ঢাকা, শনিবার, ১০ মে ২০২৫, ২৭ বৈশাখ ১৪৩২

আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বড় সিদ্ধান্ত, নিষিদ্ধ সব কার্যক্রম

জাতীয় ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২৫ মে ১০ ২৩:২৪:১৩
আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বড় সিদ্ধান্ত, নিষিদ্ধ সব কার্যক্রম

নিজস্ব প্রতিবেদক: আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারকাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যাবতীয় রাজনৈতিক কার্যক্রম সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আজ শনিবার রাতে উপদেষ্টা পরিষদের এক বিশেষ বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।

রাত ১১টায় যমুনার সামনে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে তিনি বলেন, “আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে সংশোধনী এনে এমন ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, যার ফলে কোনো রাজনৈতিক দল বা সমর্থক গোষ্ঠী বিচারাধীন অবস্থায় কার্যক্রম চালাতে পারবে না।”

কী আছে নতুন সংশোধনীতে?

সংশোধনী অনুযায়ী, ট্রাইব্যুনাল এখন রাজনৈতিক দল, অঙ্গসংগঠন কিংবা সংশ্লিষ্টদের শাস্তির আওতায় আনতে পারবে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় প্রজ্ঞাপন আগামী কর্মদিবসে জারি করা হবে বলেও তিনি জানান।

বৈঠকে জানানো হয়, দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার স্বার্থে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। একই সঙ্গে ‘জুলাই আন্দোলনের’ নেতা-কর্মী, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বাদী ও সাক্ষীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যেই এ পদক্ষেপ।

কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা কেন?

উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা দাবি করেন, বিচার চলাকালীন রাজনৈতিক কার্যক্রম অব্যাহত রাখলে তদন্ত প্রক্রিয়া ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। বিশেষ করে ডিজিটাল মাধ্যমে মিথ্যা প্রচার, সাক্ষীদের হুমকি কিংবা জনমত প্রভাবিত করার অভিযোগ উঠতে পারে।

এ কারণেই সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় সাইবার স্পেসসহ আওয়ামী লীগের সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে বলে জানানো হয়।

জুলাই ঘোষণাপত্র প্রকাশের সিদ্ধান্ত

বৈঠকে আরও সিদ্ধান্ত হয়, ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে চূড়ান্ত করে প্রকাশ করা হবে। এটি হতে যাচ্ছে বর্তমান রাজনৈতিক কাঠামো ও নীতিনির্ধারণের একটি গুরুত্বপূর্ণ রূপরেখা।

কারা ছিলেন উপস্থিত?

যমুনার সামনে অনুষ্ঠিত ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন—

গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান

পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া

তথ্য উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম

আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কার্যক্রম স্থগিতের এই সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই পদক্ষেপ একদিকে বিচারকাজের গতি বাড়াতে সহায়ক হলেও, অন্যদিকে রাজনৈতিক অস্থিরতাও সৃষ্টি করতে পারে।

মো: রাজিব আলী/

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ