MD. Razib Ali
Senior Reporter
খালি পেটে কয়টি খেজুর খেলে মিলবে উপকার? ৫টি উপকারিতা জানুন
পুষ্টিতে ভরপুর খেজুরকে বলা হয় 'সুপারফুড'। দিনের শুরুতে খালি পেটে এই ফল গ্রহণ শরীরের জন্য এক বিশেষ আশীর্বাদ হতে পারে। এর মধ্যে থাকা প্রাকৃতিক উপাদানগুলি একাধিক শারীরিক প্রক্রিয়ায় সহায়তা করে। তবে এই স্বাস্থ্যকর অভ্যাসটি একজনের খাদ্যাভ্যাস ও সামগ্রিক শারীরিক অবস্থার ওপর ভিত্তি করে বিভিন্নভাবে কার্যকর হয়।
মাত্রা নির্দেশিকা: খালি পেটে প্রতিদিন ক'টি খেজুর খাবেন?
পুষ্টির চাহিদা এবং শারীরিক কাঠামোর ওপর ভিত্তি করে খেজুর ভক্ষণের পরিমাণ নির্ধারণ করা উচিত। সাধারণত, সুস্বাস্থ্যের জন্য একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি দৈনিক ৩ থেকে ৭টি খেজুর খেতে পারেন।
বিশেষজ্ঞদের মত অনুযায়ী, সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর ৩-৫টি খেজুর খাওয়া সবচেয়ে উপযোগী। তবে যদি আপনি প্রথমবার এই অভ্যাস শুরু করেন, তাহলে প্রাথমিকভাবে ২-৩টি দিয়ে সূচনা করা যেতে পারে। খেজুরে থাকা ফাইবার হজম প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করে, তাই খেজুর খাওয়ার পর অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করা আবশ্যক। কোনো নির্দিষ্ট জটিল রোগ (যেমন ডায়াবেটিস বা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা) থাকলে, খাদ্যাভ্যাসে খেজুর যোগ করার আগে চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করা জরুরি।
খেজুরের পুষ্টির আধার: কেন এটি এত কার্যকরী?
খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক মিষ্টতা, খাদ্যতালিকাগত ফাইবার, ভিটামিন এবং খনিজ লবণের ভাণ্ডার। এটি প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই শরীরকে চালিকা শক্তি প্রদান করে।
খেজুরে প্রাকৃতিক চিনির উপস্থিতি বেশি থাকায় অতিরিক্ত ভক্ষণ করলে রক্তে শর্করার তারতম্য ঘটতে পারে, যা বিশেষত ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য সতর্কতামূলক বিষয়।
খালি পেটে খেজুর খাওয়ার ৫টি অপরিহার্য উপকারিতা
দিনের শুরুতে খালি পেটে খেজুর গ্রহণে আপনি নিম্নলিখিত উপকারিতাগুলি লাভ করতে পারেন:
১. দ্রুত শক্তি সঞ্চার:
এতে থাকা প্রাকৃতিক চিনি, যেমন গ্লুকোজ, ফ্রুকটোজ এবং সুক্রোজ, দ্রুত রক্তে মিশে যায়। ফলে এটি সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর ক্লান্তি দূর করে এবং দিনের কাজের জন্য ত্বরিত শক্তি সরবরাহ করে।
২. পাচনতন্ত্রের কার্যকারিতা বৃদ্ধি:
খেজুর উচ্চমাত্রার ফাইবার সমৃদ্ধ। এই ফাইবার অন্ত্রের গতি নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে, যার ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময় হয় এবং সামগ্রিক পাচনতন্ত্রের স্বাস্থ্য উন্নত হয়।
৩. মস্তিষ্কের উদ্দীপনা:
খেজুরে থাকা ভিটামিন বি৬ সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ উপাদান স্নায়ুতন্ত্রের কার্যক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এর ফলস্বরূপ, স্মৃতিশক্তির প্রখরতা বৃদ্ধি পেতে পারে।
৪. শরীরকে পরিশুদ্ধ করা (ডিটক্সিফিকেশন):
এই ফলটিতে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা শরীরের কোষ থেকে বিষাক্ত বর্জ্য বা টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে এবং শরীরকে ভেতর থেকে পরিষ্কার রাখে।
৫. হৃৎপিণ্ডের স্থিতিশীলতা:
পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো খনিজ লবণের উপস্থিতির কারণে এটি রক্তচাপের ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়ক। এর ফলে হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্য সুরক্ষিত থাকে।
সতর্কতা: কাদের এড়িয়ে চলা উচিত বা চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া আবশ্যক?
যদিও খেজুর খুবই স্বাস্থ্যকর, এর কিছু সীমাবদ্ধতা ও সতর্কতা রয়েছে:
১. ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য বিশেষ বার্তা:
প্রাকৃতিক শর্করা বেশি হওয়ায় বেশি পরিমাণে খেজুর খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে। ডায়াবেটিক রোগীদের তাই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে একটি নির্দিষ্ট গ্লাইসেমিক লোডের মধ্যে এটি ভক্ষণ করা উচিত।
২. হজমের অস্বস্তি:
কিছু ব্যক্তির ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ভক্ষণের ফলে গ্যাস বা পেট ফাঁপার মতো হজমজনিত অস্বস্তি দেখা যেতে পারে। তাই শুরুটা অল্প পরিমাণে করা ভালো।
৩. ওজন বৃদ্ধির ঝুঁকি:
খেজুর একটি ক্যালোরি-ঘনত্বযুক্ত ফল। তাই নিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাসের অংশ হিসেবে না খেলে বা অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে তা ওজন বৃদ্ধির কারণ হতে পারে।
আল-মামুন/
পাঠকের মতামত:
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- আজ ব্রাজিল বনাম আর্জেন্টিনা ম্যাচ কী হবে
- তালিকাভুক্ত দুই কোম্পানির অস্তিত্ব টিকে থাকা নিয়ে শঙ্কায় নিরীক্ষক
- আজ Brazil vs Argentina ম্যাচ কী হবে, যা জানা গেল
- ওসমান হাদী গুলিবিদ্ধ, জানা গেল সর্বশেষ অবস্থা
- earthquake today: এবার ৬.৭ মাত্রার ভূমিকম্প, উৎপত্তিস্থল কোথায়?
- ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করলো নির্বাচন কমিশন
- আজকের সোনার দাম: (শুক্রবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৫)
- আজ২২ ক্যারেট স্বর্ণের ভরি দাম কত
- শ্রীলঙ্কা বনাম বাংলাদেশ: চরম নাটকীয়তায় শেষ হলো ম্যাচ জানুন ফলাফল
- বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তান ম্যাচ লাইভ: খেলাটি সরাসরি দেখুন Live
- আজ বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তান ম্যাচ: কখন, কোথায় ও কীভাবে দেখবেন লাইভ
- দীর্ঘ ৩৩ ঘণ্টা পর শিশু সাজিদ উদ্ধার
- সরকারি নমুনা মেনে নির্ভুল দলিল তৈরির ১১টি ধাপ জেনে নিন
- ভারতের ৪ ক্রিকেটাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা
- আজকের ফজরের নামাজের শেষ সময়: (শুক্রবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৫)