ইউরিক অ্যাসিড থেকে কিডনি রক্ষায় যেসব খাবার খাবেন

ইউরিক অ্যাসিড যখন শরীরে বাড়তে থাকে, তখন তা শুধু শরীরের অস্থিসন্ধি বা গাঁটে ব্যথা তৈরি করে না, বরং কিডনির উপরেও মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে। অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড কিডনিতে পাথর তৈরি করতে পারে, যা কিডনির কর্মক্ষমতা ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়লে গাঁটে গাঁটে ব্যথা, প্রস্রাবে সমস্যা এবং শরীরে অতিরিক্ত টক্সিন জমে যাওয়ার সমস্যা তৈরি হয়। তবে এই সমস্যাটি নিয়ন্ত্রণে রাখতে, নিয়মিত জীবনযাপন এবং কিছু সহজ আয়ুর্বেদিক ডিটক্স পানীয় ব্যবহার করা যেতে পারে।
বিশ্বব্যাপী প্রায় ৪.৫ কোটি মানুষ ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যায় ভুগছেন এবং অনেকেই গাঁটের ব্যথা বা কিডনির সমস্যায় শয্যাশায়ী হয়ে পড়েছেন। যখন ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বৃদ্ধি পায়, তখন শরীরের অস্থিসন্ধি, মূত্রনালি ও অন্যান্য জায়গায় এটি জমা হতে শুরু করে। এর ফলে নানা ধরনের শারীরিক জটিলতা দেখা দিতে পারে, তবে আয়ুর্বেদের ভেষজ পানীয়গুলো নিয়মিত খেলে ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
১. গুলঞ্চের চা
গুলঞ্চ একটি শক্তিশালী ভেষজ যা শরীর থেকে টক্সিন দূর করতে সক্ষম। গুলঞ্চ গাছের পাতা ও কিছু ডাল রাতভর জলে ভিজিয়ে রেখে, পরদিন সকালে এগুলো গুঁড়ি করে এক গ্লাস জলে ১-২ চামচ গুলঞ্চের গুঁড়ো মিশিয়ে ৫-৭ মিনিট ফুটিয়ে নিন। এই চা শরীরের ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমাতে এবং কিডনির স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে সাহায্য করে।
২. ত্রিফলা চা
ত্রিফলা হলো আমলকি, হরিতকি এবং বহেরা – এই তিনটি ফলের শক্তিশালী মিশ্রণ। ত্রিফলা খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে, হজমশক্তি উন্নত হয় এবং শরীরের অতিরিক্ত টক্সিন বের হয়ে যায়। এক চামচ ত্রিফলা গুঁড়ো এক কাপ জলে সারা রাত ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে পান করুন। এটি ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করবে এবং শরীরের সুস্থতা বজায় রাখবে।
৩. নিম-তুলসীর রস
নিম এবং তুলসী দুইটি প্রাকৃতিক ডিটক্স উপাদান, যা শরীরের প্রদাহ কমাতে এবং কিডনির কার্যক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এক মুঠো নিমপাতা এবং তুলসীপাতা এক কাপ জলে ৫-৭ মিনিট ফুটিয়ে ঠান্ডা করে ছেঁকে পান করুন। এটি ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমাতে এবং শরীরকে স্বাভাবিক রাখতে কার্যকরী।
৪. ধনে ভেজানো জল
ধনে ভেজানো জল হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে, ওজন কমাতে এবং কিডনির সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। এক চা চামচ ধনের বীজ এক গ্লাস জলে সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন সকালে সেই জল ছেঁকে পান করুন। এটি শরীরের ইউরিক অ্যাসিড কমিয়ে দেয় এবং কিডনির জন্য উপকারী।
এই আয়ুর্বেদিক পানীয়গুলো নিয়মিত খেলে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব, তবে সেগুলোর সঙ্গে সঠিক খাদ্যাভ্যাস এবং পর্যাপ্ত জলপানও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা দীর্ঘমেয়াদী হতে পারে, তবে স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা, নিয়মিত শরীরচর্চা এবং আয়ুর্বেদিক টোটকা মেনে চললে একে সহজেই নিয়ন্ত্রণে রাখা যেতে পারে।
পাঠকের মতামত:
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- আজ বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কা ম্যাচ: লাইভ দেখার সহজ উপায় ও সময়সূচি
- ৫ ব্যাংকের শেয়ার বাজেয়াপ্ত: সরকারি সিদ্ধান্তে শেয়ারহোল্ডাররা দিশেহারা!
- এক কোম্পানির শেয়ার 'জেড' থেকে 'এ' ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর
- 'জেড' থেকে 'এ' ক্যাটাগরি ও 'বি' থেকে 'জেড' ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর দুই কোম্পানির শেয়ার
- শেয়ারবাজারে আসছে বড় পরিবর্তন: ডিএসইর রেকর্ড ডেট প্ল্যান!
- বিএনপিতে শোকের ছায়া: বিএনপি মহাসচিবের শোক প্রকাশ
- বিশেষজ্ঞদের সতর্কবার্তা: বি-ক্যাটাগরির ঝুঁকি, ৬ শেয়ারে অবিশ্বাস্য মুনাফা
- আগামীকাল শনিবার যে সকল এলাকায় ৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না
- অন্ধকারে 'জেড' ক্যাটাগরির ৯ শেয়ার: বিনিয়োগকারীদের জন্য সতর্কবার্তা!
- দুই কোম্পানির ক্যাটাগরি পরিবর্তন
- সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য মহার্ঘ ভাতা: গ্রেড অনুযায়ী কার কত বেতন বাড়ছে
- লভ্যাংশ পেল ৩ কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা
- এক কোম্পানির শেয়ার ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর
- আর্সেনাল বনাম নটিংহাম ফরেস্ট: লাইভ দেখার উপায় ও সময়সূচি
- চলছে বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কা ম্যাচ: লাইভ দেখুন এখানে