মালয়েশিয়ায় গ্যাস পাইপলাইনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড: আহতের সংখ্যা বেড়ে ১৪৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: পুত্রা হাইটস, সুবাং জায়ার জালান পুত্রা হারমোনিতে মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) ঘটে যাওয়া গ্যাস পাইপলাইনের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ফলে প্রায় ৯.৮ মিটার গভীরতার একটি বিশাল গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। সুবাং জায়া জেলা পুলিশের প্রধান (ওসিপিডি) অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার (এসি) ওয়ান আজলান ওয়ান মামাত এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গভীর গর্ত ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ
এসি ওয়ান আজলান জানান, আগুন পুরোপুরি নিভতে প্রায় আট ঘণ্টা সময় লাগে এবং অগ্নিকাণ্ডের ফলে সৃষ্ট গর্তের দৈর্ঘ্য ২১ মিটার ও প্রস্থ ২৪ মিটার।
আগুন পুরোপুরি নিভলেও ছোটখাটো আগুন রয়ে গেছে
ঘটনার দ্বিতীয় দিন, বুধবার (২ এপ্রিল), তিনি জানান যে আগুন মূলত নিভে গেলেও কয়েকটি বাড়িতে ছোট ছোট আগুন জ্বলতে দেখা গেছে। তবে মঙ্গলবার দুপুর ৩:৪৫ টার মধ্যে প্রধান অগ্নিকাণ্ড সম্পূর্ণরূপে নিভিয়ে ফেলা হয়। দমকল বিভাগ একটি ফায়ার ইঞ্জিন ও ছয়জন সদস্য মোতায়েন করেছে, যাতে আগুন নতুন করে ছড়িয়ে না পড়ে।
ক্ষতিগ্রস্তদের অবস্থা ও চিকিৎসা ব্যবস্থা
এই ঘটনায় মোট ১৪৫ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে:
১৩ জনকে রেড জোনে রাখা হয়েছে (গুরুতর আহত)
৫৫ জন ইয়েলো জোনে (মাঝারি আহত)
৪৩ জন গ্রিন জোনে (সাধারণ আহত)
আহতদের মধ্যে ৭৫ জনকে সুলতান ইদরিস শাহ হাসপাতাল (সেরডাং) এবং সাইবারজায়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, আর ৩৬ জনকে কুয়ালালামপুর হাসপাতাল ও সুংগাই বুলোহ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
অস্থায়ী ত্রাণ কেন্দ্র ও ক্ষয়ক্ষতির হিসাব
ঘটনার পর ৫২৯ জন ক্ষতিগ্রস্তকে দুটি অস্থায়ী ত্রাণ কেন্দ্রে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।
পুত্রা হাইটস মসজিদ হল: ৪৮৫ জন (১১০ পরিবার)
এমবিএসজে মাল্টি-পারপাস হল: ৪৪ জন (৮ পরিবার)
পুলিশের তথ্যানুসারে, এই ঘটনায় ২৩৫টি স্থাপনা ও ৩৯৯টি যানবাহন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইতিমধ্যে ৫৯টি আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের হয়েছে, যার মধ্যে বাড়িঘর ও গাড়ির ক্ষতি, আহত ব্যক্তিদের দাবি এবং জমি সংক্রান্ত অভিযোগ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
গ্যাস পাইপলাইন দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান
পুলিশ নিশ্চিত করেছে যে কাছাকাছি চলমান একটি নির্মাণ প্রকল্পের ঠিকাদারকে চিহ্নিত করার পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
নিয়মিত অনুমোদিত নির্মাণ প্রকল্প ছিল
সুবাং জায়া মেয়র দাতুক আমিরুল আজিজান আবদ রহিম নিশ্চিত করেছেন যে গ্যাস পাইপলাইনের কাছে চলমান প্রকল্পটি ২০২২ সাল থেকে বৈধ অনুমোদনপ্রাপ্ত ছিল। দোকান নির্মাণ প্রকল্পটি বর্তমানে চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে এবং সার্টিফিকেট অফ কমপ্লিশন অ্যান্ড কমপ্লায়েন্স (CCC) অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে।
তিনি জানান, প্রকল্পটি ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা ছিল, তবে CCC অনুমোদনের কারণে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে।
প্রশাসনের আহ্বান
সেলাঙ্গর মুখ্যমন্ত্রী দাতুক সেরি আমিরুদ্দিন শারি সাধারণ জনগণকে আহ্বান জানিয়েছেন, যদি কেউ এই দুর্ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কোনো অনিয়ম বা গাফিলতির প্রমাণ পান, তবে তা পুলিশকে জানাতে অনুরোধ করা হয়েছে।
মো: রাজিব আলী/
পাঠকের মতামত:
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- শেয়ারবাজারে কারসাজির চক্র: দুর্বল কোম্পানির শেয়ারের দামে অস্বাভাবিক উল্লম্ফন
- শেষ হলো মেলবোর্ন স্টার্স বনাম বাংলাদেশের মধ্যকার রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ
- এশিয়া কাপ ২০২৫: বাংলাদেশের ১৫ সদস্যের স্কোয়াড জায়গা পেলেন যারা
- ৩ কোম্পানির কারখানায় ঝুলছে তালা, ক্ষোভ বাড়ছে বিনিয়োগকারীদের
- এশিয়া কাপ ২০২৫: তিন ওপেনার নিয়ে বাংলাদেশের চূড়ান্ত স্কোয়াড ঘোষণা
- ভারত বনাম বাংলাদেশ : ৯০ মিনিটের খেলা শেষ, জেনে নিন ফলাফল
- রপ্তানি আয়ের ৮ হাজার কোটি টাকা গায়েব: কেয়া গ্রুপ ও চার ব্যাংককে তলব
- বদলে গেল ফোনের ডায়াল প্যাড, জানুন আসল কারণ ও আগের অবস্থায় ফেরানোর উপায়
- ভারত বনাম বাংলাদেশ: গোল, গোল, ৮০ মিনিটের খেলা শেষ
- বদলে গেল আপনার ফোনের ডায়াল প্যাড, আতঙ্ক নয় সমাধান আছে, জেনে নিন
- এশিয়া কাপ ২০২৫: বড় চমক, বাংলাদেশের ১৫ সদস্যের স্কোয়াড চূড়ান্ত
- ‘ক্ষমতা ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি’—ড. ইউনূস
- মালয়েশিয়া প্রবাস: যেভাবে আবেদন করবেন সম্পূর্ণ বিনা খরচে
- ভারত বনাম বাংলাদেশ: প্রথমার্ধের খেলা শেষ, জানুন সর্বশেষ ফলাফল
- গুজব না সত্য: যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা হাসিনার পদত্যাগপত্র খুঁজে পায়নি