ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১ মে ২০২৫, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনায় নতুন মোড়: সমর্থন জানালো যুক্তরাষ্ট্র

বিশ্ব ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৫ মে ০১ ২০:৩৮:১৫
ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনায় নতুন মোড়: সমর্থন জানালো যুক্তরাষ্ট্র

নিজস্ব প্রতিবেদক: পেহেলগামে রক্তাক্ত হত্যাকাণ্ডের পর উপমহাদেশে আবারও দানা বাঁধছে যুদ্ধাবস্থা। ২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মিরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় প্রাণ হারান অন্তত ২৬ জন নিরীহ মানুষ। হামলার দায় পরোক্ষভাবে পাকিস্তানের দিকেই তুলেছে ভারত। এর জেরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক, আর এই সংকটময় মুহূর্তে ভারতের পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

বৃহস্পতিবার (১ মার্চ) টেলিফোনে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে কথা বলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ। আলোচনায় তিনি পেহেলগাম হামলায় গভীর শোক ও সহমর্মিতা প্রকাশ করেন এবং ভারতের ‘আত্মরক্ষার অধিকারে’ যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ণ সমর্থনের আশ্বাস দেন। একইসঙ্গে তিনি বলেন, “সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের লড়াইয়ে আমরা একসঙ্গে আছি।”

এর আগে ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে কথা বলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনিও ভারতের অবস্থানকে সমর্থন জানিয়ে বলেন, “সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যেকোনো পদক্ষেপে যুক্তরাষ্ট্র ভারতের পাশে রয়েছে।” যদিও একইসঙ্গে তিনি আহ্বান জানান, উত্তেজনা না বাড়িয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনায় বসার।

টেলিফোন কূটনীতির পাশাপাশি রাজনাথ সিংয়ের বক্তব্যে পাকিস্তানকে একহাত নেন তিনি। বলেন, “পাকিস্তান দীর্ঘদিন ধরে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোকে প্রশিক্ষণ ও অর্থায়ন করে আসছে। তারা এক ধরনের দুর্বৃত্ত রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে, যারা বৈশ্বিক নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলছে। এই সত্য আজ আর দুনিয়া অস্বীকার করতে পারে না।”

এদিকে, এলওসির দুই প্রান্তে গত সাতদিন ধরে চলছে থেমে থেমে গোলাগুলি। ভারতীয় সেনাবাহিনী বিনা উস্কানিতে গুলি চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে পাকিস্তান। এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভারতের কিয়ানি ও মন্ডল সেক্টরে গুলির জবাবে পাকিস্তান সেনারা বেশ কয়েকটি ভারতীয় চেকপোস্ট গুঁড়িয়ে দেয়।

এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার সীমান্তের কাছেই বড় পরিসরের সামরিক মহড়া চালায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী। কামান, ট্যাংক, ভারী অস্ত্র ও তাজা গুলির ব্যবহার করে তারা নিজেদের প্রস্তুতি প্রদর্শন করে। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, যেকোনো শত্রু আগ্রাসনের বিরুদ্ধে এটা ছিল ‘কঠোর জবাবের বার্তা’।

এদিকে গোটা অঞ্চলজুড়ে বাড়ছে উদ্বেগ। দুই পরমাণু শক্তিধর দেশের এমন সংঘাতে উদ্বিগ্ন আন্তর্জাতিক মহল। কূটনৈতিক মহলের ভাষ্য—এ মুহূর্তে শান্তি ও সংলাপই হতে পারে উত্তেজনা কমানোর একমাত্র উপায়।

উপমহাদেশের আকাশে যেন আবারও যুদ্ধের কুণ্ডলী পাকানো মেঘ। ভারতের রক্তাক্ত কান্না আর পাকিস্তানের আগ্রাসী জবাব—এই সংঘাতের ফাঁকে দাঁড়িয়ে আছে কূটনীতির এক সংকটকাল। বিশ্ব এখন তাকিয়ে, এই দুই প্রতিবেশীর পরবর্তী পদক্ষেপের দিকে।

মোঃ রাজিব আলী/

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এক নজরে ৬৩ কোম্পনির ইপিএস: কার লাভ, কার লোকসান

এক নজরে ৬৩ কোম্পনির ইপিএস: কার লাভ, কার লোকসান

নিজস্ব প্রতিবেদক: শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ৬৩টি কোম্পানি সম্প্রতি তাদের প্রথম এবং তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এই প্রতিবেদনগুলোতে কোম্পানিগুলোর... বিস্তারিত