আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ: গেজেট প্রকাশ, সব রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক:
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত
বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক নতুন মোড়, আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ, সহযোগী সংগঠনগুলো নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ আজ সন্ধ্যায় গেজেট প্রকাশ করে দলের সব ধরনের রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে। এর ফলে, দলের সকল শাখা-প্রশাখা, মিছিল, সভা-সমাবেশ, এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার-প্রচারণা সহ সমস্ত কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
কী কারণে এই সিদ্ধান্ত?
সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে। ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত দলটি বিরোধী দলের সদস্য, ভিন্নমতের নাগরিক ও সাধারণ জনগণের ওপর গুম, খুন, নির্যাতন এবং মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে। বিশেষত, ২০২৪ সালের ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ছাত্র-জনতার গণআন্দোলন দমন করতে গিয়ে ভয়াবহ সহিংসতার ঘটনাগুলো আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর প্রতিবেদনেও উঠে এসেছে।
এছাড়া, দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন আদালতে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা বিচারাধীন রয়েছে এবং এসব মামলা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চলছে।
নিষিদ্ধ ঘোষিত কার্যক্রম:
সাংগঠনিক কার্যক্রম: আওয়ামী লীগ এবং তার সকল সহযোগী সংগঠনগুলোর মিছিল, সভা, সম্মেলন, এবং অন্যান্য গণসংযোগমূলক কর্মসূচি নিষিদ্ধ।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম: ফেসবুক, ইউটিউব, টুইটার, টিকটকসহ অন্যান্য প্ল্যাটফর্মে দলটির কোনো ধরনের প্রচার, লাইভ অনুষ্ঠান, পোস্ট, ভিডিও ইত্যাদি নিষিদ্ধ।
প্রচারপত্র ও পোস্টার: দলীয় প্রচারপত্র, লিফলেট, ব্যানার, পোস্টার ইত্যাদি প্রকাশ ও বিতরণও নিষিদ্ধ।
সন্ত্রাসী কার্যক্রমের অভিযোগ
সরকারের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে যে, আওয়ামী লীগ একটি সন্ত্রাসী সংগঠনের মতো কাজ করে চলেছে, যা দেশের সার্বভৌমত্ব, সংহতি এবং জননিরাপত্তার জন্য সরাসরি হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই কারণে, সন্ত্রাস বিরোধী (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ এবং সন্ত্রাস বিরোধী আইন, ২০০৯-এর ধারা ১৮(১)-এর আওতায় দলটির কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এটি সরকারের একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ, যা দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও নিরাপত্তা পরিস্থিতি নতুন এক দিগন্তে নিয়ে যাবে। সারা দেশেই এই সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে এবং এর ফলে দেশের রাজনীতি নতুন একটি পর্যায়ে প্রবেশ করতে পারে।
FAQ:
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হওয়ার কারণ কী?
আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী সংগঠনগুলোকে নিষিদ্ধ করার পেছনে মানবাধিকার লঙ্ঘন, গুম, খুন ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে।
কখন আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হলো?
১২ মে, ২০২৫ তারিখে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গেজেট প্রকাশ করে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার ঘোষণা দেয়।
কী ধরনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে?
দলের মিছিল, সভা, সম্মেলন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার, পোস্ট, ভিডিও, প্রচারপত্র, ব্যানার ইত্যাদি সব ধরনের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এই নিষেধাজ্ঞার আইনগত ভিত্তি কী?
সন্ত্রাস বিরোধী (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ এবং সন্ত্রাস বিরোধী আইন, ২০০৯-এর ধারা ১৮(১)-এর আওতায় আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
মো: রাজিব আলী/
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- নতুন আইনের ইঙ্গিত, শেয়ারবাজারে গতি ফেরাতে ১০ বড় সিদ্ধান্ত
- শ্রীলঙ্কার কাছে ২৭ রানে হার, সিরিজ হেরে ফিরল বাংলাদেশ
- বিনিয়োগকারীদের জন্য ৩০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা
- গুজব না সত্যি: মারা গেলেন হাসনাত আবদুল্লাহ
- এএসপি আত্মহত্যার আসল কারণ জানালেন তার ভাই
- “না মারলে ঘটত বড় কিছু”—নেহালের এই কথায় দেশজুড়ে তোলপাড়
- সোনার দাম কমল: ৯ মে থেকে কার্যকর নতুন মূল্য তালিকা
- ইন্টার মিলান বনাম বার্সেলোনা: ম্যাচ শুরুর সময়, একাদশ ও ম্যাচ প্রিভিউ
- শেয়ারবাজারের সংকটে এনসিপির শক্তিশালী প্রস্তাব
- সিসিএর সুদের টাকা কে পাবে না, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন
- খালেদা জিয়ার উদ্দেশ্যে সারজিস আলমের বার্তা
- যুদ্ধবিরতির পর কাশ্মীর নিয়ে ভারত-পাকিস্তানকে ট্রাম্পের নতুন প্রস্তাব
- রাজশাহীর আমের ক্যালেন্ডার প্রকাশ: কোন জাতের আম কবে পাকে
- সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে সেনাপ্রধানের নেতৃত্বে কৌশলগত বার্তা
- বাংলাদেশে ঈদুল আজহার সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা