আকাশের মাঝ পথেই নিথর হয়ে পড়েন ক্যাপ্টেন নওশাদ, বিমানে ঘটেছিল ‘নাটকীয়’ কাণ্ড

ক্যাপ্টেন নওশাদের এমন অবস্থা নিজের চোখেই দেখলেন ফার্স্ট অফিসার মোস্তাকিম। কোনো উপায় না পেয়ে বিমানটির নিয়ন্ত্রণ হস্তান্তর করা হয় মোস্তাকিমের কাছে। এরপর মেডিক্যাল ইমার্জেন্সি ঘোষণা করেন মোস্তাকিম। তখনই কলকাতার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের কাছে জরুরি অবতরণের অনুরোধ জানান নওশাদ।
একই সঙ্গে কেবিন ক্রুরা প্লেনের করিডোর দিয়ে হেঁটে হেঁটে প্রতি সারির যাত্রীদের জিজ্ঞেস করছিলেন, ‘আপনাদের মধ্যে কোনো চিকিৎসক আছেন কি? কেউ প্রাথমিক চিকিৎসা করতে পারেন কি?’ সেই ফ্লাইটে থাকা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কেবিন ক্রু বলেন, হুট করেই ককপিট থেকে ফার্স্ট অফিসার মোস্তাকিম জানালেন ক্যাপ্টেন নওশাদ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। ককপিটে গিয়ে আমরা তার অবস্থা দেখে বুঝতে পারি- তিনি মারাত্মকভাবে হার্ট অ্যাটাক করেছেন। তার নিজের যে খারাপ লাগছে কিংবা অসুস্থ বোধ করছেন- এ কথা বলারও সুযোগ পাননি। তিনি পুরোই কলাপ্স করেছেন। অথচ আমরা ফ্লাইট শুরুর পর তাকে খাবার দিয়েছিলাম, তিনি সেই খাবার খেয়েছেনও।
ওই বিমানে থাকা ওমানপ্রবাসী বাংলাদেশি নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘যখন কেবিন ক্রুরা চিকিৎসকের খোঁজ করছিলেন তখনই বুঝতে পেরেছিলাম ফ্লাইটে কেউ অসুস্থ হয়েছে। তবে ক্যাপ্টেন যে নিজেই হার্ট অ্যাটাকের শিকার হয়েছেন, সেটি বুঝতে পারিনি। পাইলট বা কেবিন ক্রুরাও তা বুঝতে দেয়নি।’
দুর্ভাগ্যবশত ফ্লাইটে কোনো ডাক্তার না থাকায় উড়োজাহাজে থাকা মেডিক্যাল বক্স ব্যবহার করে ক্যাপ্টেন নওশাদকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন কেবিন ক্রুরা। একই সঙ্গে সবাই মিলে ফার্স্ট অফিসারকে সাহস যোগানোর চেষ্টা করেন। তিনিও দৃঢ়ভাবেই ফ্লাইট অপারেট করেন।
যোগাযোগের কিছুক্ষণ পর কলকাতার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল বিমানটিকে তার নিকটস্থ নাগপুর বিমানবন্দরে অবতরণ করার নির্দেশ দেন। ক্যাপ্টেন নওশাদ অসুস্থ হওয়ার ২৫ মিনিটের মধ্যে নাগপুরের ড. বাবাসাহেব আম্বেদকার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিরাপদে অবতরণ করেন উড়োজাহাজটি। জরুরি অবতরণের পর নওশাদকে নাগপুরের হোপ হাসপাতালে নেয়া হয়।
নওশাদ ও তার ফার্স্ট অফিসারের কারণে এবার জীবন রক্ষা পেয়েছে ওমান থেকে ঢাকার উদ্দেশে আসা ১২৪ যাত্রীর। তবে এটি প্রথম নয়। পাঁচ বছর আগে এভাবেই আরও ১৪৯ যাত্রী আর সাত ক্রুর জীবন বাঁচিয়েছিলেন ক্যাপ্টেন নওশাদ। পেয়েছিলেন আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স সূত্র জানায়, ২০১৬ সালের ২২ ডিসেম্বর বাংলাদেশ বিমানের বিজি-১২২ ফ্লাইটে ক্যাপ্টেন ছিলেন নওশাদ। সেই ফ্লাইটটি মাস্কাট বিমানবন্দর থেকে বোয়িং ৭৩৭-৮০০ উড়োজাহাজ নিয়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা হয়েছিল। টেক-অফ করার পর মাস্কাট বিমানবন্দরের কন্ট্রোল টাওয়ার থেকে ক্যাপ্টেনকে জানানো হয়, রানওয়েতে টায়ারের কিছু অংশ পাওয়া গেছে, যা সম্ভবত বিমান এয়ার ক্রাফটের হতে পারে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ক্যাপ্টেন নওশাদ আতাউল কাইয়ুম ভারতের একটি হাসপাতালে নিবিড় পর্যবেক্ষণে (আইসিইউ) আছেন। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হওয়ায় তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে। এদিকে তার মৃত্যু গুজব ছড়ানোর ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স পাইলটস অ্যাসোসিয়েশন (বাপা)। সংগঠনটির সভাপতি ক্যাপ্টেন মাহবুবুর রহমান তার সুস্থতার জন্য দোয়া কামনা করেছেন।
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- চুপ্পুকে সরিয়ে জাতীয় নির্বাচনে আগে নতুন রাষ্ট্রপতি চান পিনাকি
- PSG বনাম ইন্টার মায়ামি: কখন, কোথায় ও কীভাবে দেখবেন লাইভ ম্যাচ
- পিএসজি বনাম ইন্টার মায়ামি: ম্যাচ প্রিভিউ, একাদশ ও ম্যাচ শুরুর সময়
- ৮ গোল: শেষ হলো বাংলাদেশ বনাম বাহারাইনের মধ্যকার ম্যাচের ৯০ মিনিটের খেলা
- মাহিয়া মাহির মৃত্যু গুজব: সত্য ও মিথ্যার বিশ্লেষণ
- বিনিয়োগকারীদের জন্য সতর্কবার্তা দিল ডিএসই
- শান্তর পদত্যাগ, নতুন টেস্ট অধিনায়কত্বে এগিয়ে যিনি
- পিএসজি বনাম ইন্টার মায়ামি: ৪-০ গোলে শেষ হলো ম্যাচ
- কফিনবন্দি হয়ে ফিরলেন ফখরুল, চোখের জলে ভেসে গেল শেষ বিদায়
- শ্রীলঙ্কা বনাম বাংলাদেশ: বৃষ্টির কারণে বন্ধ দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচ
- বিদেশি বিনিয়োগকারীদের নজরে পাঁচ কোম্পানি
- ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ : দ্বিতীয় পর্ব নিশ্চিত ১৬ দলের, সময় সূচি প্রকাশ
- বাজারে সামগ্রিক মন্দার মাঝেও বস্ত্র খাতের ৫ কোম্পানির চমক
- বিনিয়োগকারীদের জন্য তিন কোম্পানির লভ্যাংশ ঘোষণা
- জ্বালানি তেলের নতুন দাম নির্ধারণ