
MD. Razib Ali
Senior Reporter
চুপ্পুকে সরিয়ে জাতীয় নির্বাচনে আগে নতুন রাষ্ট্রপতি চান পিনাকি

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে এখন সবচেয়ে আলোচিত প্রশ্ন—কে হচ্ছেন দেশের পরবর্তী রাষ্ট্রপতি? এই প্রেক্ষাপটেই আলোড়ন তুলেছেন নির্বাসিত চিকিৎসক ও রাজনীতিক বিশ্লেষক পিনাকি ভট্টাচার্য। এক দীর্ঘ বক্তব্যে তিনি আক্রমণাত্মক ভাষায় বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পুকে ক্ষমতা থেকে সরানোর দাবি জানান এবং রাষ্ট্রপতির পদে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নাম প্রস্তাব করেন।
পিনাকি বলেন, “আর মাত্র কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই হাসিনার পলায়নের এক বছর পূর্ণ হবে। একই সঙ্গে আবু সাঈদের ‘শহীদি মৃত্যু’র বর্ষপূর্তিও চলে আসবে। এরপর একে একে আসবে শহীদের কাফেলা—ওয়াসিম, মুগ্ধ, ইয়ামীন, আনাসসহ আরও অনেকে।” তিনি দাবি করেন, “হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে সরানো গেলেও তার ‘ফ্যাসিবাদী শাসনের অবশেষ’ এখনও রয়ে গেছে। সেই অবশেষ সরাতে হলে দরকার নিরপেক্ষ ও সম্মানিত রাষ্ট্রপতি।”
তিনি অভিযোগ করেন, বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন একজন ‘বটতলার উকিল’, ‘হাসিনার পদধূলি নেওয়া কর্মচারী’, এবং ‘এস আলম গ্রুপের সাবেক কর্মচারী’। এ কারণেই তিনি ‘বাংলাদেশের মতো রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পদে থাকার যোগ্য নন’। পিনাকি দাবি করেন, এই রাষ্ট্রপতির অধীনে নির্বাচন হলে তা হবে “একটি জাতীয় তামাশা”।
এরপরই পিনাকি ভট্টাচার্য তাঁর প্রস্তাব রাখেন—“বাংলাদেশের ইতিহাসে যিনি সর্বাধিক সম্মানিত ও ত্যাগী নেত্রী, সেই বেগম খালেদা জিয়া হবেন পরবর্তী রাষ্ট্রপতি। যিনি শুধু দলের নেত্রী নন, বরং জাতীয় ঐক্যের প্রতীক।”
তিনি আরও বলেন, “বেগম জিয়া আর নোবেল বিজয়ী প্রফেসর ইউনূস—এই দুই অভিভাবকের নেতৃত্বেই নতুন বাংলাদেশের সূচনা হতে পারে। এই দুইজন রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ অভিভাবক হলে নির্বাচন হবে সত্যিকার অর্থে উৎসবমুখর এবং শান্তিপূর্ণ। পুলিশেরও প্রয়োজন হবে না, সেনাবাহিনীরও প্রয়োজন হবে না।”
পিনাকির অতীত ও বর্তমান প্রেক্ষাপট
পিনাকি ভট্টাচার্য এক সময়ের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এবং চিকিৎসক হলেও পরে তিনি রাজনীতি ও সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমে পরিচিতি পান। সরকারবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে তাঁকে দেশত্যাগ করতে হয় এবং বর্তমানে তিনি ফ্রান্সে অবস্থান করছেন।
তাঁর বক্তব্যগুলো ইউটিউব ও সামাজিক মাধ্যমে জনপ্রিয় হলেও প্রায়শই সেগুলোর ভাষা ও কনটেন্ট নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। বিশেষ করে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ পদ নিয়ে এ ধরনের বক্তব্যকে অনেকেই দায়িত্বজ্ঞানহীন বলেও অভিহিত করেছেন।
রাষ্ট্রপতি পদ নিয়ে বিতর্ক নতুন কিছু নয়। তবে পিনাকি ভট্টাচার্যের সাম্প্রতিক এই বক্তব্য আবারো একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন সামনে এনেছে—বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় রাষ্ট্রপতি কতটা নিরপেক্ষ, আর সেই পদে একজন সম্মানিত ব্যক্তির উপস্থিতি কি পারে দেশকে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দিতে? যদিও খালেদা জিয়ার নাম রাষ্ট্রপতির জন্য সামনে আনার দাবি এখনই বাস্তবতার মুখ দেখবে না, তবে এটি বিএনপির রাজনীতিতে নতুন দৃষ্টিকোণ তৈরি করেছে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
মো: রাজিব আলী/
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- ভারতের সাবেক স্পিনার দিলীপ দোশী মারা গেলেন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে
- PSG বনাম ইন্টার মায়ামি: কখন, কোথায় ও কীভাবে দেখবেন লাইভ ম্যাচ
- পিএসজি বনাম ইন্টার মায়ামি: ম্যাচ প্রিভিউ, একাদশ ও ম্যাচ শুরুর সময়
- ৮ গোল: শেষ হলো বাংলাদেশ বনাম বাহারাইনের মধ্যকার ম্যাচের ৯০ মিনিটের খেলা
- মাহিয়া মাহির মৃত্যু গুজব: সত্য ও মিথ্যার বিশ্লেষণ
- বিনিয়োগকারীদের জন্য সতর্কবার্তা দিল ডিএসই
- চুপ্পুকে সরিয়ে জাতীয় নির্বাচনে আগে নতুন রাষ্ট্রপতি চান পিনাকি
- শান্তর পদত্যাগ, নতুন টেস্ট অধিনায়কত্বে এগিয়ে যিনি
- পিএসজি বনাম ইন্টার মায়ামি: ৪-০ গোলে শেষ হলো ম্যাচ
- শ্রীলঙ্কা বনাম বাংলাদেশ: বৃষ্টির কারণে বন্ধ দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচ
- কফিনবন্দি হয়ে ফিরলেন ফখরুল, চোখের জলে ভেসে গেল শেষ বিদায়
- বিদেশি বিনিয়োগকারীদের নজরে পাঁচ কোম্পানি
- ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ : দ্বিতীয় পর্ব নিশ্চিত ১৬ দলের, সময় সূচি প্রকাশ
- বাজারে সামগ্রিক মন্দার মাঝেও বস্ত্র খাতের ৫ কোম্পানির চমক
- বিনিয়োগকারীদের জন্য তিন কোম্পানির লভ্যাংশ ঘোষণা