শেখ পরিবারের ভারতীয় নাগরিকত্ব গ্রহণ: রাজনীতির মঞ্চে নতুন বিতর্ক

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের রাজনীতিতে আলোচিত এবং ঐতিহ্যবাহী শেখ পরিবারের সদস্য শেখ সালাউদ্দিন, যিনি শেখ জুয়েল নামে পরিচিত, ভারতীয় নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছেন। ২০১৮ সালে ভারতীয় আধার কার্ডে তার নাম পরিবর্তন করে ‘বিধান মল্লিক’ রাখা হয়, এবং বাবার নাম উল্লেখ করা হয় ‘মদিন্দ্রনাথ মল্লিক’। তার এই রূপান্তর রাজনৈতিক মহলে প্রবল আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
নাগরিকত্ব বদলের চমকপ্রদ মোড়
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাতিজা হিসেবে পরিচিত শেখ জুয়েলের এই সিদ্ধান্ত অনেকের কাছেই বিস্ময়কর। দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকলেও, ভারতীয় নাগরিকত্ব গ্রহণের বিষয়টি এক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের ইঙ্গিত দিচ্ছে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এই ঘটনাকে "অপ্রত্যাশিত ও অবিশ্বাস্য" বলে বর্ণনা করেছেন।
বিশ্বস্ত সূত্রের দাবি, শুধু শেখ জুয়েল নন, শেখ পরিবারের আরও কয়েকজন সদস্যও ভারতীয় নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছেন। ইতোমধ্যেই তার আধার কার্ডের একটি কপি বিভিন্ন মহলে ছড়িয়ে পড়েছে, যা এ বিষয়ে নতুন জল্পনা-কল্পনার জন্ম দিয়েছে।
রাজনৈতিক পরিচয় ও দ্বৈত বাস্তবতা
২০১৮ সালে খুলনা-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন শেখ জুয়েল, এবং ২০২৪ সালেও আওয়ামী লীগের টিকিটে পুনরায় নির্বাচিত হন। তবে, তার রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত পরিচয় নিয়ে এখন প্রশ্ন উঠছে। ভারতের নথিপত্রে তিনি ‘বিধান মল্লিক’ হিসেবে নিবন্ধিত হলেও, বাংলাদেশের রাজনীতিতে তিনি এখনও ‘শেখ জুয়েল’ নামে পরিচিত।
সীমান্ত পেরিয়ে এক নতুন জীবন
২০২৪ সালের রাজনৈতিক অস্থিরতার পর শেখ জুয়েল ও তার পরিবারের অধিকাংশ সদস্য সেনাবাহিনীর নিরাপত্তার মধ্যে ছিলেন। পরে, অনুকূল সময়ে সেনা হেফাজত থেকে বের হয়ে সীমান্ত অতিক্রম করে তারা ভারতে আশ্রয় নেন।
জানা গেছে, শেখ পরিবারের একাধিক সদস্য ভারতীয় নাগরিকত্ব গ্রহণের পাশাপাশি আধার কার্ড ও বিশেষ ট্রাভেল কার্ড সংগ্রহ করেছেন, যা তাদের বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নির্বিঘ্নে চলাফেরার সুযোগ দিচ্ছে।
কলকাতায় নতুন অধ্যায়
বর্তমানে শেখ জুয়েল কলকাতায় অবস্থান করছেন। তার সঙ্গে রয়েছেন তার বড় ভাই শেখ হেলাল, শেখ সোহেল এবং ছোট ভাই শেখ রুবেল। কলকাতায় তাদের নতুন জীবনের সূচনা হলেও, বাংলাদেশের রাজনীতিতে এ ঘটনা নিয়ে বিস্তর আলোচনা চলছে।
প্রতিক্রিয়া ও ভবিষ্যতের ধোঁয়াশা
শেখ জুয়েলের ভারতীয় নাগরিকত্ব গ্রহণের বিষয়টি রাজনৈতিক মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। কেউ এটিকে রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে দেখছেন, আবার কেউ মনে করছেন, এটি বিশ্বাসঘাতকতার শামিল। শেখ পরিবারের সদস্যদের ভবিষ্যৎ কী হবে এবং তারা বাংলাদেশের রাজনীতিতে আবারও ভূমিকা রাখবেন কি না, তা এখনো অজানা।
বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে এটি এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হতে পারে, যা দীর্ঘদিন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে থাকবে।
তারেক/
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- দেশের বাজারে ইতিহাস গড়ে কমলো সোনার দাম, জেনেনিন বাজার মূল্য
- অভিনেতা সিদ্দিককে পিটিয়ে পুলিশে দিল ছাত্রদল কর্মীরা
- আজ বাংলাদেশের বাজারে১৮ ক্যারেট, ২১ ক্যারেট ও ২২ ক্যারেট সোনার দাম
- ৬ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির ডিভিডেন্ড ঘোষণা, কারা কত শতাংশ দিচ্ছে
- বাংলাদেশ স্কোয়াডে দুই পরিবর্তন, আসছে এক চেনা মুখ ও এক নতুন নাম
- বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ প্রধানমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করলেন হাসানত আব্দুল্লাহ
- মার্জিন রুলস ১৯৯৯-এ বড় পরিবর্তন: পুঁজিবাজারের নতুন দিগন্ত
- ১১ কোম্পানির তৃতীয় প্রান্তিক প্রকাশ: কার লাভ, কার ক্ষতি?
- শেয়ারবাজারের স্থিতিশীলতা ফেরাতে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিল বিএসইসি
- বাঁচাও শেয়ারবাজার’: বিনিয়োগকারীদের গর্জনে কাঁপলো মতিঝিল
- বাংলাদেশের প্রথম নির্বাসিত কবি দাউদ হায়দার মারা গেছেন
- বিনিয়োগকারীদের জন্য ৭ কোম্পানির নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা
- রিয়াল বনাম বার্সা ফাইনাল: কখন, কোথায়, কিভাবে দেখবেন আজ রাতে
- আজকের সৌদি রিয়াল রেট (২৮ এপ্রিল ২০২৫)
- শ্রীলঙ্কার ‘না’ বলে দেওয়া, ভারতের সেতু স্বপ্ন স্থগিত