ব্রেকিং নিউজ: হাশিম আমলাকে হিরো বানিয়ে লেখা হল ক্রিকেটের নতুন মহাকাব্য

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার ব্যাটে ছিল রানের ফোয়ারা। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৯২৮২ রান নিয়ে গিয়েছেন অবসরে। জাতীয় দলের জার্সি খুলে রাখলেও কাউন্টিতে ডানহাতি ব্যাটসম্যান খেলছেন নিয়মিত। বয়স ৩৮ পেরিয়ে গেছে। কিন্তু তার পারফরম্যান্সে একটুও ছন্দপতন নেই। দলের হার বাঁচাতে অসম্ভবকে সম্ভব করে দেখালেন হাসিম আমলা।
বুধবার রাতে সেই প্রমাণই দিলেন আমলা। তার ব্যাট থেকে আসা আরেকটি ‘হাশিম আমলার ব্লকাথন’। স্রোতের বিপরীতে গিয়ে কীভাবে সাঁতার কাটতে হয়, প্রতিকূল পরিস্থিতিতে কীভাবে বুক চিতিয়ে লড়াই করতে হয়, সাধ্যের বাইরে গিয়ে কীভাবে নিবেদন দেখাতে হয় তার সবটুকু আমলা দেখিয়ে দিয়েছেন সারের জার্সিতে, কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচে।
সাউদাম্পটনে হ্যাম্পশায়ারের মুখোমুখি সারে। আগে ব্যাটিং করে হ্যাম্পশায়ার ৪৮৮ রান তুলে নেয়। জবাবে সারের প্রথম ইনিংস থেমে যায় ৭২ রানে। ফলো অনে পড়া দলকে উদ্ধারে লাগলেন আমলা। শুধু উদ্ধারই নয়, শেষ দিনে ম্যাচ বাঁচাতে হলে দেয়াল হতে হবে তাকে। ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল বৃষ্টির কারণে খেলা নষ্ট হওয়ায় শেষ দিন ৯৮ ওভার খেলা হবে।
চারে ব্যাটিংয়ে নেমেছিলেন তিনি। চতুর্থ বলে খুলেছিলেন রানের খাতা। এরপর যা হলো তা রীতিমত অবিশ্বাস্য। দ্বিতীয় রানের জন্য ডানহাতি ব্যাটসম্যান খেলেন ৬৩ বল। তার লড়াইয়ে স্পষ্ট বার্তা ছিল, যত কিছুই হোক তিনি আজ রান করবেন না। ঠিক সেভাবেই এগোলেন। তার ব্যাট থেকে প্রথম বাউন্ডারি আসে ১২৬ বলে। এরপর আরও চারটি মেরেছে লম্বা বিরতিতে।
২২ গজে হার না মানা মনোবল, চোয়ালবদ্ধ প্রতিজ্ঞা, দৃঢ়চেতা মনোভাব ও অদম্য ইচ্ছা শক্তিতে আমলা হয়ে উঠেন দেয়াল। যাকে কেউ ভাঙতে পারেনি, টলাতে পারেনি। রান না তোলার এমন উদাহরণ তো এর আগেও করেছেন তিনি।
ভারতের বিপক্ষে দিল্লিতে ২৪৪ বলে করেছিলেন ২৫ রান। ভারতেই বিপক্ষেই আরেক টেস্টে করেছিলেন ১৫৯ বলে ২৫। দুইবারই আমলা দলের পরাজয় এড়াতে পারেননি। তবে এবার সারের নায়ক তিনি। তার অতিমানবীয় ইনিংস ছিল ২৭৮ বলের। যেখানে তিনি রান করেছেন মাত্র ৩৭। আর উইকেটে থিতু হয়ে ছিলেন ৩৮১ মিনিট। এমন অনিন্দ্য সুন্দর মহাকাব্য ক্রিকেট কী এর আগে দেখেছিল?
ইনিংসের ব্যবচ্ছেদ করলে আরও দেখা যায়, ১০০ বলে করেছেন মাত্র ৩ রান। ১৫০ বলে ১৮, ২০০ বলে ২৬ ও ২৫০ বলে ৩৭। দিনের খেলা শেষ হয় ১ বল আগে। এর আগে ২৮ বল খেলে কোনও রান নেননি কিংবদন্তি ক্রিকেটার। তাতে ম্যাচ বেঁচে যায় সারের। আর নায়ক হয়ে যান আমলা।
তিনি বাদে চেষ্টা করেছেন মধ্যভাগের ব্যাটসম্যানরাও। রায়ান পাটেল ৮৬ বলে ১৬, জেমি স্মিথ ৬০ বলে ১৪, বেন গেডেজ ৫৪ বলে ১৫। তাদের ফিরিয়ে হ্যাম্পশায়ারের বোলাররা ম্যাচ জমিয়ে তুললেও আমলাকে ফেরানোর উত্তরটা তাদের জানা ছিল না। তাইতো সাউদাম্পটনে লেখা হলো, ২৭৮ বলে ৩৭ রান ও ৩৮১ মিনিটের অনিন্দ্য সুন্দর মহাকাব্য। যে মহাকাব্যের নাম, ‘হাশিম আমলার ব্লকাথন’
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কা: প্রথম টেস্ট প্রথম দিনেই বাংলাদেশ ৪ রেকর্ড
- বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কা: বৃষ্টির কারণে বন্ধ ম্যাচ
- বাংলাদেশের শীর্ষ ১০ নিরাপদ ব্যাংকের তালিকা প্রকাশ
- আলোচিত ১০ সিনেমা যেখানে নায়ক-নায়িকা সত্যি মিলিত হয়েছেন
- শেখ হাসিনা যাকে প্রধানমন্ত্রী করতে চেয়েছিলেন, জানালেন অলি
- আ. লীগের কার্যক্রম স্থগিত, নিষিদ্ধ করা হয়নি: ড. ইউনূস
- ভয়াবহ অন্ধকারে ঢাকার একাংশ
- মারা গেলেন ভারতের উদিয়মান তারকা ক্রিকেটার
- আজ ৮ অঞ্চলে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা, থাকুন সতর্ক
- সাপে কামড়ানোর পর ১০ মিনিটের মধ্যে যা করবেন, তাতেই বাঁচবেন
- করোনা সংক্রমণ: স্কুল বন্ধ নাকি চলবে, সিদ্ধান্ত জানালো মাউশি
- সোনার দামে বড় পতনের শঙ্কা, আসছে বড় পরিবর্তন
- বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কা: শান্ত-নিসাঙ্কার সেঞ্চুরিতে ড্র টেস্ট
- ত্রয়োদশ নির্বাচনে বিএনপি ১০০ আসনও পাবে না
- বৃষ্টির কারণে বন্ধ বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কার মধ্যকার ম্যাচ