ঢাকা, রবিবার, ৪ মে ২০২৫, ২০ বৈশাখ ১৪৩২

Alamin Islam

Senior Reporter

কলকাতায় উত্তাল প্রতিবাদ, বন্ধের মুখে রিপাবলিক বাংলার সম্প্রচার?

বিশ্ব ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৫ মে ০৪ ০০:৫৩:৩২
কলকাতায় উত্তাল প্রতিবাদ, বন্ধের মুখে রিপাবলিক বাংলার সম্প্রচার?

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ নিয়ে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর অভিযোগে কলকাতা ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম রিপাবলিক বাংলা ও এর প্রধান উপস্থাপক ময়ুক রঞ্জন ঘোষ তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে ঘিরে নানা উসকানিমূলক সংবাদ প্রচার করে উত্তেজনা বাড়ানোর অভিযোগ উঠেছে চ্যানেলটির বিরুদ্ধে।

ময়ুক রঞ্জনের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ

চ্যানেলটির উপস্থাপক ময়ুক রঞ্জন ঘোষের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি দীর্ঘদিন ধরে সংবাদ উপস্থাপনার আড়ালে সাম্প্রদায়িক উস্কানি, অপমানজনক শব্দচয়ন ও অশোভন আচরণ চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর এমন আচরণ শুধু বাংলাদেশ নয়, ভারতের গণতন্ত্র ও সংবিধানের ভাবমূর্তিকেও ক্ষুণ্ণ করছে বলে মনে করছেন অনেকেই।

বিক্ষোভকারীদের দাবি, রিপাবলিক বাংলার প্রতিবেদনে বারবার হিন্দু-মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভেদ তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে। চ্যানেলটি একপাক্ষিক ও রাজনৈতিকভাবে পক্ষপাতদুষ্ট সংবাদ প্রচার করছে। তারা এটিকে সাংবাদিকতার নীতিমালার সম্পূর্ণ বিপরীত বলে উল্লেখ করেছেন।

কলকাতায় উত্তাল বিক্ষোভ

এই বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রচারের বিরুদ্ধে পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীরা কলকাতায় রিপাবলিক বাংলার অফিসের সামনে বিক্ষোভ করেছেন। বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য ছিল—এই চ্যানেলের কার্যক্রম বন্ধ না হলে এবং ময়ুক রঞ্জন ঘোষকে আইনের আওতায় না আনলে আন্দোলন আরও জোরদার হবে।

তারা সরাসরি অভিযোগ করে বলেন, রিপাবলিক বাংলার সাংবাদিকরা ভারতের কট্টর ডানপন্থী রাজনৈতিক গোষ্ঠী বিজেপি ও আরএসএসের পৃষ্ঠপোষকতায় কাজ করছেন। তাঁদের প্রতিবেদন বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে, যার মাধ্যমে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতেও প্রভাব ফেলতে চাওয়া হচ্ছে।

শতাধিক অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি

বিক্ষোভকারীরা জানিয়েছেন, ইতোমধ্যে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন থানায় রিপাবলিক বাংলা ও ময়ুক রঞ্জন ঘোষের বিরুদ্ধে শতাধিক অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তাঁরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপ কামনা করে বলেন, এই ধরনের উসকানিমূলক ও বিভাজনমূলক চর্চা বন্ধ না করলে তা রাজ্যের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি এবং অর্থনীতির জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াবে।

রিপাবলিক বাংলার বিরুদ্ধে এই বিক্ষোভ একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিচ্ছে—সংবাদমাধ্যমের নামে কেউ যদি বিভ্রান্তি ছড়িয়ে জনগণকে উসকানি দেয়, তবে তার বিরুদ্ধে জনরোষই সবচেয়ে বড় জবাব। এবার দেখার বিষয়, পশ্চিমবঙ্গ সরকার এই বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেয়।

আল-আমিন ইসলাম/

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ