শেখ হাসিনার বিচার শুরু, সরাসরি লাইভ দেখুন

নিজস্ব প্রতিবেদক: সময়ের চাকা ঘুরে আবার ফিরে এলো সেই আগস্টের কাঁপুনি ধরানো দিনগুলোর হিসাব চাওয়ার সময়। ঢাকার আকাশে তখন ছিল ধোঁয়ার চাদর, রাস্তায় ছড়িয়ে ছিল ভাঙা মিছিল, ছিন্নভিন্ন মানুষের আহাজারি। আর সেই অধ্যায়ের কেন্দ্রে ছিলেন যাঁরা, এবার তাঁদেরই দাঁড়াতে হলো ইতিহাসের কাঠগড়ায়।
রোববার (১ জুন) সকালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কাঠখড় পেরিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে আমলে নেওয়া হলো এক অগ্নিগর্ভ অধ্যায়ের বিচার। মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে পাঁচটি গুরুতর অভিযোগ গৃহীত হয়েছে।
ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এ আদেশ দেন। সঙ্গে সঙ্গে শেখ হাসিনা ও কামালের বিরুদ্ধে জারি হয় নতুন করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা। আর চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে দেখানো হয়েছে ‘শ্যোন অ্যারেস্ট’।
এই মামলার গুরুত্ব শুধু আইনগত নয়, এটি এক জাতির গোপনে রাখা ক্ষত উন্মোচনের সাহস।
গত বছরের ৫ আগস্ট। রাস্তায় নেমেছিল ছাত্র-জনতা, বৈষম্যবিরোধী প্ল্যাকার্ড হাতে। কী চেয়েছিল তারা? সমতা, অধিকার, বেঁচে থাকার নিরাপদ দেশ। কিন্তু তারা পেয়েছিল লাঠি, গুলি, কাঁদানে গ্যাস, আর লাশে ঢাকা শহর। নিহত হয় এক হাজার পাঁচশর বেশি মানুষ। কোনো আদালতের, কোনো পার্লামেন্টের, এমনকি কোনো পাণ্ডুলিপির পাতায়ও তাদের মৃত্যুর ন্যায়বিচার লেখা ছিল না—আজকের দিনটি পর্যন্ত।
শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটে সেই রক্তমাখা ৫ আগস্টেই। এরপর দায়িত্ব নেয় শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। ঘোষণা আসে—আর নয় দমন-পীড়নের দায় এড়িয়ে যাওয়া, আর নয় নিপীড়কদের দায়হীনতা। পুনর্গঠিত হয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
১৪ আগস্ট শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গৃহীত হয়। তদন্ত শুরু হয় ১৪ অক্টোবর। দীর্ঘ ছয় মাস ২৮ দিনের অনুসন্ধানে খুঁজে বের করা হয়, কীভাবে রাষ্ট্রের নাম করে রাষ্ট্রের মানুষকে হত্যা করা হয়েছিল। ১২ মে জমা পড়ে তদন্ত প্রতিবেদন—তার ভিত্তিতেই আজকের এই ইতিহাস-রচনার দিন।
বিচার সম্প্রচারিত হয় জাতীয় টেলিভিশনে। আদালতের কাঠগড়া যেন হয়ে ওঠে এক জাতির মুখোমুখি হওয়ার আয়না—যেখানে দেখা যায় ক্ষমতার মুখোশ, আর শোনা যায় নিপীড়িতদের চাপা কান্না।
এই মামলা শুধু এক সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে নয়—এটি এক শাসনের বিরুদ্ধে, এক নীতির বিরুদ্ধে, এক লৌহযুগের বিরুদ্ধে এক ন্যায়ের অভিযাত্রা। মানুষ ভুলে যায়, কিন্তু ইতিহাস নয়। এখন প্রশ্ন একটাই—এই যাত্রার শেষ কোথায়?
সম্ভবত, একটি রায়ের মধ্য দিয়ে। অথবা, একটি জাতির আত্মশুদ্ধির সূচনায়।
মো: রাজিব আলী/
পাঠকের মতামত:
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- আজ বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কা ম্যাচ: লাইভ দেখার সহজ উপায় ও সময়সূচি
- এক কোম্পানির শেয়ার 'জেড' থেকে 'এ' ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর
- শেয়ারবাজারে আসছে বড় পরিবর্তন: ডিএসইর রেকর্ড ডেট প্ল্যান!
- শোক সংবাদ: মারা গেলেন মুফতি আহমদুল্লাহ
- 'জেড' থেকে 'এ' ক্যাটাগরি ও 'বি' থেকে 'জেড' ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর দুই কোম্পানির শেয়ার
- বিএনপিতে শোকের ছায়া: বিএনপি মহাসচিবের শোক প্রকাশ
- বিশেষজ্ঞদের সতর্কবার্তা: বি-ক্যাটাগরির ঝুঁকি, ৬ শেয়ারে অবিশ্বাস্য মুনাফা
- আগামীকাল শনিবার যে সকল এলাকায় ৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না
- দুই কোম্পানির ক্যাটাগরি পরিবর্তন
- লভ্যাংশ পেল ৩ কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা
- এক কোম্পানির শেয়ার ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর
- আর্সেনাল বনাম নটিংহাম ফরেস্ট: লাইভ দেখার উপায় ও সময়সূচি
- চলছে বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কা ম্যাচ: লাইভ দেখুন এখানে
- রেকর্ডের পর রেকর্ড! ইংল্যান্ডের টি-টোয়েন্টিতে ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান
- এক পরিবর্তন নিয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচের জন্য বাংলাদেশ একাদশ ঘোষণা