পুলিশ সংস্কারে প্রতিবাদের ঝড়: স্বাধীন কমিশনের দাবিতে পুলিশ কর্মকর্তাদের চিঠি

নিজস্ব প্রতিবেদক: পুলিশ সংস্কারের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের সূচনা হতে যাচ্ছে, তবে এর মাঝেই এক বিরুদ্ধবাদী প্রবাহ শুরু হয়েছে পুলিশের ভেতর। পুলিশ সংস্কার কমিশনের সুপারিশের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে একঝাঁক পুলিশ কর্মকর্তা আগামীকাল, ১৭ মার্চ, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করতে যাচ্ছেন। এই বৈঠকে তারা কমিশনের প্রতিবেদনে কিছু অগ্রহণযোগ্য দিক তুলে ধরবেন এবং পুলিশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে কমিশন গঠনের জোর দাবি জানাবেন।
পুলিশ বাহিনীর কর্মকর্তাদের মতে, পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক উপেক্ষিত এবং অনেক জায়গায় অস্পষ্টতা রয়েছে। বিশেষ করে, কমিশনের সুপারিশে স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠন না করার সিদ্ধান্ত পুলিশ বাহিনীতে ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। তারা দৃঢ় বিশ্বাসী যে, রাজনৈতিক প্রভাব মুক্ত পুলিশ বাহিনী গঠনের একমাত্র উপায় একটি স্বাধীন কমিশনের মাধ্যমে।
পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, তাদের প্রস্তাবনায় বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছিল যে, একটি স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠন করলে বাহিনীতে রাজনৈতিক প্রভাব কমে আসবে এবং শৃঙ্খলা বজায় থাকবে। প্রশাসনিক ব্যবস্থার মাধ্যমে সংস্কারের পথচলা সম্ভব নয়; বরং এটি বাহিনীর মধ্যে আরও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে। তারা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, কমিশনের প্রতিবেদনে এসব গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশের উল্লেখ না থাকা তাদের মধ্যে এক গভীর হতাশা সৃষ্টি করেছে।
এছাড়া, তারা প্রধান উপদেষ্টার কাছে তাদের সুপারিশ তুলে ধরে বলবেন যে, একটি স্বাধীন, সংবিধিবদ্ধ পুলিশ কমিশন গঠন করা অত্যন্ত জরুরি। কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি বা আইজিপি নিয়োগ করা হলে, তা পুলিশ বাহিনীর কার্যক্রমকে আরও সুশৃঙ্খল ও কার্যকর করবে। কমিশনের সদস্যদের মধ্যে অন্তত একজন নারী সদস্য এবং আইনজ্ঞ, মানবাধিকারকর্মী, ও সমাজবিজ্ঞানী থাকতে হবে—এমনও সুপারিশ তারা করেছেন।
পুলিশ বাহিনী মনে করছে, যদি এই স্বাধীন কমিশন গঠন না করা হয়, তবে পুলিশের সংস্কারের প্রক্রিয়া থেমে যাবে, এবং বাহিনীর শৃঙ্খলা বা কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে না। তাদের দাবি, দ্রুত সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন, না হলে পুলিশের বর্তমান অবস্থার উন্নতি সম্ভব হবে না।
এখন প্রশ্ন হলো, পুলিশের এই প্রতিবাদ ও দাবি কীভাবে প্রশাসন ও রাষ্ট্রীয় নেতৃত্বের নজরে আসবে? পুলিশ বাহিনীর কর্মকর্তাদের দৃঢ় আশা, স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠন হলে বাহিনীর মধ্যে রাজনৈতিক প্রভাব কমবে এবং এটি জনগণের প্রতি তাদের দায়িত্ব পালনে সাহায্য করবে। ১৭ মার্চের বৈঠকটি পুলিশ সংস্কারের পথে একটি নতুন দিগন্ত খুলে দিতে পারে, এমনটিই তাদের প্রত্যাশা।
মো: রাজিব আলী/
পাঠকের মতামত:
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- দেশের রাজনীতি নতুন মোড়: সেনাপ্রধানের শঙ্কাই সত্যি হতে চলেছে
- শেষ হলো বাংলাদেশ বনাম নেপালের মধ্যকার ম্যাচ, জানুন ফলাফল
- সেনাবাহিনী প্রধানের নতুন ঘোষণা, যা বললেন তিন বাহিনী প্রধান
- শুরু বাংলাদেশ বনাম নেপাল ম্যাচ: ম্যাচটি লাইভ দেখুন এখানে
- শেষ হলো বাংলাদেশ বনাম পার্থ স্কর্চার্সের মধ্যকার ম্যাচ, জানুন ফলাফল
- প্রকৌশল খাতের ৫ কোম্পানির প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বৃদ্ধি
- টপ এন্ড টি–টোয়েন্টি: বাংলাদেশ বনাম নেপাল ম্যাচ লাইভ দেখার সহজ উপায়
- বিদেশি বিনিয়োগকারীদের চাহিদার শীর্ষে চার কোম্পানির শেয়ার
- রাষ্ট্রপতির ছবি সরানো নিয়ে তোলপাড়, নীরব বিদায়ের ইঙ্গিত?
- ক্রিকেট দুনিয়ায় শোকের কালো ছায়া: মারা গেলেন অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি অধিনায়ক
- বিদায়ী সপ্তাহে ৮ কোম্পানির শেয়ার বছরের সর্বনিম্ন দামে
- বিক্রেতা সংকটে হল্ডেট ৩ কোম্পানি
- কিছুক্ষণ পর বাংলাদেশ বনাম নেপাল লড়াই: ম্যাচটি লাইভ দেখার সহজ উপায়
- আজকের সকল দেশের টাকার রেট(১৬ আগস্ট ২০২৫)
- ‘বি’ ক্যাটাগরির শেয়ারে চমক