MD. Razib Ali
Senior Reporter
ডাকসু নির্বাচন নিয়ে বিশাল স্ট্যাটাসে যা বললেন জুলকারনাইন সায়ের
বাংলাদেশ প্রায় দুই দশক পর এমন উৎসবমুখর নির্বাচনী পরিবেশ প্রত্যক্ষ করল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন শুধু একটি ছাত্রসংসদের ভোটই নয়, বরং গণতান্ত্রিক অংশগ্রহণের প্রতীকী ঘোষণা হয়ে উঠেছে। বিপুল ভোটার উপস্থিতি দীর্ঘদিনের দমিত ভোটাধিকার প্রয়োগের আকাঙ্ক্ষাকে স্পষ্টভাবে তুলে ধরেছে।
আল-জাজিরার সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের সামির মতে, ফলাফল যেমনই হোক না কেন, সব রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর তা মেনে নেওয়া উচিত। কারণ এটি কেবল ছাত্ররাজনীতির প্রতিদ্বন্দ্বিতা নয়, বরং বৃহত্তর জাতীয় গণতন্ত্রের অনুশীলন।
তবে এক স্বতন্ত্র প্রার্থী রূপাইয়া তঞ্চঙ্গ্যার অভিযোগ নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে কিছু বিতর্ক তৈরি হয়েছে। তিনি দাবি করেছেন, একটি ব্যালটে আগে থেকেই চিহ্ন দেওয়া ছিল। কিন্তু এই অভিযোগ সরাসরি তিনি দেখেননি—একজন বন্ধুর কাছ থেকে শুনেছেন।বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এ ধরনের অযাচাইকৃত ও যুক্তিহীন অভিযোগকে প্রমাণ হিসেবে গ্রহণযোগ্য ধরা যায় না। নির্বাচনী কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সংশ্লিষ্ট প্রার্থী বুথে গিয়ে কিছুক্ষণ অবস্থান করার পর অভিযোগ তুলেছেন, যা বরং প্রশ্ন তৈরি করছে।
পর্যবেক্ষকদের মতে, হাজার হাজার ভোটারের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত একটি নির্বাচনের স্বচ্ছতাকে কেবল একটি অযাচাইকৃত দাবি দিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ করা যায় না। এজন্যই সেখানে সিসিটিভি ও নির্বাচনী কর্মকর্তাদের উপস্থিতি ছিল, যাতে অনিয়ম ঘটলে তাৎক্ষণিকভাবে তদন্ত করা যায়।
সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, দীর্ঘদিন ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত অনেক শিক্ষার্থী ও নন-রেসিডেন্ট ভোটার আনন্দের সঙ্গে ভোট দিয়েছেন। সামাজিক মাধ্যমের গুজব তাদের উদ্দীপনা নষ্ট করতে পারেনি।
জুলকারনাইন সায়ের সামি মনে করেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্র এখন সবচেয়ে বেশি যেটি প্রয়োজন তা হলো নিয়মিত ও সৎ নির্বাচন। পরাজয়কে মেনে নেওয়া এবং পরবর্তী প্রতিযোগিতার জন্য প্রস্তুত থাকা গণতন্ত্রের মূল সৌন্দর্য। তাই বিচ্ছিন্ন অভিযোগকে বড় করে না তুলে বরং নিয়মিত ও প্রাতিষ্ঠানিক নির্বাচনী প্রক্রিয়া গড়ে তোলার দিকেই মনোযোগী হওয়া উচিত।
ডাকসুর এই অভিজ্ঞতা একটি স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে: বাংলাদেশের মানুষ ভোট দিতে চায়, তাদের কণ্ঠস্বর শোনাতে চায়। সুতরাং জাতীয় নির্বাচন নিয়ে টালবাহানা না করে সব দলের উচিত গণতন্ত্রের পথে এগিয়ে যাওয়া। অন্যথায়, জনগণকে বঞ্চিত করার প্রবণতা শেষ পর্যন্ত স্বৈরাচারের পথই সুগম করবে।
আল-মামুন/
পাঠকের মতামত:
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তান সেমিফাইনাল: শেষ হলো ম্যাচ, জেনে নিন ফলাফল
- লিভারের বিপদ বুঝবেন যেভাবে: ত্বকের ৪টি পরিবর্তন আজই চিনে নিন
- বিএনপির মনোনয়নে বড় রদবদল: যাদের কপাল খুলল, বাদ পড়লেন যারা
- বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তান সেমিফাইনাল: লড়াকু টার্গেট দিল বাংলাদেশ
- ILT20-গালফ জায়ান্টস বনাম দুবাই ক্যাপিটালস: সরাসরি Live দেখুন এখানে
- প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ: ২ জানুয়ারি নতুন পদ্ধতিতে হবে পরীক্ষা
- আজকের সোনার দাম: (শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫)
- চলতি সপ্তাহেই এজিএম ৫২টি তালিকাভুক্ত কোম্পানি
- ত্বকেই মিলবে লিভারের রোগের আভাস: এই ৪ লক্ষণ দেখা দিলে সাবধান
- বিপিএল ২০২৫: ২০০ টাকায় গ্যালারিতে বসে খেলা দেখার সুযোগ, টিকিট কাটবেন যেভাবে
- আইএল টি২০: সেরা ৫ উইকেট শিকারি বোলার তালিকা, জানুন মুস্তাফিজের অবস্থান
- সূচক কমলেও ডিএসইর ৪ শেয়ারে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়
- ফ্রান্স ও ক্রোয়েশিয়া ম্যাচের সময়সূচি ঘোষণা করলো ব্রাজিল
- আজকের সোনার দাম: (রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫)
- বিপিএলের সময়সূচি পরিবর্তন, জানুন নতুন সময়সূচি