ঢাকা, রবিবার, ৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১

দেশের বাজারে উর্ধগতি পেঁয়াজের দাম!

জাতীয় ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৪ ফেব্রুয়ারি ১০ ১৫:১০:০২
দেশের বাজারে উর্ধগতি পেঁয়াজের দাম!

গত মাসের মাঝামাঝি সময়ে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হলেও এ মাসের শেষে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম পৌঁছেছে ১০০ টাকায়। সে সময় পেঁয়াজের দাম ছিল ১০৫ থেকে ১১০ টাকা। এক কেজি পেঁয়াজের দাম আজ ১২০ টানা হয়েছে। আজ পেঁয়াজের দাম ১৩০ টাকায় থেমেছে। ফলে মাত্র ১৫ দিনে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৫০ টাকা বেড়েছে। প্রতিদিন গড়ে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে তিন টাকার বেশি।

রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে আজ (শনিবার) পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়। ব্যবসায়ীরা বলছেন, পেঁয়াজের ঘাটতির কারণে বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ কমে গেছে। তাই এই মূল্যবৃদ্ধি আরও কয়েকদিন চলবে, তারপর পেঁয়াজ উঠতে শুরু করলে দাম অনেকটাই কমে যাবে।

বিক্রেতা আলমগীর হোসেন জানান, গতকাল থেকে পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। গতকাল কারওয়ান বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১০৫ থেকে ১১০ টাকায়। তারপর পরিবহন খরচ, রাস্তা খরচ এবং দোকান খরচ আছে। বর্তমানে খুচরা বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০/১৩০ টাকায়। এক সপ্তাহ আগে পাইকারি বাজার থেকে ৮০/৮৫ টাকায় পেঁয়াজ কিনে খুচরা দোকানে বিক্রি করেন ১০০/১০৫ টাকায়। কিন্তু গতকাল থেকে দাম বাড়ায় ব্যবসায়ীরা আর পেঁয়াজ আনতে পারছেন না।

তিন দিনে ৩০ টাকা বেড়ে গেল?

কেনাকাটা করতে গিয়ে পেঁয়াজের দাম শুনে নিজের কানকে বিশ্বাস করতে পারছেন না মগবাজার এলাকার বাসিন্দা খুরশীদ আলম। তিনি বলেন, তিন/চার দিন আগে প্রতি কেজি পেঁয়াজ কিনলাম ১০০ টাকায়। আজ দেখছি ১৩০ টাকা। তিন দিনের মধ্যে দাম ৩০ টাকা বেড়ে গেলেও বাজার নিয়ন্ত্রণে কোনো উদ্যোগ দেখিনি।

তিনি আরও বলেন, ব্যবসায়ীরা সাধারণ ক্রেতাদের জিম্মি করে পেঁয়াজের দাম বাড়ান হচ্ছে কিন্তু বাজারের কোনো তদারকি ও নিয়ন্ত্রণ ব্যাবস্থা নেই। আমরা কি সর্বদা অসাধু ব্যবসায়ীদের কাছে নতিস্বীকার করব এবং বেশি দামে কিনব?

আলমগীর হোসেন নামে এক ব্যবসায়ী পাবনা থেকে পাইকারি দরে পেঁয়াজ কিনে ঢাকায় খুচরা বিক্রি করেন। গত সপ্তাহে পাবনায় প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৮০ থেকে ৮৫ টাকায় এবং রাজধানীতে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ১০০ টাকায় খুচরা বিক্রি হয়েছে বলে জানান তিনি। গত সপ্তাহে প্রতি মণ (৪০ কেজি) পেঁয়াজ ৩,২০০ টাকা থেকে ৩,৪০০ টাকা, এখন ৩,৮০০/৩,৯০০ টাকা।

তিনি আরও বলেন, নতুন পেঁয়াজ বা মুড়িকাটা ফার্মের পেঁয়াজ সবশেষে তোলা হয়। প্রায় দেড় মাস আগে এসব পেঁয়াজ বাজারে আসতে শুরু করলেও এখন কৃষকের পেঁয়াজ শেষের পথে। ফলে সরবরাহ কমতে থাকে, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ না থাকায় হঠাৎ করে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায়। এখন কৃষকের মূল পেঁয়াজ হালি পেঁয়াজ যেটা বছর জুড়ে পাওয়া যায় সেই পেঁয়াজ উঠতে কিছুদিন সময় লাগবে। সে পর্যন্ত এমন বাড়তি দাম থাকতে পারে বাজারে।

অন্যদিকে মিরপুর শেওড়াপাড়া এলাকার খুচরা বিক্রেতা মুদির দোকানি হালিম উদ্দিন বলেন, কারওয়ান বাজারসহ অন্যান্য পাইকারি বাজারে প্রতি পাল্লার (৫ কেজিতে এক পাল্লা) দাম পড়ে যাচ্ছে ৫২৫ থেকে ৫৫০ টাকা। সেই পেঁয়াজ পরিবহন খরচ দিয়ে এনে অন্যান্য সব খরচের হিসেব করে প্রতি কেজি ১২০ থেকে ১৩০ টাকায় বিক্রি করছি। আমরা যখন পাইকারি বাজারে বেশি দামে কিনে আনি তখন আমাদের খুচরা দোকানেই বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রি করতে হয়। আবার যখন পাইকারি বাজারে কম দামে পেতে শুরু করব তখন আবার কম দামেই পেঁয়াজ বিক্রি করব ক্রেতাদের কাছে।

ট্রেডিং কর্পোরেশনের অব বাংলাদেশের (টিসিবি) সহকারী পরিচালক (বাজার তথ্য) নাসির উদ্দিন তালুকদার জানিয়েছেন, গতকাল বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি সর্বোচ্চ ১২০ টাকায়। গত সপ্তাহে এই পেঁয়াজের দাম ছিল ৯০ টাকা আর এক মাস আগে এই পেঁয়াজের দাম ছিল ৮৫ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে। কিন্তু গত বছর এই সময় এই পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৩০ থেকে ৪০ টাকার মধ্যে।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে