ঢাকা, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

ইনজুরি থেকে ফিরেই জ্বলে উঠলেন সাইফউদ্দিন, ঢাকা বনাম বরিশাল হাইভোল্টেজ ম্যাচ!

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৪ ফেব্রুয়ারি ১০ ২৩:৪৩:২৩
ইনজুরি থেকে ফিরেই জ্বলে উঠলেন সাইফউদ্দিন, ঢাকা বনাম বরিশাল হাইভোল্টেজ ম্যাচ!

মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে পরপর দুটি বড় ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়ছে। যদিও রান তাড়া করতে নামা দল গুলো সেভাবে ব্যাটিং করতে পারেনি। ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে ব্যাট করতে পারেনি ঢাকার ব্যাটাররা, শুধুমাত্র অ্যালেক্স রস ছাড়া। তার ৫০ রান ছাড়া আর কেউ ঢাকাকে সেভাবে পথ দেখাতে পারেনি। ফলে বরিশালের কাছে ৪০ রানে হেরে যায় তারা। চলমান বিপিএলে এটি ঢাকার টানা অষ্টম পরাজয়।

শুরুতে ব্যাট করতে নেমে দ্রুত উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে তামিম ইকবালের দল। তবে সৌম্য সরকার ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ব্যাটে ১৮৯ রানের বিশাল পুঁজি তোলে বরিশাল। এই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই পিছিয়ে পড়ে ঢাকাও। কিন্তু তাদের গর্ত থেকে বের করে আনার জন্য কেউ সেভাবে ব্যাটিং করতে পারেনি। বিদেশী ব্যাটসম্যান অ্যালেক্স রস ছাড়া কেউ ডাবল ফিগারে পৌঁছেতে পারেন্নি। অলআউট হওয়ার আগে তাদের রান মোট হয় ১৪৯ ।

প্রথম ওভারে মাত্র ৫ রান করে ঢাকা পরের ওভারে ওপেনার সাবির হুসেনকে হারিয়ে ফেলে দলটি। পরের ওভারে মোহাম্মদ নাঈম শেখ আউট হয় মাত্র ১০ রানে। ৬ ওভারের পাওয়ারপ্লেতে দ্রুত আউট হয়ে দলটি মাত্র ৪১ রান করে। সেই খাদ পূরণের দায় নিয়ে রসের সঙ্গে জুটি বাধেন এসএম মেহেরুব। রস স্বভাবসুলভ শট খেললেও, মেহেরুব হাত খুলতেই পারছিলেন না।

মাহদি হাসান মেরাজের বলে আউট হওয়ার আগে ২৯ বলে ২৮ রান করেন ২০ বছর বয়সী এই তরুণ। আস্কিং রানরেট জ্যামিতিক হারে বাড়তে থাকায় তখন ঢাকার হার অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। তার সঙ্গে যোগ হয়েছিল পরবর্তী ২১ রানে ঢাকার আরও ৪ উইকেটের পতন। শেষ পর্যন্ত লড়াইয়ের মানসিকতা নিয়ে ব্যাট চালিয়ে যাচ্ছিলেন রস। যদিও ১৯তম ওভারে তিনি বিদায় নেন। তার আগে ৩০ বলে ৫টি চার ও ৩টি ছক্কায় রস করেন ৫২ রান।

মাঝে একটি ছয় ও চারের বাউন্ডারিতে ব্যবধান কমিয়েছেন তাসকিন আহমেদ। তবে ১৯.৪ ওভারেই তার দল ১৪৯ রানে অলআউট হয়ে যায়। বরিশালের হয়ে ৪ ওভারে মাত্র ২১ রান খরচায় ৩ উইকেট নিয়েছেন পেস অলরাউন্ডার সাইফউদ্দিন। এছাড়া দুটি করে উইকেট শিকার করেছেন মেহেদী মিরাজ ও ওবেদ ম্যাককয়।

এর আগে টস জিতে আগে ব্যাট করা বরিশাল মাত্র ১৯ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে বসে। সেখান থেকে বড় পুঁজি পাওয়া ছিল তাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং। সেই কঠিন কাজটা দারুণভাবে সম্পন্ন করেছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও সৌম্য সরকার। দুজনেই ঝোড়ো ফিফটি পেয়েছেন। শেষদিকে শোয়েব মালিকও তাণ্ডব চালিয়েছেন। ৪৭ বলের ইনিংসে ৭টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৭৩ রানে ফেরেন মাহমুদউল্লাহ।

সৌম্য-মাহমুদউল্লাহর ফিফটিতে বরিশালের বড় পুঁজি

এরপর আর উইকেট হারায়নি বরিশাল। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন সৌম্য ও শোয়েব মালিক। শেষ তিন ওভারে তারা ৩১ রান যোগ করেন। সৌম্য ৪৮ বলে ৪টি চার ও ৬টি ছক্কায় অপরাজিত ছিলেন ৭৫ রানে। দুটি চার ও এক ছক্কায় ১০ বলে ১৯ রান করেন শোয়েব। ঢাকার হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন দলের প্রধান দুই পেসার তাসকিন ও শরিফুল।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



রে