সব রের্কড ভেঙ্গে প্রথম বোলার হিসেবে রেকর্ড গড়লো মুস্তাফিজ

আজও মিরপুরে তেমন পরিস্থিতি। ২৩ রান দরকার ১২ বলে। উইকেটে আছেন ড্যান ক্রিশ্চিয়ান এবং অ্যালেক্স ক্যারে।
ক্রিশ্চিয়ান আবার বিশ্বব্যাপি ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেট খেলা টি-টোয়েন্টির ঝানু ক্রিকেটার। এসব পরিস্থিতি বেশ ভালোভাবে সামাল দেয়ার দারুণ দক্ষতা রয়েছে তার। যে কারণে ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেটে তার চাহিদাও আকাশছোঁয়া।
রানের ব্যবধান কমিয়ে আনার জন্য শুধুমাত্র দুটি শটই যথেষ্ট। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অহরহ ঘটে এমন ঘটনা। অস্ট্রেলিয়ানরা হয়তো সে আশাই করেছিল।
কিন্তু তাদের হয়তো জানা ছিল না, বিপরীতে যিনি বল হাতে নিয়েছেন তিনি স্লগ ওভারে খুবই ভয়ঙ্কর এক বোলার। আইপিএলে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ যেবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল, সেবার তার এই স্লগ ওভারের ক্যারিশমাকেই কাজে লাগিয়েছিল বেশ।
শুধু হায়দরাবাদ কেন, মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সও একইভাবে তাকে কাজে লাগিয়েছিল। জসপ্রিত বুমরাহ আর বাংলাদেশের এই বাঁ-হাতি পেসার মিলে প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যনদের জন্য রীতিমত ত্রাস সৃষ্টি করেছিলেন।
আর এবার বাংলাদেশের এই বাঁ-হাতি পেসার, কাটার মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমানকে তো পড়তেই দিন শেষ অস্ট্রেলিয়ানদের। তারা স্বীকারই করে নিয়েছে, মোস্তাফিজকেই বুঝতে পারছেন না তারা।
নাহ! পারেননি ড্যান ক্রিশ্চিয়ান এবং অ্যালেক্স ক্যারেও। যে ওভারটা ম্যাচের জয়-পরাজয় নির্ধারণ করে দিয়েছে, সেটা মূলতঃ মোস্তাফিজের করা ইনিংসের ১৯তম ওভারটি।
১২ বলে ২৩ রান প্রয়োজন। মোস্তাফিজের ওভার শেষে অস্ট্রেলিয়ার রিকুইয়ার্ড রান দাঁড়াল ২২। অর্থ্যাৎ ৬ বলে দরকার ২২ রান।
কী কৃপণ মোস্তাফিজ! কঠিন এমন পরিস্থিতিতেই কি না তিনি রান দিলেন কেবল ১টি! ওভারের দ্বিতীয় বলে অ্যালেক্স ক্যারে ১টি রান নিয়েছিলেন। পরের চার বল ড্যান ক্রিশ্চিয়ান শুধু বল ঠেকিয়েই গেলেন। রান নিতে পারলেন না।
অসিরা যদি বলে যে স্লো এবং লো ট্র্যাক তৈরি করে তাদেরকে হারিয়েছে বাংলাদেশ, তাহলে মোস্তাফিজের বলকে কী বলবে তারা?
মোস্তাফিজ তো আর স্পিনার নন। শেষ মুহূর্তের সেই কঠিন পরিস্থিতিতে মোস্তাফিজকেই তারা সামলাতে পারেনি। গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে পুরো এক ওভার থেকে নিলো কেবল ১ রান।
মোস্তাফিজকে কোনো উইকেট দেবে না- এই ধনুর্ভঙ্গ পণ করেই হয়তো মাঠে নেমেছিল অস্ট্রেলিয়ানরা। সে কারণে কাটার মাস্টারের নামের পাশে উইকেটসংখ্যা শূন্য।
কিন্তু তাতে কি! আসল কাজটিই তো করে দিয়েছেন তিনি। পুরো ৪ ওভার বল করে রান দিলেন কেবল ৯টি। একটি বাউন্ডারি কিংবা ছক্কা পর্যন্ত মারতে পারেনি তার বল থেকে।
পরের ওপর শেখ মাহদিও কৃপণতার পরিচয় দিলেন। প্রথম বলে হয়তো ছক্কা মেরে ঘাবড়ে দিতে চেয়েছিলেন অ্যালেক্স ক্যারে। কিন্তু শেষ ৫ বলে নিজের জাত ছিনিয়ে দিলেন মাহদি।
সুতরাং, জয়টাও চলে এলো অনায়াসে। যেখানে মূলতঃ টার্নিং পয়েন্টই ছিল মোস্তাফজের ১৯তম ওভারে মাত্র ১ রান দেয়ার ঘটনা। বাংলাদেশের ১ম কোনো বোলার যে টি-২০ ফরম্যাটে এক ইনিংসে কোনো বাউন্ডারি হজম করেনি।
মুস্তাফিজের ইতিহাস গড়া বোলিং ফিগার
১. ৪ ওভারে মাত্র ৯ রান
২. ১৫ ডটবল
৩. হজম করেননি কোনো বাউন্ডারি
অষ্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পরেরদিন ৪র্থ টি-টোয়েন্টিকে নিজের রের্কড ভেঙ্গে নতুন রেকর্ড গড়লেন মুস্তাফিজুর রহমান।
মুস্তাফিজের ইতিহাস গড়া বোলিং ফিগার
১. ৪ওভারে মাত্র ৯ রান
২. ১৭ ডট বল
৩. হজম করেননি কোনো বাউন্ডারি
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কা: বৃষ্টির কারণে বন্ধ ম্যাচ
- আলোচিত ১০ সিনেমা যেখানে নায়ক-নায়িকা সত্যি মিলিত হয়েছেন
- ভারতের সাবেক স্পিনার দিলীপ দোশী মারা গেলেন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে
- শেখ হাসিনা যাকে প্রধানমন্ত্রী করতে চেয়েছিলেন, জানালেন অলি
- আ. লীগের কার্যক্রম স্থগিত, নিষিদ্ধ করা হয়নি: ড. ইউনূস
- ভয়াবহ অন্ধকারে ঢাকার একাংশ
- সাপে কামড়ানোর পর ১০ মিনিটের মধ্যে যা করবেন, তাতেই বাঁচবেন
- করোনা সংক্রমণ: স্কুল বন্ধ নাকি চলবে, সিদ্ধান্ত জানালো মাউশি
- বিনিয়োগকারীদের জন্য সতর্কবার্তা দিল ডিএসই
- বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কা: শান্ত-নিসাঙ্কার সেঞ্চুরিতে ড্র টেস্ট
- শ্রীলঙ্কা বনাম বাংলাদেশ: বৃষ্টির কারণে বন্ধ দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচ
- বিনিয়োগকারীদের নজর কেড়েছে ৩ কোম্পানির শেয়ারে
- বিদেশি বিনিয়োগকারীদের নজরে পাঁচ কোম্পানি
- সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য সুখবর: বাড়ল বিশেষ প্রণোদনা
- বাজারে সামগ্রিক মন্দার মাঝেও বস্ত্র খাতের ৫ কোম্পানির চমক