MD. Razib Ali
Senior Reporter
দৈনিক কয়টি খেজুর খাওয়া উচিত? জানুন উপকারিতা ও মাত্রাতিরিক্ত গ্রহণে বিপদ
খেজুরের স্বাস্থ্যকর দিকগুলো খাদ্য সচেতন মানুষের কাছে সুবিদিত। পবিত্র রমজান মাসকে কেন্দ্র করে এর চাহিদা আকাশছোঁয়া হলেও, সারা বছরই পরিমিত পরিমাণে এটি গ্রহণ করা যায়। তবে প্রশ্ন হলো— স্বাস্থ্যকর এই ফলটি একজন মানুষের প্রতিদিন কতটুকু খাওয়া উচিত?
খেজুর হলো পুষ্টির এক বিপুল ভান্ডার। এর অত্যাধিক পুষ্টিগুণ, উচ্চ ফাইবার এবং তুলনামূলক কম ক্যালোরির কারণে এটি শরীরের ওজন কমাতেও কার্যকর ভূমিকা রাখে। শরীরকে বিষমুক্ত করতে, রক্তে চিনির মাত্রা স্থিতিশীল রাখতে এবং শরীরের অভ্যন্তরে সৃষ্ট প্রদাহ কমাতে এটি বিশেষভাবে কার্যকর।
খেজুরে কী কী উপাদান আছে? (উপাদানগত বিশ্লেষণ)
এই ফলটির প্রতিটি দানায় রয়েছে অপরিহার্য সব উপাদান। এর প্রায় ৪৪ শতাংশই হলো কার্বোহাইড্রেট। ডায়েটারি ফাইবারের পরিমাণ ৬.৪ শতাংশ থেকে ১১.৫ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে। পাশাপাশি প্রোটিন পাওয়া যায় ২.৩ থেকে ৫.৬ শতাংশ এবং চর্বির মাত্রা অত্যন্ত কম, মাত্র ০.২ থেকে ০.৫ শতাংশ। এই উপাদানগুলো ছাড়াও এটি আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, তামা, ক্যালসিয়াম, সোডিয়াম সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিনের উৎস।
সুস্বাস্থ্যের জন্য খেজুরের ভূমিকা
খেজুর গ্রহণে আপনার শরীর নিম্নলিখিত উপায়ে লাভবান হতে পারে:
১. হজম প্রক্রিয়া ও বিপাকক্রিয়ার গতিশীলতা: বিপুল পরিমাণ ফাইবারের উপস্থিতির কারণে, খেজুর খাদ্য হজম ও শোষণ প্রক্রিয়াকে মন্থর করে। এর ফলে দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা থাকার অনুভূতি বজায় থাকে। ফাইবার অন্ত্রে ফ্যাটি অ্যাসিড উৎপাদনে সাহায্য করে, যা পরিপাক ক্রিয়াকে মসৃণ করে এবং সামগ্রিক বিপাককে গতিশীল করে।
২. প্রদাহ নিরসনে আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট: খেজুরে আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিডে পরিপূর্ণ। মনে রাখতে হবে, এই ফ্যাটগুলো স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয়; বরং এরা শরীরের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। আঘাত, ফোলাভাব বা অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যগ্রহণের ফলে সৃষ্ট প্রদাহজনিত সমস্যা নিরসনে এই উপাদানটি কার্যকর ভূমিকা রাখে।
৩. পেশী ও টিস্যু গঠনে প্রোটিনের জোগান: খেজুরে প্রাপ্ত প্রোটিন দেহের পেশী গঠনে এবং টিস্যুর ক্ষয়পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রোটিন স্বাস্থ্যের জন্য কতটা জরুরি, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
৪. মিষ্টির বিকল্পে ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক: এর প্রাকৃতিক মিষ্টির কারণে এটি ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম। এই ফল খেলে আপনার অন্যান্য চিনিযুক্ত খাদ্যের প্রতি তীব্র আগ্রহ কমবে, ফলে অস্বাস্থ্যকর চিনি গ্রহণ থেকে বিরত থাকা সহজ হয়।
দৈনিক গ্রহণের সর্বোচ্চ মাত্রা এবং সতর্কতা
সতর্ক থাকতে হবে যে, খেজুর উপকারী হলেও, দিনে বারবার বা মাত্রাতিরিক্ত খাওয়া ক্ষতিকর হতে পারে। অতিরিক্ত যেকোনো খাদ্য গ্রহণই মানবদেহের জন্য বিপত্তি ডেকে আনতে পারে।
সঠিক মাত্রা: স্বাস্থ্যগত দিক থেকে সর্বোচ্চ উপকারিতা পেতে একজন ব্যক্তির প্রতিদিন ৪ থেকে ৫টি খেজুর খাওয়াই যথেষ্ট।
ক্যালোরি সংক্রান্ত সতর্কতা: ৪-৫টি খেজুর বা ১০০ গ্রাম খেজুরে প্রায় ২৭৭ ক্যালোরি থাকে। এই ফলটির মিষ্টতা এবং ক্যালোরি অনেক বেশি হওয়ার কারণে, কেউ যদি দৈনিকের জন্য নির্ধারিত মাত্রার চেয়ে বেশি এটি খেতে থাকেন, তবে ওজন কমার পরিবর্তে দ্রুত বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি তৈরি হবে। তাই এর দৈনিক গ্রহণ পরিমিত হওয়া আবশ্যক।
খাদ্যে খেজুর অন্তর্ভুক্ত করার সহজ উপায়
খেজুর ফল সালাদ কিংবা মিষ্টি পদগুলিতে কুচি করে ব্যবহার করা যেতে পারে। এক গ্লাস হালকা গরম দুধের সাথে মিশিয়ে অথবা টকদই, কাস্টার্ড, চাটনি এমনকি কেকের সঙ্গেও এটি উপভোগ করা যেতে পারে।
আল-মামুন/
পাঠকের মতামত:
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- আজ ব্রাজিল বনাম আর্জেন্টিনা ম্যাচ কী হবে
- আজ Brazil vs Argentina ম্যাচ কী হবে, যা জানা গেল
- ওসমান হাদী গুলিবিদ্ধ, জানা গেল সর্বশেষ অবস্থা
- earthquake today: এবার ৬.৭ মাত্রার ভূমিকম্প, উৎপত্তিস্থল কোথায়?
- তালিকাভুক্ত দুই কোম্পানির অস্তিত্ব টিকে থাকা নিয়ে শঙ্কায় নিরীক্ষক
- লাতিন-বাংলা সুপার কাপ:Brazil vs Argentina ম্যাচ নিয়ে আসলোনতুন সিদ্ধান্ত
- আজকের সোনার দাম: (বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫)
- ব্রাজিল বনাম আর্জেন্টিনা ম্যাচ নিয়ে আসলো যে সিদ্ধান্ত
- ৪০ ফুট গর্তেও খুঁজে না পেলে শেষ যে উপায়ে খোঁজা হবে শিশু সাজিদকে
- ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করলো নির্বাচন কমিশন
- আজকের সোনার দাম: (শুক্রবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৫)
- আজ২২ ক্যারেট স্বর্ণের ভরি দাম কত
- আইপিএল মিনি নিলাম ২০২৬: নতুন দলে মুস্তাফিজ?
- শ্রীলঙ্কা বনাম বাংলাদেশ: চরম নাটকীয়তায় শেষ হলো ম্যাচ জানুন ফলাফল
- দীর্ঘ ৩৩ ঘণ্টা পর শিশু সাজিদ উদ্ধার