ঢাকা, বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫, ৭ কার্তিক ১৪৩২

MD. Razib Ali

Senior Reporter

বদহজম, গ্যাস, অ্যাসিডিটি? মাত্র ৫ অভ্যাসে পান স্থায়ী মুক্তি

লাইফ স্টাইল ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২৫ অক্টোবর ২২ ০৮:৪২:৩০
বদহজম, গ্যাস, অ্যাসিডিটি? মাত্র ৫ অভ্যাসে পান স্থায়ী মুক্তি

পেট ফোলা, অ্যাসিডিটি, হজমের ধীর গতি এবং অনিয়মিত মলত্যাগের মতো সমস্যাগুলো আমাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রতিকূল প্রভাব ফেলে। সুস্বাস্থ্যের জন্য পরিপাক ক্রিয়ার সুস্থতা অত্যাবশ্যক। এই সাধারণ অথচ কষ্টদায়ক সমস্যাগুলি থেকে মুক্তি পেতে কেবল জীবনযাপন এবং খাদ্যাভ্যাসে কিছু সুচিন্তিত পরিবর্তন আনা যথেষ্ট। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিম্নলিখিত পাঁচটি কৌশল অবলম্বন করলেই আপনার হজমতন্ত্র হবে আরও শক্তিশালী ও সক্রিয়।

আসুন জেনে নেওয়া যাক হজম সংক্রান্ত অস্বস্তি দূর করার জন্য পাঁচটি কার্যকর উপায়:

১. ঈষদুষ্ণ ডিটক্স পানীয় দিয়ে দিন শুরু

সকালের প্রাতরাশ শুরু করার আগে আপনার শরীরকে প্রস্তুত করুন। লেবু, আদা কিংবা জিরার মতো উপাদান মিশিয়ে ঈষদুষ্ণ জলের একটি গ্লাস দিয়ে আপনার সকাল শুরু করুন। এই পানীয় পরিপাকতন্ত্রে গতির সঞ্চার করে, শরীরকে ডিটক্সিফাই করে এবং যকৃতের কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে।

২. প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ খাবারকে গুরুত্ব দিন

অন্ত্রের স্বাস্থ্যের ওপরই সামগ্রিক হজম ক্ষমতা নির্ভর করে। তাই দই, বাটারমিল্ক, গাঁজানো খাদ্য যেমন ইডলি, পান্তা ভাত অথবা বাড়িতে তৈরি আচার আপনার খাবারের তালিকায় স্থান দিন। এই খাবারগুলো অন্ত্রের মাইক্রোবায়োমকে সুষম রেখে পরিপাক ক্ষমতাকে গতিশীল করে এবং রোগ প্রতিরোধের ভিত্তি মজবুত করে।

৩. চিনি ও ক্যাফেইন ধীরে ধীরে বর্জন করুন

চা, কফি এবং অতিরিক্ত মিষ্টি পরিপাকতন্ত্রে প্রদাহ সৃষ্টি করে অ্যাসিডিটি বাড়িয়ে দেয়। তাই এগুলো ধীরে ধীরে বর্জন করার উদ্যোগ নিন। এর পরিবর্তে, হজমে সহায়ক মৌরি, আদা অথবা ক্যামোমাইল চা পান করতে পারেন। মিষ্টির তীব্র ইচ্ছা হলে স্বাস্থ্যকর বিকল্প হিসেবে খেজুর কিংবা স্ট্রবেরির মতো ফল গ্রহণ করুন।

৪. বেছে নিন সহজপাচ্য ও ফাইবার-সমৃদ্ধ খাদ্য

হজমের জটিলতা কমাতে খাবার নির্বাচনের দিকে বিশেষ মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন। শাক-সবজি, ডাল, স্যুপ ও খিচুড়ির মতো সহজপাচ্য, ফাইবার-সমৃদ্ধ খাদ্যগুলি বেছে নিন। এগুলি পেটে কোনো চাপ সৃষ্টি করে না। ওটস, স্প্রাউটস বা সাবুদানার মতো আঁশযুক্ত খাবার গ্রহণ মলত্যাগকে নিয়মিত করে এবং দীর্ঘ সময় ক্ষুধা দমন করে।

৫. একটি সুনির্দিষ্ট খাবারের সময়সূচী তৈরি করুন

পরিপাক ক্রিয়াকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার জন্য খাওয়ার সময়কে নিয়মানুবর্তিতায় বাঁধুন এবং একটি নির্দিষ্ট সময়সূচী মেনে চলুন। রাতের খাবার ঘুমাতে যাওয়ার কমপক্ষে দুই থেকে তিন ঘণ্টা আগে শেষ করা উচিত। এই অভ্যাসটি হজম প্রক্রিয়াকে সুসংগঠিত রাখে এবং খাবারের পরে পেটের স্ফীতি হ্রাস করে।

এই পাঁচটি দৈনন্দিন পরিবর্তন আপনার পরিপাকতন্ত্রের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত কার্যকর। সঠিক জীবনযাত্রার মাধ্যমে আপনি বদহজমের সমস্যাকে সহজেই দূরে সরিয়ে রেখে একটি সুস্থ জীবনযাপন করতে পারেন।

আল-মামুন/

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ