ঢাকা, শুক্রবার, ২ মে ২০২৫, ১৯ বৈশাখ ১৪৩২

সবজির বাজারে অস্থিরতা, ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম হঠাৎ উর্ধ্বমুখী

অর্থনীতি ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৫ মে ০২ ২০:৪৮:০৬
সবজির বাজারে অস্থিরতা, ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম হঠাৎ উর্ধ্বমুখী

নিজস্ব প্রতিবেদক: রমজান ও ঈদের পরে কিছুদিন বাজারে স্বস্তি থাকলেও এখন আবার নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামে ঊর্ধ্বগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সবজি ও মুরগির বাজারে হঠাৎ মূল্যবৃদ্ধিতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ।

শুক্রবার (২ মে) পুরান ঢাকার নয়াবাজার, শ্যামবাজার ও রায় সাহেব বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সবজির দাম ক্রমাগত বাড়ছে। শীতকালীন সবজির সরবরাহ প্রায় শেষ হয়ে এসেছে, আর গ্রীষ্মকালীন সবজির সরবরাহ এখনও পর্যাপ্ত না হওয়ায় দাম ঊর্ধ্বমুখী। অধিকাংশ সবজি এখন ৭০ টাকার ওপরে বিক্রি হচ্ছে। চাহিদাসম্পন্ন সবজিগুলোর দাম বাড়ার পাশাপাশি কম দামের সবজিরও সংকট দেখা দিয়েছে।

বর্তমানে বাজারে বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৭০-৯০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০-৭০ টাকা, করলা ৬৫-৮০ টাকা, বরবটি ও কচুর লতি ৭০ টাকা, কাঁকরোল ৯০-১০০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০-৭০ টাকা এবং ঝিঙে ৭০-৮০ টাকা দরে। পেঁপে ৭০ টাকা, গাজর ৪০ টাকা, টমেটো ৩০-৪০ টাকা, শসা ৫০-৬৫ টাকা, পটোল ৫০-৬০ টাকা এবং শজনে ডাটা ১২০-১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। চালকুমড়া ও লাউ প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে ৪০-৬০ টাকায়।

সবজি বিক্রেতারা বলছেন, মৌসুমি সবজির ঘাটতি এবং ঘাটে চাঁদাবাজির কারণে পরিবহন ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় দাম বাড়ছে। ট্রলারে করে সবজি আনার সময় প্রতি কেজিতে ২-৫ টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত খরচ যোগ হচ্ছে, যার প্রভাব পড়ছে খুচরা দামে।

তবে আলুর দাম এখনো স্থিতিশীল রয়েছে। বাজারে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ২০-২৫ টাকায়। এছাড়া আদা ১২০ টাকা কেজি, দেশি রসুন ৮০-১০০ টাকা এবং আমদানি করা রসুন ১৮০-২২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

মুরগির বাজারেও রয়েছে অস্থিরতা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ১৫-২০ টাকা বেড়েছে। বর্তমানে বাজারে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৮০-১৯০ টাকা কেজি দরে। সোনালি মুরগির দাম বেড়ে হয়েছে ২৮০-৩০০ টাকা। দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ টাকা কেজি দরে। এছাড়া লেয়ার মুরগির দামও বেড়েছে, সাদা লেয়ার ২৮০ টাকা এবং লাল লেয়ার ৩৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। হাঁসের দামও বেড়েছে, বর্তমানে প্রতি পিস হাঁস বিক্রি হচ্ছে ৬০০-৭৫০ টাকায়।

তবে গরু ও খাসির মাংসের বাজারে এখনো স্থিতিশীলতা রয়েছে। গরুর মাংস ৭৫০-৮০০ টাকা এবং খাসির মাংস ১২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

মাছের বাজারে তেমন কোনো পরিবর্তন দেখা যায়নি। রুই বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৪০০ টাকা, কাতল ৩৫০-৪৫০ টাকা, চাষের কই ২০০-২৫০ টাকা, শিং ৫৫০ টাকা, মাগুর ৫০০ টাকা, কোরাল ৭৫০ টাকা এবং তেলাপিয়া ১৫০-২০০ টাকায়।

ক্রেতারা বলছেন, ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ইচ্ছামতো সবজির দাম বাড়াচ্ছেন। সরকারের উচিত বাজারে নজরদারি বাড়ানো ও নিয়মিত অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে দাম নিয়ন্ত্রণে আনা। রমজানের মতো অন্যান্য সময়েও যদি বাজারে স্থিতিশীলতা বজায় থাকত, তাহলে সাধারণ মানুষ কিছুটা হলেও স্বস্তি পেত।

মোঃ রাজিব/

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ