ঢাকা, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

তিন বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক

জাতীয় ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২৫ মে ২০ ২২:৩৫:৪২
তিন বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক

দেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে ঐক্যবদ্ধ উদ্যোগ গ্রহণ

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের নিরাপত্তার ফেরিওয়ালা সশস্ত্র বাহিনীর তিন প্রধানকে নিয়ে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকটির মঞ্চে ছিলেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস, যিনি দেশের শান্তি ও শৃঙ্খলা রক্ষায় নতুন দৃষ্টিভঙ্গি এবং অটল সংকল্পের কথা তুলে ধরেন।

রাজধানীসহ সারাদেশে নিরাপত্তার দৃঢ়তার প্রতি জোর দিতে গিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বাহিনী প্রধানদের সতর্ক ও সম্মিলিত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান। চলমান বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক চ্যালেঞ্জের প্রেক্ষিতে দেশের শান্তি অক্ষুন্ন রাখার জন্য সব বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় ও ঐক্যবদ্ধ কাজের গুরুত্ব কথিত হয়।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান। এছাড়া সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান ও বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার মার্শাল হাসান মাহমুদ খানসহ ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাম্প্রতিক সময়ে দেশের অভ্যন্তরীণ ও বহিরাগত নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এই বৈঠক নতুন এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। প্রধান উপদেষ্টা বৈঠকে নিরাপত্তা বাহিনীর সাফল্য ও সাহসিকতার প্রশংসা করেন এবং আরও দৃঢ়তার সাথে দেশের সুরক্ষায় কাজ চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন।

দেশের শান্তি ও অগ্রগতির জন্য তিন বাহিনী প্রধান ও প্রধান উপদেষ্টার এই সমন্বিত পদক্ষেপ যেন নতুন দিগন্তের সূচনা। সামনে আসছে সময়ে দেশের সব অংশে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও ঝুঁকি মোকাবিলায় এই ঐক্যবদ্ধ মনোভাব যে এক নতুন শক্তি সঞ্চার করবে, তাতে সন্দেহ নেই।

FAQ (প্রশ্নোত্তর):

প্রশ্ন: গোপন এই বৈঠকে কারা উপস্থিত ছিলেন?

উত্তর: প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস, সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী প্রধান, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

প্রশ্ন: বৈঠকে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে?

উত্তর: সারাদেশে শান্তি বজায় রাখতে নিরাপত্তা জোরদার, বাহিনীর সমন্বিত প্রস্তুতি এবং সাম্প্রতিক ঘটনার ওপর কড়া নজরদারির বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়।

প্রশ্ন: এই বৈঠকের পেছনে কারণ কী ছিল?

উত্তর: সম্প্রতি দেশের কয়েকটি এলাকায় উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি এবং নিরাপত্তা সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এটি আয়োজন করা হয়।

আল-আমিন ইসলাম/

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ