ঢাকা, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

পিনাকী-ইলিয়াস-কনক একসঙ্গে দেশে ফিরছেন

রাজনীতি ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২৫ মে ২৩ ১৫:৫৭:৫০
পিনাকী-ইলিয়াস-কনক একসঙ্গে দেশে ফিরছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজনীতির উত্তপ্ত আবহে যখন ঘটনাপ্রবাহ ঘূর্ণিঝড়ের মতো ঘুরপাক খাচ্ছে, ঠিক তখনই ভার্চুয়াল দুনিয়া কাঁপিয়ে দিল এক ঘোষণা। তিন ভিন্ন ধারা, তিন ভিন্ন কণ্ঠ—কিন্তু এক অভিন্ন অবস্থান। দেশের প্রয়োজনে, গণতন্ত্রের প্রয়োজনে, আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণভাবে—ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পাশে দাঁড়ানোর প্রয়োজনেই একসঙ্গে দেশে ফিরবেন পিনাকী ভট্টাচার্য, ইলিয়াস হোসেন এবং কনক সরওয়ার।

শুক্রবার (২৩ মে) বাংলাদেশ সময় সোয়া ১১টায় এক ফেসবুক পোস্টে অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ও ইউটিউবার পিনাকী ভট্টাচার্য লেখেন,

“দেশের জন্য যদি প্রয়োজন হয়, তবে প্রফেসর ইউনূসের পাশে দাঁড়ানোর জন্য পিনাকী-ইলিয়াস-কনক সরওয়ার একসাথে ঢাকা এয়ারপোর্টে ল্যান্ড করবেন।”

এই একলাইনে বাজে বিদ্যুতের মতো এক আহ্বান, এক প্রতিজ্ঞা—যা শুধু ঘোষণা নয়, বরং প্রতীক হয়ে উঠতে পারে একটি বৃহত্তর ঐক্যের।

এমন এক সময় এই ঘোষণা এলো, যখন দেশজুড়ে গুঞ্জন—অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, নোবেলজয়ী ড. ইউনূস পদত্যাগের কথা ভাবছেন। রাজনীতির পাটাতন যেন প্রতিদিনই নতুন করে ঢেলে সাজানো হচ্ছে, আর তাতে প্রবলভাবে আলোচিত হচ্ছেন ইউনূস।

এদিকে দেশের দক্ষিণাঞ্চল থেকে আরও এক সুর উঠে এসেছে। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ এক স্ট্যাটাসে লেখেন,“যে বিভাজনটা অপ্রত্যাশিতভাবে আমাদের মধ্যে এসেছিল, সেই বিভাজনকে দেশ ও জাতির স্বার্থে মিটিয়ে ফেলতে হবে। পতিত ফ্যাসিবাদের দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র রুখতে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।”

তার এই বার্তায় যেন ফিরে আসে সেই পুরোনো কণ্ঠ—জাগো বাহে, কোনঠে সবাই।

আরও এগিয়ে গিয়ে বৃহস্পতিবার (২২ মে) বিকেলে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম লিখেছেন,“দেশপ্রেমিক শক্তির ঐক্য এখন সময়ের দাবি। আগের বিভাজনমূলক বক্তব্যের জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত। আমরা যদি সম্মান ও সংবেদনশীলতা নিয়ে এগোই, তবে ভবিষ্যৎ রাষ্ট্র হবে গণতান্ত্রিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক।”

তিন ভিন্ন কণ্ঠ—হাসনাত, মাহফুজ ও পিনাকী—তিনটি ধারা, কিন্তু লক্ষ্য একটাই: ঐক্য।

এখন প্রশ্ন, এই ‘প্রবাসী ত্রয়ী’র প্রত্যাবর্তন কি কেবল এক প্রতীক? নাকি এটি হতে যাচ্ছে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা? তারা যদি সত্যিই একসঙ্গে ঢাকার মাটিতে পা রাখেন, তবে সেই দৃশ্য হতে পারে চলমান অস্থিরতার বিরুদ্ধে এক প্রতীকী দাঁতভাঙা জবাব।

এই মুহূর্তে বাংলাদেশের রাজনীতির পথ যেন সরু এক দোলনার রশি—এক পাশে স্বপ্ন, অন্য পাশে আশঙ্কা। আর মাঝখানে দাঁড়িয়ে আছেন ইউনূস, একজন নোবেলজয়ী, একজন পথপ্রদর্শক, যাকে ঘিরে ক্রমেই গড়ে উঠছে সমর্থনের নতুন বৃত্ত।

পিনাকী-ইলিয়াস-কনকের ঘোষণাটি সেই বৃত্তে নতুন বল, নতুন গতি যোগ করল। এখন অপেক্ষা শুধু আকাশপথে ঘোষিত সেই আগমনের দিনের। ঢাকা এয়ারপোর্টে যদি সত্যিই তারা একসঙ্গে অবতরণ করেন, তবে ইতিহাসের পাতা যেন সেদিন একটু ভারী হবে।

জামাল/

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ