ঢাকা, সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২

নিবন্ধন হারাল আওয়ামী লীগ, প্রজ্ঞাপনে যা যা বলা হয়েছে

রাজনীতি ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২৫ মে ১২ ২২:৫৩:৪৭
নিবন্ধন হারাল আওয়ামী লীগ, প্রজ্ঞাপনে যা যা বলা হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক নাটকীয় মোড়—নিবন্ধন হারিয়েছে দেশের অন্যতম পুরনো ও ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। আজ ১২ মে, সোমবার সন্ধ্যায় জারি হওয়া এক সরকারি প্রজ্ঞাপনে দলটির রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন স্থগিতের ঘোষণা দেয় নির্বাচন কমিশন।

প্রজ্ঞাপনে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এসআরও নম্বর ১৩৭-আইন/২০২৫ অনুযায়ী সরকার সন্ত্রাসবিরোধী (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ এবং সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯-এর ধারা ১৮(১)-এর ক্ষমতাবলে আওয়ামী লীগ ও এর অধীনস্থ সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।

কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘জুলাই আন্দোলনে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ’-এর অভিযোগে দলটির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার এখনো চলমান। এ বিচার কার্য শেষ না হওয়া পর্যন্ত সংগঠনগুলো কোনো ধরনের প্রচারণা, মিছিল, সভা-সমাবেশ, সম্মেলন কিংবা গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কার্যক্রম চালাতে পারবে না।

এই নিষেধাজ্ঞার ভিত্তিতেই নির্বাচন কমিশন আজ একটি আনুষ্ঠানিক প্রজ্ঞাপন জারি করে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন (নং-০০৬, তারিখ: ০৩ নভেম্বর ২০০৮) স্থগিত ঘোষণা করে।

নিবন্ধন স্থগিতের এই সিদ্ধান্ত আসার পরপরই নির্বাচন কমিশনে জরুরি বৈঠকে বসেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। বৈঠক শেষে নির্বাচন কমিশনের সচিব আখতার আহমেদ আনুষ্ঠানিকভাবে গণমাধ্যমকে জানান, “সরকারি প্রজ্ঞাপনের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন দলটির নিবন্ধন স্থগিত করেছে।”

এ সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে এক গভীর আলোড়নের সৃষ্টি করেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি শুধু একটি প্রশাসনিক ঘোষণা নয়, বরং দেশের ভবিষ্যৎ রাজনীতির গতিপথ নির্ধারণে একটি বড় মাইলফলক।

FAQ (প্রশ্নোত্তর):

প্রশ্ন: কেন আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত করা হয়েছে?

উত্তর: জুলাই আন্দোলনে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে চলমান বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত দলটির সকল রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

প্রশ্ন: এই সিদ্ধান্ত কে নিয়েছে?

উত্তর: বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সরকারি প্রজ্ঞাপনের ভিত্তিতে দলটির নিবন্ধন স্থগিত করেছে।

প্রশ্ন: নিষেধাজ্ঞার আওতায় কী কী পড়ছে?

উত্তর: আওয়ামী লীগ ও সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলোর সব ধরনের সভা-সমাবেশ, প্রচারণা, প্রকাশনা, অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

প্রশ্ন: আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিতের তারিখ কী?

উত্তর: ১২ মে ২০২৫ তারিখে নির্বাচন কমিশন আনুষ্ঠানিকভাবে নিবন্ধন স্থগিতের প্রজ্ঞাপন জারি করে।

মো: রাজিব আলী/

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ