ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১

"চর"কাণ্ড নাকি ফর্মহীনতা যে কারণে বাদ পড়লেন নাসুম

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৩ ডিসেম্বর ০১ ১০:৪৪:২৯

সর্বশেষ ৬ টি টোয়েন্টি ম্যাচের বিশ্লেষন করলে দেখা যাচ্ছে যে তিনি আফগানিস্তানের সঙ্গে যে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট খেলেছেন সেখানে ৪ ওভারে ১৫ রান দিয়ে তিনি কোন উইকেট পাননি কিন্তু যথেষ্ট ইকনোমিক্যাল ছিল। ভালো বোলিং তিনি করেছেন অন্যদিকে এটা বাদে বাকি ম্যাচ গুলোতে নাসুম আহমেদ উইকেট সংখ্যা পাঁচ ম্যাচে একটা এবং সেগুলো তিনি এক্সপেন্সিভ ছিলেন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের।

বিশ্বকাপ চলাকালীন যদি কোন ক্রিকেটারকে চরবা থাপ্পড় দিয়ে থাকেন এবং সেটা যদি প্রমাণিত হয় প্রচলিত ধারা অনুযায়ী আইন অনুযায়ী চান্ডিকা হাথুরুসিংহ দণ্ড হওয়া উচিত.. বাংলাদেশের আসন্ন নিউজিল্যান্ড সফর উপলক্ষে ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি স্কোয়াড ঘোষণা করা হয়েছে.. স্কোয়াডে নাসুম আহমেদ পারফর্মেন্স এর জন্য তিনি দুইটা ফরমেটে দলে নেই নাকি এর পেছনে অন্য কোনো কারণ আছে ?

প্রথমত টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সর্বশেষ ৬ ম্যাচে নাসুম আহমেদ ১টি মাত্র উইকেট পেয়েছেন। যেখানে সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি আফগানিস্তানে বিপক্ষে তিনি ৪ ওভারে ১৫ রান দিয়ে কোন উইকেট পাননি। কিন্তু যথেষ্ট ইকনোমিক্যাল ছিল ভালো বোলিং তিনি করেছেন। অন্যদিকে এটা বাদে বাকি ম্যাচ গুলোতে কিন্তু নাসুম আহমেদ উইকেট সংখ্যা একটা এবং সেগুলো তিনি এক্সপেন্সিভ ছিলেন।

একটা ব্যাপার হতে পারে যে বাংলাদেশ টিম নতুন কিছু চেষ্টা করতে যাচ্ছে এবং যার সাধুবাদ দলে যুক্ত করা হয়েছে তানভির ইসলামকে। তানভির ইসলামকে এর আগে যখন দলে রাখা হয়েছিল এবং একটা ম্যাচের পরে যখন তাকে আর কন্টিনিউ করা হয় নাই এটা তানভির ইসলাম এর সঙ্গে এক ধরনের একটা ইনজাস্টিস। কারণ তানভির ইসলাম কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স আলোয় ব্যাক-টু-ব্যাক দুইটা সিজনে বেশ ভাল পারফর্ম করেছিলেন বিপিএল এবং বিপিএলে কন্সিস্তেন্ট ক্রিকেটারদের মধ্যে তানভির ইসলাম অন্যতম যার সঙ্গে হয়তো বা একদিন জাতীয় পর্যায়ে একটা ম্যাচের পরে তাকে এভাবে সুযোগ দেয়া হয় না যদি সিলেক্টর মনে করে থাকেন যে এই পর্টিকুলার টি-টোয়েন্টি সিরিজ তাদের তানভির ইসলাম কে আবার তারা সুযোগ দিতে চান ডেফিনেটলি একটা পজিটিভ সাইন।

তারুণ্যের কম্বিনেশন টিমটি সেটআপ করা হয়েছে এবং টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ছোট্ট সময়ের খেলা। এই জায়গাটায় কুইক রেসপন্স টা খুব গুরুত্বপূর্ণ এবং যে কারণে বাহাতি স্পিনার পরিবর্তে অন্য আর একজন বাহাতি স্পিনারকে সুযোগ দেয় হয়েছে।

বিশ্বকাপে নাসুম আহমেদ তিনটা ম্যাচ খেলেছেন যেখানে তার কোন উইকেট নেই। ইকোনমিক অনেক বেশী। প্রথম ম্যাচে ৯ ওভার ৩ বল করে ৬০ রান দিয়ে কোন উইকেট নেই। পরের ম্যাচে পাঁচ ওভার বল করে ২৭ রান দিয়ে কোন উইকেট নেই এবং সর্বশেষ ম্যাচ টা অনেক বেশি এক্সপেন্সেস ১০ ওভারে ৮৫ রান কোন উইকেট নেই।

বিশ্বকাপে স্পিনাররা রান দিয়েছেন কিন্তু যারা রান দিয়েছেন তারা এবার উইকেট নিয়েছেন এই জায়গাটা নাসুম আহমেদে ছিল ভিন্ন। ওয়ানডে ক্রিকেট একটা দীর্ঘ পরিসরের খেলা এইখানে এক্সপেরিয়েন্স অনেক বেশি মাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ অবস্থায় থাকে এবং টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে যে রকম অভিজ্ঞতা তারুণ্যের মিশনে আপনি একটা টিম করতে পারেন ওয়ানডে ক্রিকেটে অভিজ্ঞতাকে বেশি প্রাধান্য দিতে হয়।

নাসুম যেহেতু নেই সে ক্ষেত্রে তাইজুল কে কেন সুযোগ দিচ্ছে না। দুইজন লেফট আর্ম স্পিনার নিয়ে বাংলাদেশ খেলে সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উচিত ছিল তাইজুলকে সুযোগ দেওয়া। লেফট আর্ম স্পিনার নিলে বাংলাদেশ ভালো খেলে যেহেতু সাকিব আল হাসান নেই সে ক্ষেত্রে নাসুমের বিশ্বকাপে স্কোরিং টাও তেমন ভালো ছিল না তাই তাইজুলকে সুযোগ দেওয়াটা ছিল অত্যন্ত জরুরী। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে সাকিব আল হাসানের মত একজন অভিজ্ঞ প্লেয়ার নেই এটা বাংলাদেশের জন্য অনেক বড় প্রেসার। নতুনদেরকে অবশ্যই সে ক্ষেত্রে সুযোগ দিতে হবে। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে নতুনদের জন্য খেলাটা রেখে অনেক বড় প্রেসার আর যেহেতু বাংলাদেশের সামনের দিকে ভালো কোন স্পেনার নেই ।মিরাজ স্পিনার হলেও সে মোটামুটি অনেক ভালো মানের নয়।

একজন প্লেয়ার সব সময় ফর্মে থাকবেন ব্যাপারটি এমন না বিশ্বকাপের লাস্ট তিনটা সিরিজে মাসুম খারাপ করেছে বাট তার আগে নাসুমের স্কোর ছিল ভালো। এই নিউজিল্যান্ড সিরিজ যে ওনার সঙ্গে চিন্তা করা যেত তাকে আরেকবার সুযোগ দিলে হয়তো তিনি তার বেস্ট টা দেখাতে পারতেন। শেষ বিশ্বকাপের তিনটা ম্যাচ ছাড়া অন্য কোন প্রেসার নাসিমের উপর আছে কিনা এই বিষয়টি ভালো করে খুঁজে দেখা উচিত। ক্রিকেটের ব্যাখ্যার বাইরে যদি অন্য কোন কারণ থাকে তার তদন্ত হওয়া উচিত। একজন খেলোয়াড়ের ক্যারিয়ার এভাবে শেষ করে দেওয়া যাবে না।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে