ঢাকা, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

জিম ছাড়াই ঘরে বসে পেটের মেদ কমানোর ছয়টি সহজ উপায়

লাইফ স্টাইল ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২৫ মে ১৬ ২০:৫৮:৫২
জিম ছাড়াই ঘরে বসে পেটের মেদ কমানোর ছয়টি সহজ উপায়

নিজস্ব প্রতিবেদক: পেটের মেদ শুধু শারীরিক সৌন্দর্য নষ্ট করে না, এটি হতে পারে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগসহ নানা জটিল রোগের সূত্রপাত। ব্যস্ত জীবনে সময়ের অভাবে অনেকেই নিজের শরীরের প্রতি যত্ন নিতে পারেন না, যার ফলস্বরূপ দেখা দেয় এই অতিরিক্ত চর্বির সমস্যা। তবে আশার কথা হলো, কঠিন ডায়েট কিংবা ঘণ্টার পর ঘণ্টা জিমে না গিয়েও কিছু সহজ অভ্যাস মেনে চললে আপনি পেতে পারেন মেদহীন, সুস্থ জীবন। নিচে এমন ছয়টি কার্যকর অভ্যাস তুলে ধরা হলো।

১. মদ্যপান সম্পূর্ণ এড়িয়ে চলুন

অ্যালকোহল শরীরের হরমোনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এটি ক্ষুধা বাড়িয়ে দেয় এবং মানসিক চাপের সঙ্গে সম্পর্কিত হরমোন কর্টিসলের মাত্রা বাড়ায়। তাছাড়া অ্যালকোহল উচ্চ ক্যালরিযুক্ত হওয়ায় তা সরাসরি পেটে মেদ জমায়। তাই যাঁরা পেটের মেদ কমাতে চান, তাঁদের জন্য মদ্যপান বাদ দেওয়া অত্যন্ত জরুরি।

২. শর্করা গ্রহণে সংযম

অনিয়ন্ত্রিতভাবে কার্বোহাইড্রেট গ্রহণ করলে তা সহজেই চর্বিতে পরিণত হয়, বিশেষ করে আপনি যদি বেশি পরিশ্রম না করে বসে-বসে কাজ করেন। কম শর্করা জাতীয় খাবার যেমন শাকসবজি, বাদাম, ডাল প্রভৃতি খেলে দেহে শক্তির ঘাটতি না হয়ে বরং মেদ কমার সম্ভাবনা বাড়ে।

৩. পানি পানেও চাই সচেতনতা

শুধু পর্যাপ্ত পানি পান নয়, তা কখন খাচ্ছেন সেটিও গুরুত্বপূর্ণ। খাবারের সময় পানি পান করলে হজমের সমস্যা হতে পারে। তাই খাবারের অন্তত ৩০ মিনিট আগে বা পরে পানি পান করাই ভালো। হাঁটার সময় অল্প করে পানি পান করলেও শরীর হাইড্রেটেড থাকে এবং বিপাকক্রিয়া স্বাভাবিক থাকে।

৪. প্রোটিন খান নিয়ম মেনে

দেহের ওজন অনুযায়ী প্রতিদিন প্রয়োজনীয় পরিমাণে প্রোটিন গ্রহণ করলে তা শুধু মাংসপেশি গঠনে সাহায্য করে না, ক্ষুধাও নিয়ন্ত্রণে থাকে। মুরগির মাংস, ডিম, মাছ, ডাল, ছোলা ইত্যাদি প্রোটিনের ভালো উৎস। নিয়মিত প্রোটিন গ্রহণ শরীরকে চটজলদি চর্বি জমতে দেয় না।

৫. ব্যায়াম মানেই শুধু দৌড় নয়

বেশিরভাগ মানুষ মনে করেন শুধু দৌড়ালেই মেদ কমে যাবে। কিন্তু বাস্তবে শুধু কার্ডিও করলে খুব বেশি ক্যালরি খরচ হয় না। তাই প্রয়োজন সুষম ব্যায়াম—যেখানে কার্ডিওর পাশাপাশি ওজন নিয়েও কাজ করবেন। এতে দেহের মাংসপেশি গঠিত হবে এবং অতিরিক্ত মেদ কমবে।

৬. ঘুম ও মানসিক চাপের সম্পর্ক

ঘুম এবং মানসিক চাপ সরাসরি পেটের মেদের সঙ্গে সম্পর্কিত। ঘুম কম হলে ক্ষুধা বাড়ে, বিপাক হ্রাস পায় এবং কর্টিসলের মাত্রা বেড়ে যায়। প্রতিদিন অন্তত সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুম না হলে শরীর নিজেকে ঠিকভাবে পুনরুদ্ধার করতে পারে না। পাশাপাশি ধ্যান, বই পড়া, প্রিয় সঙ্গীত শোনা কিংবা পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো—এসব মানসিক চাপ কমাতে সহায়ক হতে পারে।

মেদ কমানো মানেই কষ্টকর ডায়েট নয়। বরং জীবনযাপনের সহজ কিছু পরিবর্তনেই আপনি পেতে পারেন সুস্থ, ফিট এবং আনন্দময় জীবন। আজই অভ্যাসে আনুন এই পরিবর্তন, দেখবেন পেটের মেদ ধীরে ধীরে বিদায় নিচ্ছে আপনাআপনি।

মোঃ রাজিব আলী/

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ