তারেক রহমানের সাথে গোপন বৈঠকে জাইমা রহমান, আসিফ মাহমুদ

নিজস্ব প্রতিবেদক: সম্প্রতি প্রকাশিত এক বই নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে শুরু হয়েছে আলোচনা ও বিতর্কের ঝড়। লেখক ও উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ তাঁর নতুন বইয়ে দাবি করেছেন, গত ৫ আগস্ট বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে উপস্থিত ছিলেন বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতা। তবে সবচেয়ে চমকপ্রদ তথ্য হলো, এই বৈঠকে গোপনে অংশ নিয়েছিলেন তারেক রহমানের কন্যা, জাইমা রহমান।
পর্দার আড়ালের বৈঠক ও চাঞ্চল্যকর তথ্য
বইয়ের বর্ণনা অনুযায়ী, এই বৈঠকে বিএনপির চারজন শীর্ষ নেতা—নাহিদ, মাহফুজসহ আরও কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন। তবে উপস্থিত ব্যক্তিদের মধ্যে ছিলেন আরও কয়েকজন গোপন সদস্য, যাঁদের নাম প্রকাশ করা হয়নি। বইয়ের তথ্য অনুযায়ী, বৈঠকে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়েছিলেন ছাত্র প্রতিনিধি দলও। মূল আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল দেশের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক পরিকল্পনা এবং সম্ভাব্য পরিবর্তনের রূপরেখা।
বিতর্কিত উপস্থাপনা ও প্রশ্নবিদ্ধ তথ্য
বইটি প্রকাশের পরপরই এটি ঘিরে বিতর্ক শুরু হয়। এতে দাবি করা হয়েছে যে, ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশত্যাগের পর তারেক রহমান ও তাঁর ঘনিষ্ঠ নেতারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সম্ভাব্য কাঠামো নিয়ে আলোচনা করেন। তবে বইয়ের এই তথ্য কতটা সত্য, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
বৈঠকের উপস্থিত একজন নেতা অভিযোগ করেছেন, "বইয়ে আমাদের আলোচনার একটি অংশ প্রকাশ করা হয়েছে, তবে পুরো বৈঠকের মূল বক্তব্য ও তারেক রহমানের পরিকল্পনা স্পষ্ট করা হয়নি। এটি অনেকাংশেই অসম্পূর্ণ এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মনে হচ্ছে।"
সাংবাদিক এহসান মাহমুদের কটাক্ষ
বইয়ের তথ্যের যথার্থতা নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেছেন সাংবাদিক ও সাহিত্যিক এহসান মাহমুদ। তিনি বলেন, "এই বইয়ে সত্যের চেয়ে কল্পনার আধিক্য বেশি। তারেক রহমানের সঙ্গে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে, কিন্তু এখানে শুধু কিছু নির্বাচিত তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে, যা বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে পারে।"
তিনি আরও যোগ করেন, "এই বইয়ের অনেক তথ্য গোপন রাখা হয়েছে, যা রাজনৈতিক ইতিহাসের জন্য একধরনের বিকৃতি। আমি বইটি হাতে পাওয়ার পর বিস্তারিত বিশ্লেষণ করব, তবে এখন পর্যন্ত যা জানা যাচ্ছে, তা উদ্বেগজনক।"
প্রকাশনার বিতর্ক ও ভবিষ্যৎ প্রতিক্রিয়া
বইটি প্রকাশ করেছেন সজীব ভূঁইয়া, একটি শীর্ষস্থানীয় প্রকাশনা সংস্থার মাধ্যমে। বই প্রকাশের পর থেকেই এটি রাজনৈতিক মহলে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।
এই বই কি সত্য উন্মোচন করেছে, নাকি এটি শুধুই কল্পনার রঙে মোড়া একটি রাজনৈতিক কৌশল? এই বিতর্কের সমাধান হয়তো আসবে ভবিষ্যতের গবেষণায়। তবে আপাতত, রাজনৈতিক মহলে বইটি নিয়ে উত্তেজনা অব্যাহত রয়েছে।
রাজনৈতিক ইতিহাস ও সাম্প্রতিক বৈঠকের বিষয়ে আরও বিস্তারিত তথ্য আমাদের পরবর্তী প্রতিবেদনে প্রকাশিত হবে।
মো: রাজিব আলী/
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- দেশের বাজারে ইতিহাস গড়ে কমলো সোনার দাম, জেনেনিন বাজার মূল্য
- অভিনেতা সিদ্দিককে পিটিয়ে পুলিশে দিল ছাত্রদল কর্মীরা
- আজ বাংলাদেশের বাজারে১৮ ক্যারেট, ২১ ক্যারেট ও ২২ ক্যারেট সোনার দাম
- ৬ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির ডিভিডেন্ড ঘোষণা, কারা কত শতাংশ দিচ্ছে
- বাংলাদেশ স্কোয়াডে দুই পরিবর্তন, আসছে এক চেনা মুখ ও এক নতুন নাম
- বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ প্রধানমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করলেন হাসানত আব্দুল্লাহ
- মার্জিন রুলস ১৯৯৯-এ বড় পরিবর্তন: পুঁজিবাজারের নতুন দিগন্ত
- ১১ কোম্পানির তৃতীয় প্রান্তিক প্রকাশ: কার লাভ, কার ক্ষতি?
- শেয়ারবাজারের স্থিতিশীলতা ফেরাতে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিল বিএসইসি
- বাঁচাও শেয়ারবাজার’: বিনিয়োগকারীদের গর্জনে কাঁপলো মতিঝিল
- বাংলাদেশের প্রথম নির্বাসিত কবি দাউদ হায়দার মারা গেছেন
- বিনিয়োগকারীদের জন্য ৭ কোম্পানির নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা
- রিয়াল বনাম বার্সা ফাইনাল: কখন, কোথায়, কিভাবে দেখবেন আজ রাতে
- আজকের সৌদি রিয়াল রেট (২৮ এপ্রিল ২০২৫)
- শ্রীলঙ্কার ‘না’ বলে দেওয়া, ভারতের সেতু স্বপ্ন স্থগিত