ইউরিক এসিড নিয়ন্ত্রণে সবচেয়ে ভালো ৩ ফল
নিজস্ব প্রতিবেদক: আজকের ব্যস্ত জীবনে ফাস্ট ফুড ও অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাসের কারণে ইউরিক এসিডের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার ঘটনা বাড়ছে। ইউরিক এসিডের অতিরিক্ত জমা শরীরে যন্ত্রণাদায়ক ব্যথা, আর্থ্রাইটিস ও কিডনির সমস্যার কারণ হতে পারে। তাই সময়মতো সতর্কতা নেওয়া প্রয়োজন। চিকিৎসকরা বলছেন, ইউরিক এসিড নিয়ন্ত্রণের জন্য খাদ্যতালিকায় কয়েকটি ফল নিয়মিত অন্তর্ভুক্ত করা অত্যন্ত কার্যকর।
আজ আমরা আপনাদের জন্য তুলে ধরছি ইউরিক এসিড নিয়ন্ত্রণে সবচেয়ে ভালো তিনটি ফল, যেগুলো প্রতিদিন সকালে খেলে শরীর সুস্থ থাকবে, আর ইউরিক এসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
১. চেরি
চেরিতে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও ভিটামিন রয়েছে, যা ইউরিক এসিডের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। নিয়মিত চেরি খেলে শরীরের ব্যথা ও জ্বালা কমে এবং গাঁটে আরাম পাওয়া যায়। চেরি ইউরিক এসিডের কারণে হওয়া প্রদাহ কমিয়ে দেয়, তাই এটি ইউরিক এসিড নিয়ন্ত্রণের জন্য আদর্শ ফল।
২. লেবু
লেবুতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি থাকে, যা ইউরিক এসিডের মাত্রা কমাতে একদম কার্যকর। সকালে গরম জলেই এক চামচ লেবুর রস মিশিয়ে খেলে শরীর থেকে অতিরিক্ত ইউরিক এসিড বের হয়ে যায়। এছাড়া লেবু শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে।
৩. আপেল
আপেলের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি, যা ইউরিক এসিড নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। প্রতিদিন একটি আপেল খেলে কিডনির কাজ সুস্থ থাকে এবং ইউরিক এসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। এছাড়া আপেল খাওয়া দীর্ঘমেয়াদে অন্যান্য যন্ত্রাংশের সুস্থতাও নিশ্চিত করে।
সতর্কতা ও পরামর্শ
ইউরিক এসিড নিয়ন্ত্রণে শুধু ফল খাওয়া নয়, ফাস্ট ফুড, মাংস ও মসলা কমিয়ে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন খুব জরুরি। পর্যাপ্ত পানি পান করা এবং নিয়মিত হাঁটাহাঁটি করাও ইউরিক এসিডের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
সুতরাং, দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় এই তিনটি ফল অন্তর্ভুক্ত করুন এবং ইউরিক এসিডের সমস্যাকে ঘরে ঢুকতে দেবেন না। স্বাস্থ্যকর জীবন মানেই সুখী জীবন।
FAQ:
প্রশ্ন: ইউরিক এসিড কমাতে কী ফল খাওয়া উচিত?
উত্তর: চেরি, লেবু এবং আপেল ইউরিক এসিড কমাতে বিশেষ কার্যকর।
প্রশ্ন: ইউরিক এসিড কমানোর জন্য লেবু কীভাবে খাওয়া ভালো?
উত্তর: সকালে গরম পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে খেলে ইউরিক এসিড কমাতে সাহায্য করে।
প্রশ্ন: আপেল খেলে ইউরিক এসিডে কী উপকার হয়?
উত্তর: আপেলে থাকা ভিটামিন এ ও সি ইউরিক এসিড নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে ও কিডনির স্বাস্থ্য রক্ষা করে।
প্রশ্ন: ইউরিক এসিড কমানোর জন্য আর কী করণীয়?
উত্তর: ফাস্ট ফুড ও মাংস কমিয়ে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও নিয়মিত ব্যায়াম করা জরুরি।
মো: রাজিব আলী/
পাঠকের মতামত:
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- ভরিতে ১৩,০৯৯ টাকা কমলো স্বর্ণের দাম, ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের ভরি কত
- আবারও এক লাফে কমলো সোনার দাম
- রেকর্ড নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করলো ওয়ালটন
- একলাফে কমলো ভরিতে ১৩,০৯৯ টাকা স্বর্ণের দাম, আজ ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের ভরি কত
- বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তান: ডিএলএস পদ্ধতিতে শেষ হলো ম্যাচ, জানুন ফলাফল
- ২১ কোম্পানির নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা
- নিয়ম ভঙ্গের অভিযোগে দুই ব্রোকারেজ হাউসের ট্রেডিং লাইসেন্স বাতিল করল ডিএসই
- ব্যাপক হারে কমলো সোনার দাম, স্বর্ণের বাজার চাঙ্গা
- ১৫ কোম্পানির ডিভিডেন্ড ঘোষণা
- রেকর্ড মুনাফায় কোহিনূর কেমিক্যালস, ১৪ কোম্পানির ডিভিডেন্ড ঘোষণা
- ১৮ কোম্পানির ডিভিডেন্ড ঘোষণা
- বাংলাদেশ বনাম থাইল্যান্ড: ৬ গোল, ৯০ মিনিটের খেলা শেষ, জানুন ফলাফল
- মুনাফায় রেকর্ড: লভ্যাংশ ঘোষণা করলো বাটা শু
- আজ আবারো কমলো সোনার দাম, ভরিতে ১০,৪৭৪ টাকা কমালো বাজুস
- শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির ৫০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা