ঢাকা, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫, ১১ শ্রাবণ ১৪৩২

সরকারি চাকরিজীবীদের কঠোর নির্দেশনা দিলো সরকার

জাতীয় ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২৫ জুন ২৭ ১৭:৫২:৫৬
সরকারি চাকরিজীবীদের কঠোর নির্দেশনা দিলো সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক: সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য আর কোনো ঢিলেঢালা সময় ব্যবস্থার সুযোগ নেই। সকাল ৯টায় দপ্তরে ঢুকতে হবে ঠিকঠাক সময়ে, আর বের হওয়া যাবে না এক মিনিটও আগে। হ্যাঁ, বিকেল ৫টা বাজতেই অফিস শেষ—ততক্ষণ পর্যন্ত চেয়ার ছাড়াও ছাড় নেই।

সরকারি কর্মচারীদের সময়ানুবর্তিতা নিশ্চিত করতে সরকার ফের কঠোর মনোভাব নিয়েছে। ‘সরকারি কর্মচারী (নিয়মিত উপস্থিতি) বিধিমালা, ২০১৯’ অনুসারে, কর্মদিবসে সকাল ৯টার আগে অফিসে উপস্থিত থাকতে হবে সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের। কেউ দেরি করলে, কিংবা আগে চলে যেতে চাইলে নিতে হবে সুনির্দিষ্ট অনুমতি।

অফিস চলাকালে যদি জরুরি কোনো প্রয়োজনে বাইরে যেতে হয়, তবে মুখের কথা নয়, লাগবে নিজ অনুবিভাগ প্রধানের লিখিত অনুমতি। শুধু তা-ই নয়, দপ্তরে রাখা অফিস ত্যাগ রেজিস্ট্রারে দিতে হবে সঠিক এন্ট্রি। নিয়ম না মানলে অপেক্ষা করছে বেতন কর্তন, ছুটি বাতিল কিংবা বড় কোনো শাস্তি।

নিয়ম ভাঙলেই শাস্তি—বারবার দেরিতে এলেই কাটা যাবে সাত দিনের বেতন!

সরকারি চাকরিতে শৃঙ্খলা মানেই শাস্তির ভীতি নয়, বরং কাজের প্রতি দায়বদ্ধতা। কিন্তু কেউ যদি সেই দায় এড়িয়ে যান—বারবার দেরিতে আসেন, অজুহাতে সময়ের আগেই অফিস ত্যাগ করেন, কিংবা হঠাৎ বেপাত্তা হন কর্মস্থল থেকে—তাহলে মাফ নেই।

বিধিমালা অনুযায়ী, যুক্তিসঙ্গত কারণ ছাড়া দেরি করলে কর্তন করা যেতে পারে সেই দিনের বেতন বা বরাদ্দকৃত ক্যাজুয়াল লিভ থেকে ছুটি। আর নিয়মিত এই অনিয়ম হলে, কর্তন হতে পারে সাত দিনের মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ!

শৃঙ্খলা মানলেই পেশাগত শ্রদ্ধা

সরকার মনে করে, দাপ্তরিক সময়ের প্রতি শ্রদ্ধা দেখানো মানেই নাগরিক সেবাকে অগ্রাধিকার দেওয়া। আর সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এই নিয়ম মেনে চললে বাড়বে কাজের মান, জনগণের আস্থা এবং দেশের উন্নয়নের গতি।

তাই দপ্তরের ঘণ্টা পুরোটা বাজা পর্যন্ত, আপনার অফিস আপনাকে চাইবেই। এক মিনিট আগে নয়, ঠিক সময়েই বলুন: "আসসালামু আলাইকুম, কাল দেখা হবে!"

আল-আমিন ইসলাম/

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ