হৃৎস্পন্দন অনিয়মিত হলে অবহেলা নয়, এখনই চিকিৎসা জরুরি
নিজস্ব প্রতিবেদক: হার্ট বা হৃদপিণ্ডের কাজ হলো শরীরের প্রতিটি অঙ্গে সঠিকভাবে রক্ত সরবরাহ করা। আর সেই কাজের মূল শক্তি আসে হৃদয়ের সঠিক সঙ্কোচন ও প্রসারণ প্রক্রিয়া থেকে—যা একটানা চলে নিরবিচারে, ছন্দে। কিন্তু যদি এই হৃৎস্পন্দনের ছন্দে ব্যত্যয় ঘটে, তবে তা হতে পারে শরীরের জন্য একটি নীরব বিপদের বার্তা। চিকিৎসা পরিভাষায় একে বলা হয় কার্ডিয়াক অ্যারিদমিয়া।
হঠাৎ যে লক্ষণগুলো দেখা দিলেই সচেতন হবেন
বুক ধড়ফড় করা বা অস্বাভাবিক স্পন্দন অনুভব
বুকের বাঁ পাশে চিনচিনে ব্যথা
মাথা ঘোরা, দুর্বলতা বা অজ্ঞান হয়ে যাওয়া
হঠাৎ ঘাম হওয়া
শ্বাস নিতে অসুবিধা বা হাঁপানির মতো অনুভব
এই ধরনের উপসর্গ দেখা দিলে সাধারণ ক্লান্তি ভেবে এড়িয়ে না গিয়ে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। অনেক সময় এগুলো হার্ট ব্লক বা স্ট্রোকের পূর্বাভাসও হতে পারে।
অ্যারিদমিয়া কী?
হৃদপিণ্ড প্রতি মিনিটে গড়ে ৬০ থেকে ১০০ বার স্পন্দিত হয়। তবে স্পন্দন যদি ৬০-এর নিচে বা ১০০-এর ওপরে চলে যায় এবং অনিয়মিত হয়, তখন তা অ্যারিদমিয়া হিসেবে ধরা হয়।
প্রধান দুটি ধরন:
ব্র্যাডিঅ্যারিদমিয়া: হার্টবিট ৬০-এর নিচে নেমে যায়
ট্যাকিঅ্যারিদমিয়া: হার্টবিট ১০০ ছাড়িয়ে যায়
এই দুই অবস্থাতেই শরীরে রক্ত চলাচলের ভারসাম্য নষ্ট হয়, ফলে অক্সিজেন সরবরাহে ঘাটতি দেখা দেয় এবং ঝুঁকির মাত্রা বাড়ে।
কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন?
নিম্নলিখিত পরিস্থিতিতে অবিলম্বে একজন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞের সঙ্গে যোগাযোগ জরুরি:
হালকা পরিশ্রমেই ক্লান্তি
প্রতিদিন সকালে বা রাতে বুক ধড়ফড় করে ওঠা
ঘন ঘন মাথা ঘোরা বা চোখ অন্ধকার হয়ে আসা
হঠাৎ শরীর দুর্বল হয়ে যাওয়া
অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা বা অস্থিরতা
যেসব পরীক্ষায় ধরা পড়ে সমস্যা
ডাক্তার প্রাথমিকভাবে নিচের পরীক্ষাগুলোর মাধ্যমে হৃৎস্পন্দনের অনিয়ম চিহ্নিত করেন:
ইসিজি (ECG)
ইকোকার্ডিয়োগ্রাম
হল্টার মনিটরিং
লুপ রেকর্ডার
রক্তের ইলেকট্রোলাইট ও থাইরয়েড পরীক্ষা
তাৎক্ষণিক করণীয়
বুক ধড়ফড় করলে:
শান্ত থাকুন ও ধীরে ধীরে গভীর শ্বাস নিন
খোলা হাওয়ায় হাঁটার চেষ্টা করুন
মাথায় বা গলায় হালকা গরম পানি ঢালুন
ধূমপান বা কফি পান এড়িয়ে চলুন
সিঁড়ি ভাঙা বা ভারী কাজ বন্ধ রাখুন
প্রয়োজনে শবাসনে শুয়ে বিশ্রাম নিন
তবে উপসর্গ যদি ১০ মিনিটের বেশি স্থায়ী হয়, তবে বিলম্ব না করে চিকিৎসকের কাছে যান।
হৃদয়ের ছন্দে সামান্য গোলমাল অনেক সময় ভয়াবহ পরিণতির কারণ হতে পারে। তাই হৃৎস্পন্দন অনিয়মিত হলে এটিকে অবহেলা না করে, যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসা নেয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।
FAQ (প্রশ্নোত্তর):
Q1: হৃৎস্পন্দন অনিয়মিত হলে প্রথম করণীয় কী?
A: শান্ত হয়ে ধীরে ধীরে শ্বাস নিন, খোলা বাতাসে হাঁটুন এবং দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
Q2: হৃৎস্পন্দনের ছন্দ কেন বিঘ্নিত হয়?
A: ইলেকট্রোলাইট ভারসাম্যহীনতা, স্ট্রেস, হৃদরোগ বা থাইরয়েড সমস্যার কারণে হতে পারে।
Q3: কার্ডিয়াক অ্যারিদমিয়া কি হার্ট অ্যাটাকের মতোই ভয়াবহ?
A: হ্যাঁ, সময়মতো চিকিৎসা না হলে এটি হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে।
Q4: কীভাবে বুঝব এটি সাধারণ ক্লান্তি না হৃদয়ের সমস্যা?
A: বুক ধড়ফড়, শ্বাসকষ্ট, মাথা ঘোরা বা দুর্বলতা একসঙ্গে থাকলে অবহেলা না করে চিকিৎসা জরুরি।
মো: রাজিব আলী/
পাঠকের মতামত:
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- তালিকাভুক্ত দুই কোম্পানির অস্তিত্ব টিকে থাকা নিয়ে শঙ্কায় নিরীক্ষক
- ওসমান হাদী গুলিবিদ্ধ, জানা গেল সর্বশেষ অবস্থা
- বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তান: ৪১ ওভার শেষ, Live দেখুন এখানে
- আজ২২ ক্যারেট স্বর্ণের ভরি দাম কত
- পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির ক্যাটাগরি পরিবর্তন
- বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তান ম্যাচ লাইভ: খেলাটি সরাসরি দেখুন Live
- আজকের সোনার দাম: (শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫)
- আজ বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তান ম্যাচ: কখন, কোথায় ও কীভাবে দেখবেন লাইভ
- সাড়ে ৩ কোটি রুপিতে দল পেলেন মুস্তাফিজ
- আইপিএল ২০২৬ মিনি-নিলামের দিনক্ষণ চূড়ান্ত: কবে, কখন জানুন সময়সূচি
- ban u19 vs afg u19 : ৪১ ওভার শেষ, Live দেখুন এখানে
- শ্রীলঙ্কা বনাম বাংলাদেশ: চরম নাটকীয়তায় শেষ হলো ম্যাচ জানুন ফলাফল
- আফগানিস্তান বনাম বাংলাদেশ: রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে শেষ ম্যাচ, জানুন ফলাফল
- বিএসইসি’র নিরীক্ষা নীতিমালা কমিটি গঠন, পুঁজিবাজারে স্বচ্ছতা জোরদার
- রেকর্ড মূল্য বাড়লো স্বর্ণের, জেনে নিন নতুন মূল্য তালিকা