ঢাকা, শুক্রবার, ৮ আগস্ট ২০২৫, ২৪ শ্রাবণ ১৪৩২

মৌসুমি ঠান্ডা-অ্যালার্জি প্রতিকার ও প্রতিরোধের কার্যকর উপায়

স্বাস্থ্য ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২৫ আগস্ট ০৭ ১২:৫৫:২৭
মৌসুমি ঠান্ডা-অ্যালার্জি প্রতিকার ও প্রতিরোধের কার্যকর উপায়

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রতি বছরই বর্ষা, শরৎ বা শীতকালে অনেকেই ঠান্ডা ও অ্যালার্জির সমস্যায় ভোগেন। কখনও গলা ব্যথা, কখনও কাশি, আবার কারও ক্ষেত্রে নাক বন্ধ ও হাঁচি-কাশির মাধ্যমে অ্যালার্জি দিনভর অস্বস্তি তৈরি করে। এই সিজনাল সমস্যা অনেকের জন্য বারবারের যন্ত্রণা হয়ে দাঁড়ায়। তবে কিছু কার্যকর উপায় মেনে চললে এই ধরণের ঠান্ডা ও অ্যালার্জি সহজেই প্রতিরোধ ও প্রতিকার সম্ভব।

কেন হয় সিজনাল ঠান্ডা-অ্যালার্জি?

১. হঠাৎ আবহাওয়ার পরিবর্তন:

শরীর তাপমাত্রা বা আর্দ্রতার হঠাৎ পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে না পারলে ঠান্ডা লাগার আশঙ্কা বাড়ে।

২. ধুলাবালি ও দূষণ:

বাতাসে ভেসে থাকা ধুলা, পরাগকণা, ফাঙ্গাস বা ধোঁয়া শ্বাসনালীতে প্রবেশ করে অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া ঘটায়।

৩. ভাইরাস সংক্রমণ:

বর্ষা বা শীত মৌসুমে ফ্লু, রাইনোভাইরাসসহ নানা ভাইরাস সক্রিয় হয়ে পড়ে।

৪. দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা:

ইমিউন সিস্টেম দুর্বল হলে ঠান্ডা বা অ্যালার্জিতে সহজেই আক্রান্ত হওয়া যায়।

লক্ষণ যেগুলো অবহেলা করা উচিত নয়

বারবার হাঁচি বা কাশি

গলা ব্যথা বা চুলকানি

নাক দিয়ে পানি পড়া বা নাক বন্ধ

চোখ চুলকানো বা পানি পড়া

শ্বাসকষ্ট বা বুক ভার লাগা

জ্বর বা শরীর ব্যথা

প্রতিরোধের কার্যকর উপায়

মাস্ক ব্যবহার করুন:

বাইরে বের হলে ধুলাবালি ও অ্যালার্জেন থেকে বাঁচতে মাস্ক ব্যবহার করুন।

ঘরের পরিবেশ পরিষ্কার রাখুন:

কার্পেট, পর্দা, বিছানা ও সোফা ধুলোমুক্ত রাখুন।

পুষ্টিকর খাবার খাওয়া অভ্যাস করুন:

ভিটামিন C (লেবু, আমলকি), ভিটামিন D, জিঙ্ক ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমৃদ্ধ খাবার ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে।

পর্যাপ্ত পানি ও ঘুম:

প্রতিদিন কমপক্ষে ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম ও পর্যাপ্ত পানি পান ঠান্ডা প্রতিরোধে সহায়ক।

ধূমপান থেকে বিরত থাকুন:

ধূমপান শ্বাসনালির প্রতিরক্ষা কমিয়ে দেয় এবং সমস্যা বাড়ায়।

ঘরোয়া প্রতিকার যা কাজে দেয়

গরম পানির ভাপ: নাক বন্ধ ও কফ পরিষ্কারে কার্যকর।

লবণ পানির গার্গল: গলা ব্যথা ও জীবাণু ধ্বংসে সহায়তা করে।

আদা, মধু ও লেবুর চা: কাশি ও ঠান্ডা উপশমে কার্যকর প্রাকৃতিক প্রতিকার।

হালকা গরম পানি পান: সারা দিনে কয়েকবার পান করলে গলা পরিষ্কার থাকে।

কখন ডাক্তার দেখাবেন?

৭–১০ দিনের বেশি কাশি বা নাক বন্ধ থাকলে

শ্বাস নিতে কষ্ট হলে বা বুকে চাপ অনুভব করলে

জ্বর ১০১ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি হলে

শিশু, বয়স্ক ও হাঁপানি রোগীর ক্ষেত্রে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি

মৌসুমি ঠান্ডা ও অ্যালার্জি এড়াতে প্রতিদিনের অভ্যাসেই সবচেয়ে বড় প্রতিকার লুকিয়ে আছে। একটু সচেতনতা ও ঘরোয়া যত্ন আপনাকে রাখতে পারে সুস্থ ও শক্তিশালী। তবে অবহেলা করলে সাধারণ ঠান্ডা থেকেও বড় সমস্যা তৈরি হতে পারে, তাই সতর্ক থাকাই বুদ্ধিমানের কাজ।

জামিরুল ইসলাম/

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ