচিত ১০ সিনেমা যেখানে নায়ক-নায়িকা সত্যি মিলিত হয়েছেন
- ভারতের সাবেক স্পিনার দিলীপ দোশী মারা গেলেন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে
- শেখ হাসিনা যাকে প্রধানমন্ত্রী করতে চেয়েছিলেন, জানালেন অলি
- FIFA ক্লাব বিশ্বকাপ ২০২৫: এক নজরে ৮ গ্রুপের পয়েন্ট টেবিল
- আ. লীগের কার্যক্রম স্থগিত, নিষিদ্ধ করা হয়নি: ড. ইউনূস
- ভয়াবহ অন্ধকারে ঢাকার একাংশ
- সাপে কামড়ানোর পর ১০ মিনিটের মধ্যে যা করবেন, তাতেই বাঁচবেন
- করোনা সংক্রমণ: স্কুল বন্ধ নাকি চলবে, সিদ্ধান্ত জানালো মাউশি
- বিনিয়োগকারীদের জন্য সতর্কবার্তা দিল ডিএসই
- বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কা: শান্ত-নিসাঙ্কার সেঞ্চুরিতে ড্র টেস্ট
- ত্রয়োদশ নির্বাচনে বিএনপি ১০০ আসনও পাবে না
- শ্রীলঙ্কা বনাম বাংলাদেশ: বৃষ্টির কারণে বন্ধ দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচ
- বিনিয়োগকারীদের নজর কেড়েছে ৩ কোম্পানির শেয়ারে
- বিদেশি বিনিয়োগকারীদের নজরে পাঁচ কোম্পানি