এবার বিচার হতে যাচ্ছে শেখ হাসিনার, তদন্ত সম্পূর্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যার চলমান তদন্ত এখন এক গুরুত্বপূর্ণ পর্বে পৌঁছেছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, আগামী এপ্রিল মাসে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর আনুষ্ঠানিক বিচার প্রক্রিয়া শুরু হবে।
শেখ হাসিনার শাসনামলে মানবাধিকার লঙ্ঘন: এক নজরে
তদন্তকারীরা জানিয়েছে, ২০০৯ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত শেখ হাসিনার শাসনামলে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং গণহত্যার সঙ্গে তার সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে। বিশেষভাবে, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে বাংলাদেশে ছাত্র আন্দোলনের সময় তার সরকারের পক্ষ থেকে চালানো সহিংসতা আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক আলোচিত হয়েছে। প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, এই সময়ের মধ্যে বিচারবহির্ভূত হত্যা, নির্বিচারে গুলি চালানো, গ্রেপ্তার এবং নির্যাতনসহ নানা মানবাধিকার লঙ্ঘন ঘটেছে, যা বিশ্বজুড়ে সমালোচনার ঝড় সৃষ্টি করেছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনের প্রতিবেদন: নতুন তথ্য
১২ ফেব্রুয়ারি জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশন প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, শেখ হাসিনার শাসনামলে বিচারবহির্ভূত হত্যা, নির্বিচারে গুলি চালানো, গ্রেপ্তার এবং নির্যাতনের মতো গম্ভীর মানবাধিকার লঙ্ঘন ঘটনা ঘটেছে। প্রতিবেদনে শেখ হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন এবং মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।
সাক্ষী সংগ্রহ এবং প্রমাণ: কী বলছেন তদন্তকারীরা?
তদন্তকারী সংস্থাগুলো ইতোমধ্যে ২৭০ থেকে ৩০০ সাক্ষী সংগ্রহ করেছে। এসব সাক্ষী ভিকটিম, শহীদ পরিবারের সদস্য, প্রত্যক্ষদর্শী, গণমাধ্যমকর্মী, ডিজিটাল প্রমাণ, সিসিটিভি ফুটেজসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উপস্থাপন করবেন। এসব সাক্ষ্য ভবিষ্যতে তদন্তের গতিপথ এবং বিচার প্রক্রিয়ার মূল ভিত্তি হবে।
পলাতক হলে কী হবে? বিচার প্রক্রিয়ার ভবিষ্যৎ
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রতিবেদন গ্রহণ করার পর যদি শেখ হাসিনা আদালতে উপস্থিত না হন, তবে তাকে পলাতক হিসেবে চিহ্নিত করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। এটি বিচার প্রক্রিয়ার একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। পাশাপাশি, মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হবে এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ যাচাই-বাছাই করবে।
৩০০ মামলা এবং বিচার প্রক্রিয়ার সময়সীমা
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে ৩০০টিরও বেশি মামলা দায়ের করা হয়েছে, এবং আগামী ১৮ এপ্রিল তারিখে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। যদিও এই বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে দেশব্যাপী বিতর্ক রয়েছে, তবে অনেকেই বিশ্বাস করেন যে, এই বিচার প্রক্রিয়া বাংলাদেশের গণতন্ত্র এবং মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নতি করবে।
রাজিব/
রাজনীতি - এর সব খবর
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- আছিয়ার শেষ স্বীকারোক্তি: আছিয়া নিজে বলে গেছে ধ/র্ষণ করেছে কে (ভিডিওসহ)
- আইপিএলে তাসকিনকে দলে নিবে কি না জানিয়ে দিলো লখনৌ
- শেয়ারবাজারে কারসাজি: বিএসইসি'র কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে তদন্তে সামনে এলো গুরুত্বপূর্ণ নাম
- বাড়লো সৌদি রিয়াল রেট বিনিময় হার (১৩ মার্চ ২০২৫)
- আছিয়ার ধ/র্ষক দুলাভাই কে নিয়ে তথ্য দিলেন তার শ্রেণী শিক্ষক মাহফুজ
- মাগুরার আছিয়ার বোনের বক্তব্য: শোনেন আসল সত্যিটা (ভিডিওসহ)
- শিশু আছিয়া ধ/র্ষণ ও হ/ত্যা মামলার প্রধান আসামী হিটু শেখের আদালতে স্বীকারোক্তি
- দ্য হান্ড্রেডে বাংলাদেশের ২৯ ক্রিকেটার শেষ হলো নিলাম
- বাড়লো সৌদি রিয়াল রেট বিনিময় হার
- শেখ হাসিনার দেশে ফিরে আসা নিয়ে ট্রাম্পের পোস্ট জানা গেল সত্যতা
- দুই কোটি নয় মুস্তাফিজকে দলে নিতে কলকাতাকে গুনতে হবে ৬.৫ কোটি রুপি
- মুস্তাফিজ নাকি তাসকিন আইপিএল খেলার জন্য কাকে এনওসি দিবে বিসিবি
- ৭৫ লাখ রুপিতে আইপিএলে দল পেলেন মুস্তাফিজের সতীর্থ
- আওয়ামী লীগের পতনের কারণ
- বিশ্বকাপ বাছাই পর্ব থেকে বিদায় ব্রাজিল