
MD Zamirul Islam
Senior Reporter
প্রতিদিন শুধু ৩টি জিনিস খেলেই গ্যাস্ট্রিক হবে না কখনো!

আদা, রসুন ও হলুদের প্রাকৃতিক শক্তিই হতে পারে পেটের স্থায়ী বন্ধু
নিজস্ব প্রতিবেদক:
পেটের যত্নে গৃহস্থালির উপায়
গ্যাস্ট্রিক, অম্বল বা বদহজম—এই শব্দগুলো যেন অনেকের প্রতিদিনকার সঙ্গী। একটু বেশি খাওয়া, অনিয়মিত জীবনযাপন কিংবা দুশ্চিন্তা—সবই পেটের ওপর চাপ বাড়ায়। আর তখনই হাজির হয় পেট ফাঁপা, ঢেকুর ওঠা, বুকজ্বালার মতো সমস্যা। তবে ওষুধ নয়, প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় তিনটি প্রাকৃতিক উপাদান রাখলেই এই যন্ত্রণা থেকে মিলতে পারে স্থায়ী মুক্তি।
১. আদা — হজমের জাদুকর
আদা একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও হজমবর্ধক উপাদান। সকালে খালি পেটে কুসুম গরম পানিতে আদার রস মিশিয়ে পান করলে গ্যাস-অম্বলের সমস্যা অনেকটাই কমে যায়। কাঁচা আদা চিবিয়েও খাওয়া যেতে পারে খাবারের পরে। এটি হজমকারী এনজাইমের ক্ষরণ বাড়িয়ে খাবার সঠিকভাবে ভেঙে পুষ্টি গ্রহণে সহায়তা করে।
২. রসুন — অন্ত্রের রক্ষাকবচ
রসুনে রয়েছে শক্তিশালী প্রিবায়োটিক উপাদান যা অন্ত্রের উপকারী ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়ায়। প্রতিদিন সকালে ১-২ কোয়া কাঁচা রসুন খালি পেটে খেলে গ্যাস্ট্রিক অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে থাকে। এতে শুধু হজমশক্তি বাড়ে না, রোগ প্রতিরোধক্ষমতাও মজবুত হয়। তবে অতিরিক্ত খেলে উল্টো সমস্যা হতে পারে—সতর্ক থাকুন পরিমাণ নিয়ে।
৩. হলুদ — পেটের প্রাকৃতিক পরিচ্ছন্নতা
হলুদের কারকিউমিন উপাদানটি একটি শক্তিশালী অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। গরম দুধে বা ভাতে সামান্য কাঁচা হলুদ মিশিয়ে খাওয়া অভ্যাস করলে পেটের প্রদাহ কমে এবং অন্ত্র পরিষ্কার রাখতে সহায়তা করে। নিয়মিত খেলে এটি শরীরকে ডিটক্সিফাই করে, যা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে মুক্ত রাখে।
গ্যাস্ট্রিক প্রতিরোধে ওষুধ নয়, বরং সঠিক খাবারই হতে পারে আপনার সবচেয়ে বড় প্রতিরক্ষা। প্রতিদিন শুধু আদা, রসুন ও হলুদের মত প্রাকৃতিক উপাদান নিয়ম করে খেলে হজমশক্তি থাকবে ঠিকঠাক, অন্ত্র থাকবে পরিষ্কার—আর আপনি থাকবেন সুস্থ, হালকা আর স্বস্তিতে।
চাইলে আপনি এই তিনটি উপাদান দিয়ে একটি ডিটক্স পানীয় বানিয়েও খেতে পারেন। এক কাপ গরম পানিতে ১ চা চামচ আদা, আধা চামচ হলুদ গুঁড়া, আর সামান্য রসুন কুচি দিয়ে দিনে একবার পান করুন।
প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন (FAQ) ও উত্তর:
প্রশ্ন ১: প্রতিদিন আদা, রসুন ও হলুদ খেলে কি সত্যিই গ্যাস্ট্রিক কমে?
উত্তর: হ্যাঁ, এই তিনটি প্রাকৃতিক উপাদানে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও হজমবর্ধক গুণাগুণ গ্যাস্ট্রিক কমাতে সহায়তা করে।
প্রশ্ন ২: কখন খেলে এগুলোর উপকারিতা সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায়?
উত্তর: সকালে খালি পেটে বা খাবারের পরে এগুলো খেলে হজমে সহায়তা করে এবং অন্ত্র পরিষ্কার রাখে।
প্রশ্ন ৩: রসুন কি খালি পেটে খাওয়া নিরাপদ?
উত্তর: সীমিত পরিমাণে (১–২ কোয়া) রসুন খালি পেটে খাওয়া নিরাপদ ও উপকারী, তবে অতিরিক্ত খেলে হজমে সমস্যা হতে পারে।
প্রশ্ন ৪: গ্যাস্ট্রিক কমাতে ঘরোয়া উপায় কতটা কার্যকর?
উত্তর: নিয়মিত ব্যবহার করলে প্রাকৃতিক উপাদানগুলো গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনতে পারে, ওষুধ ছাড়াই।
জামিরুল ইসলাম/
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- ৬৯০ টাকায় সাড়ে ১২ কেজি গ্যাস, সিন্ডিকেটের ফাঁদে পিষ্ট সাধারণ মানুষ
- ১ লাখ ও ৯০ হাজারের গরু ৭০ হাজারে
- এবার বছরে একবারই স্বর্ণ আনতে পারবেন!
- ঢাকায় ল্যান্ডের সময় ৬ বারেও ব্যর্থ পাইলট, তারপর যা ঘটলো
- বাংলাদেশ বনাম ভূটান: ৯০ মিনিটের খেলা শেষ, জেনেনিন ফলাফল
- আজ বাংলাদেশ বনাম ভুটানের মধ্যকার ম্যাচ সরাসরি লাইভ দেখবেন যেভাবে
- ঝিনঝিনি ভাব, ঠান্ডা পা? গোপনে বাড়ছে ভয়ংকর ৫ রোগ
- বাংলাদেশ বনাম ভূটান: দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই আবারও গোল
- প্রয়াত হলেন সাবেক এমপি আনোয়ারুল, কুমিল্লা বিএনপিতে শোক
- পাকিস্তান বনাম বাংলাদেশ: দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে বড় জয়
- বিসিবিতে মাশরাফি? বুলবুলের নতুন চমকে ক্রিকেটে হইচই
- চিরবিদায় নিলেন সাংকো পাঞ্জা
- চিলি বনাম আর্জেন্টিনা: ম্যাচ প্রিভিউ, ম্যাচ শুরুর সময় ও সম্ভাব্য একাদশ
- আইপিএলে শোকের খবর, মারা গেলেন ডেভিড ট্রিস্ট
- ঈদের আগে জেনে নিন ১৮, ২১ ও ২২ ক্যারেট সোনা ও রুপার নতুন মূল্য তালিকা