ঢাকা, শুক্রবার, ২ মে ২০২৫, ১৯ বৈশাখ ১৪৩২

শেয়ারবাজারে প্রকৌশল খাতে মুনাফা বেড়েছে ১১ কোম্পানির

শেয়ারবাজার ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৫ মে ০২ ২২:৩৮:৩৩
শেয়ারবাজারে প্রকৌশল খাতে মুনাফা বেড়েছে ১১ কোম্পানির

নিজস্ব প্রতিবেদক: শেয়ারবাজারে যখন মিশ্র প্রবণতা চলছে, তখন প্রকৌশল খাত থেকে এসেছে আশাব্যঞ্জক সংবাদ। তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ ২০২৫) ১১টি কোম্পানি আগের বছরের তুলনায় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) বাড়িয়েছে। এই ধারা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে নতুন করে আস্থা জাগাতে পারে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও কোম্পানিগুলোর হালনাগাদ তথ্যে দেখা গেছে, প্রকৌশল খাতে তালিকাভুক্ত ৪২টি কোম্পানির মধ্যে ৩৫টি এখন পর্যন্ত তাদের তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এর মধ্যে ১১টি কোম্পানি আগের বছরের তুলনায় ভালো ফলাফল দেখিয়েছে।

যেসব কোম্পানির ইপিএস বেড়েছে

বিএসআরএম লিমিটেড

তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির ইপিএস দাঁড়িয়েছে ৭ টাকা ৫৭ পয়সা, যা আগের বছর ছিল ৪ টাকা ৯২ পয়সা। ৯ মাসে কোম্পানির ইপিএস হয়েছে ১৪ টাকা ৩১ পয়সা, আগের বছর একই সময়ে যা ছিল ১১ টাকা ১৭ পয়সা।

বিএসআরএম স্টিলস

এই প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছে ৪ টাকা ৪৫ পয়সা, আগের বছর যা ছিল ৩ টাকা ৩২ পয়সা। ৯ মাসে ইপিএস বেড়ে হয়েছে ৯ টাকা ১২ পয়সা, যা আগের বছর ছিল ৭ টাকা ৪৩ পয়সা।

বাংলাদেশ অটোকারস

ইপিএস বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ পয়সায়, আগের বছর যা ছিল মাত্র ২ পয়সা। তবে ৯ মাসে কোম্পানিটি দেখিয়েছে ১৪ টাকা ১২ পয়সার ইপিএস, যা আগের বছর ছিল মাত্র ১১ পয়সা।

বিডি ল্যাম্পস

প্রান্তিক ভিত্তিতে কোম্পানিটি লাভে ফিরেছে। এ বছর ইপিএস ১১ পয়সা, যেখানে আগের বছর একই সময়ে লোকসান ছিল ১ টাকা ৩৬ পয়সা। তবে ৯ মাসে এখনো কোম্পানিটি ৫ টাকা ৪৬ পয়সা লোকসানে রয়েছে, যা আগের বছর ছিল ১২ টাকা ৬ পয়সা।

ইফাদ অটোস

তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির ইপিএস বেড়ে হয়েছে ১২ পয়সা, আগের বছর ছিল ২ পয়সা। ৯ মাসে ইপিএস দাঁড়িয়েছে ৩৭ পয়সা, যা আগের বছর ছিল ৫ পয়সা।

ডমিনেজ স্টিল

এই প্রান্তিকে ইপিএস দাঁড়িয়েছে ২ পয়সায়, আগের বছর যা ছিল ১ পয়সা লোকসান। ৯ মাসে কোম্পানির ইপিএস হয়েছে ১১ পয়সা, আগের বছর যা ছিল ১ পয়সা।

নাহী অ্যালুমিনিয়াম

ইপিএস বেড়ে হয়েছে ১৪ পয়সা, আগের বছর ছিল ১২ পয়সা। যদিও ৯ মাসে ইপিএস কমে দাঁড়িয়েছে ৪২ পয়সা, যেখানে আগের বছর ছিল ৮৩ পয়সা।

কেঅ্যান্ডকিউ

ইপিএস দাঁড়িয়েছে ২ টাকা ৩ পয়সায়, আগের বছর ছিল ১ টাকা ২৬ পয়সা। ৯ মাসে কোম্পানির ইপিএস হয়েছে ৩ টাকা ৬৯ পয়সা, যা আগের বছর ছিল ২ টাকা ৪৫ পয়সা।

মুন্নু এগ্রো মেশিনারি

তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানির ডিল্যুটেড ইপিএস হয়েছে ৬১ পয়সা, আগের বছর ছিল ৪৬ পয়সা। ৯ মাসে ইপিএস বেড়ে হয়েছে ১ টাকা ৭৬ পয়সা, আগের বছর ছিল ১ টাকা ৬৩ পয়সা।

রংপুর ফাউন্ড্রি

এই প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছে ৯৯ পয়সা, যা আগের বছর ছিল ৯০ পয়সা। ৯ মাসে কোম্পানির ইপিএস দাঁড়িয়েছে ৩ টাকা ১৭ পয়সা, আগের বছর ছিল ৩ টাকা ৭ পয়সা।

কেডিএস এক্সেসরিজ

তৃতীয় প্রান্তিকে ইপিএস বেড়ে হয়েছে ৫১ পয়সা, যা আগের বছর ছিল ৪৯ পয়সা। ৯ মাসে কোম্পানিটির ইপিএস দাঁড়িয়েছে ১ টাকা ৫৬ পয়সা, যা আগের বছর ছিল ১ টাকা ৪০ পয়সা।

এই ফলাফলগুলো প্রকৌশল খাতের সুস্থ আর্থিক গতিপথ এবং স্থিতিশীল ব্যবস্থাপনার ইঙ্গিত দেয়। কোনো কোম্পানি লোকসান থেকে লাভে ফিরেছে, আবার কেউ কেউ আগের চেয়ে আরও বেশি আয় করেছে। সামগ্রিকভাবে এটি বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি ইতিবাচক বার্তা বহন করে।

মো: রাজিব আলী/

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ