ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৫ ফাল্গুন ১৪৩১

এইচএমপিভি ভা ই রা স থেকে বাঁচার উপায়

স্বাস্থ্য ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৫ জানুয়ারি ১৬ ১৪:৫০:৫৩
এইচএমপিভি ভা ই রা স থেকে বাঁচার উপায়

সম্প্রতি বিশ্বব্যাপী উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে হিউম্যান মেটাপনিউমোভাইরাস বা এইচএমপিভি। এটি শ্বাসতন্ত্রের একটি ভাইরাস যা বিশেষত শিশু, বয়স্ক এবং দুর্বল রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতার ব্যক্তিদের আক্রান্ত করছে। যদিও এটি করোনাভাইরাসের মতো প্রাণঘাতী নয়, তবুও লক্ষণগুলো অনেকটাই সাদৃশ্যপূর্ণ। তবে আতঙ্কিত না হয়ে কিছু নিয়ম মেনে চললে সহজেই এই ভাইরাস থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।

এইচএমপিভি: ভাইরাসটি কী এবং এর প্রভাব

এইচএমপিভি একটি শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণকারী ভাইরাস, যা সাধারণ সর্দি, কাশি, জ্বর, এবং শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যার সৃষ্টি করে। এটি প্রধানত আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি, কাশি, কিংবা সংক্রমিত বস্তু স্পর্শ করার মাধ্যমে ছড়ায়। বিশেষ করে শিশু এবং বয়স্কদের জন্য এটি বেশি ঝুঁকিপূর্ণ।

এইচএমপিভি থেকে সুরক্ষার উপায়

১. হাত ধোয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন:

হাত ধোয়া ভাইরাস প্রতিরোধের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি।

  • বাইরে থেকে ফিরে বা কিছু স্পর্শ করার পর সাবান ও পানি দিয়ে কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড ধরে হাত ধুতে হবে।
  • সাবান ও পানি না থাকলে অ্যালকোহলযুক্ত স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন।
  • চোখ, নাক এবং মুখ স্পর্শ করার আগে হাত পরিষ্কার করুন।

২. মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করুন:

বাইরে বের হলে সঠিকভাবে মাস্ক পরুন।

  • মাস্ক নাক ও মুখ ঢেকে রাখবে, তা নিশ্চিত করুন।
  • হাঁচি বা কাশির সময় টিস্যু বা কনুই দিয়ে মুখ ঢাকুন এবং ব্যবহৃত টিস্যু দ্রুত ফেলে দিন।

৩. স্পর্শ করা জিনিস জীবাণুমুক্ত রাখুন:

বারবার স্পর্শ করা বস্তু যেমন দরজার হাতল, মোবাইল ফোন, এবং কিবোর্ড নিয়মিত জীবাণুমুক্ত করুন।

  • জনসমাগমস্থলে সিঁড়ির রেলিং বা অন্যান্য বস্তু স্পর্শ করা এড়িয়ে চলুন।

৪. আক্রান্ত ব্যক্তিদের থেকে দূরে থাকুন:

যাদের সর্দি-কাশি বা শ্বাসকষ্টের লক্ষণ রয়েছে, তাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ এড়িয়ে চলুন।

  • অসুস্থ ব্যক্তির ব্যবহৃত জিনিস ব্যবহার না করাই ভালো।

৫. অসুস্থ হলে বাইরে যাওয়া এড়িয়ে চলুন:

আপনার মধ্যে যদি জ্বর, কাশি বা শ্বাসকষ্টের লক্ষণ দেখা দেয়, তবে নিজে ঘরে থাকুন এবং দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

৬. সুস্থ জীবনধারা মেনে চলুন:

রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পুষ্টিকর খাবার খান, প্রচুর পানি পান করুন, পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করুন এবং নিয়মিত ব্যায়াম করুন।

৭. গুরুতর লক্ষণ দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন:

যদি শ্বাসকষ্ট, তীব্র জ্বর বা অন্যান্য গুরুতর লক্ষণ দেখা দেয়, দেরি না করে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন।

সতর্ক থাকলেই এড়ানো সম্ভব সংক্রমণ

এইচএমপিভি থেকে নিজেকে ও আপনার পরিবারকে সুরক্ষিত রাখতে সচেতনতার বিকল্প নেই। নিয়মিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন এবং প্রয়োজনীয় সতর্কতা গ্রহণ করুন।

বিশেষজ্ঞদের মতে, সতর্কতা অবলম্বন করে এবং স্বাস্থ্যকর অভ্যাসে অভ্যস্ত হয়ে ভাইরাসজনিত ঝুঁকি থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখা সম্ভব। তাই আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন থাকুন এবং সুস্থ থাকুন।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে