বিচারের পথে শেখ হাসিনা: শেষ হলো জুলাই গণহত্যার তদন্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক:
আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে সোমবার জমা পড়ছে তদন্ত প্রতিবেদন
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ‘জুলাই গণহত্যা’ মামলার তদন্ত শেষ করেছে সংশ্লিষ্ট তদন্ত সংস্থা। এই মামলায় অভিযুক্ত রয়েছেন ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন। আগামী সোমবার (১২ মে) চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবে সংস্থাটি।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে দায়ের করা এই মামলায় প্রথমে শুধু শেখ হাসিনার বিরুদ্ধেই তদন্ত শুরু হয়। পরে মামলায় যুক্ত হন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও তৎকালীন পুলিশ প্রধান।
চলতি বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তদন্ত শেষ করার সময়সীমা নির্ধারণ করেছিল ২০ এপ্রিলের মধ্যে। তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন প্রস্তুত না হওয়ায় রাষ্ট্রপক্ষ সময় বাড়ানোর আবেদন করে। শেষ পর্যন্ত তদন্ত জমা দেওয়ার সময় ২৪ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়। তবে নির্ধারিত সময়ের আগেই তদন্ত শেষ হওয়ায় সোমবার তা আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হবে।
এর আগে গত শুক্রবার (৯ মে) ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম ফেসবুক পোস্টে লেখেন,
“জুলাই গণহত্যার তদন্ত প্রতিবেদন চিফ প্রসিকিউটরের দপ্তরে সোমবার জমা দেওয়া হবে বলে আশা করছি। এর পর শুরু হবে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (Formal Charge) দাখিলের প্রক্রিয়া।”
প্রসিকিউটরের দপ্তরে প্রতিবেদন যাচাই-বাছাইয়ের পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হবে। এরপর শুরু হবে বিচার কার্যক্রম।
এটি ছাড়াও শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা চলমান রয়েছে। একটি মামলায় আওয়ামী লীগ সরকারের ১৫ বছরে গুম ও হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ, এবং অপর মামলায় ২০১৩ সালের মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতের সমাবেশে হত্যাকাণ্ডের দায় আনা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করা হয়। নতুন গঠিত ট্রাইব্যুনালেই শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে প্রথম ‘মিস কেস’ (বিবিধ মামলা) দায়ের হয়।
বিশ্লেষকদের মতে, এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিচারিক মুহূর্ত, যা প্রভাব ফেলতে পারে ভবিষ্যৎ রাজনীতি ও মানবাধিকার পরিস্থিতির ওপর।
FAQ (প্রশ্নোত্তরসহ)
প্রশ্ন: শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কী অভিযোগ আনা হয়েছে?
উত্তর: ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থনের সময় সংঘটিত জুলাই গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত হয়েছে।
প্রশ্ন: আর কারা অভিযুক্ত হয়েছেন এই মামলায়?
উত্তর: সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন।
প্রশ্ন: কখন তদন্ত প্রতিবেদন ট্রাইব্যুনালে জমা পড়বে?
উত্তর: তদন্ত প্রতিবেদন ১২ মে (সোমবার) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের দপ্তরে জমা দেওয়া হবে।
প্রশ্ন: তদন্তের পর কী হবে?
উত্তর: চিফ প্রসিকিউটর প্রতিবেদন যাচাই শেষে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (formal charge) দাখিল করবেন, এরপর শুরু হবে বিচার।
মো: রাজিব আলী/
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- নতুন আইনের ইঙ্গিত, শেয়ারবাজারে গতি ফেরাতে ১০ বড় সিদ্ধান্ত
- শ্রীলঙ্কার কাছে ২৭ রানে হার, সিরিজ হেরে ফিরল বাংলাদেশ
- বিনিয়োগকারীদের জন্য ৩০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা
- গুজব না সত্যি: মারা গেলেন হাসনাত আবদুল্লাহ
- এএসপি আত্মহত্যার আসল কারণ জানালেন তার ভাই
- “না মারলে ঘটত বড় কিছু”—নেহালের এই কথায় দেশজুড়ে তোলপাড়
- ইন্টার মিলান বনাম বার্সেলোনা: ম্যাচ শুরুর সময়, একাদশ ও ম্যাচ প্রিভিউ
- শেয়ারবাজারের সংকটে এনসিপির শক্তিশালী প্রস্তাব
- সিসিএর সুদের টাকা কে পাবে না, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন
- সোনার দাম কমল: ৯ মে থেকে কার্যকর নতুন মূল্য তালিকা
- খালেদা জিয়ার উদ্দেশ্যে সারজিস আলমের বার্তা
- বাংলাদেশের বোলিং তোপে অল-আউট নিউজিল্যান্ড
- যুদ্ধবিরতির পর কাশ্মীর নিয়ে ভারত-পাকিস্তানকে ট্রাম্পের নতুন প্রস্তাব
- সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে সেনাপ্রধানের নেতৃত্বে কৌশলগত বার্তা
- বাংলাদেশে ঈদুল আজহার সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা