নারীদের ৩০ বছরের পর প্রয়োজনীয় ছয়টি ফল

নিজস্ব প্রতিবেদক: বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরের পুষ্টির চাহিদা বদলে যায়। বিশেষত ৩০ বছর পার হলে নারীদের শরীরে ভিটামিন ও খনিজের ঘাটতি দেখা দিতে পারে, যা দীর্ঘমেয়াদে নানা স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই সময়ে ভিটামিন বি১২, ভিটামিন সি, ভিটামিন ডি, আয়রন এবং ক্যালসিয়াম-এর পর্যাপ্ত গ্রহণ শরীরকে সজীব ও সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। সম্প্রতি আমেরিকান জার্নাল অফ ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশন-এ প্রকাশিত এক গবেষণায় ছয়টি ফলের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, যা ৩০ বছরের পর নারীদের খাদ্যতালিকায় রাখা উচিত।
১. চেরি: সুস্থতার প্রাকৃতিক টনিক
চেরি শুধুমাত্র সুস্বাদুই নয়, এটি গাউট ও আর্থ্রাইটিস-এর মতো রোগ প্রতিরোধে সহায়ক। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট অ্যান্থোসায়ানিন দেহের শক্তি বাড়ায় এবং কর্মক্ষমতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। সুস্থতার জন্য সপ্তাহে তিন থেকে চারবার এক ডজন চেরি খাওয়া বা চিনি ছাড়া এর রস পান করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
২. টমেটো: ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখার চাবিকাঠি
যদিও এটি সবজি হিসেবে পরিচিত, তবুও টমেটো প্রযুক্তিগতভাবে একটি বেরি। এতে থাকা উচ্চ লাইকোপিন ত্বকের সৌন্দর্য বজায় রাখে এবং ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক। গবেষণায় দেখা গেছে, টমেটো খেলে ফুসফুস ও পেটের ক্যান্সার-এর ঝুঁকি কমে এবং এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায়।
৩. পেঁপে: হজমশক্তি বাড়ানোর অনন্য সমাধান
পেঁপে ভিটামিন এ, সি ও ফোলেট সমৃদ্ধ, যা হজমের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। এতে থাকা পেপেইন হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে এবং গ্যাস্ট্রিকজনিত সমস্যার সমাধান করে। এটি ডায়াবেটিস, হৃদরোগ ও পেট ফোলাভাব কমাতেও কার্যকর।
৪. পেয়ারা: রোগ প্রতিরোধ শক্তির উৎস
পেয়ারা প্রচুর ভিটামিন সি সরবরাহ করে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং ইনসুলিন প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এছাড়াও, উচ্চ পটাসিয়াম ও ফাইবারের কারণে এটি হৃদরোগ প্রতিরোধে সহায়ক এবং নারীদের মাসিকের সময় ব্যথা কমাতে সহায়তা করে।
৫. আপেল: স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের ভিত্তি
আপেল পেকটিন ফাইবার সমৃদ্ধ, যা শরীরের অতিরিক্ত চর্বি শোষণ কমিয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে। এটি দীর্ঘ সময় ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং অতিরিক্ত ক্যালরি গ্রহণ প্রতিরোধ করে। গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত আপেল খাওয়া হৃদরোগের ঝুঁকি ১৩ থেকে ২২ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে দেয়।
৬. অ্যাভোকাডো: সুস্থ হৃদযন্ত্রের সহায়ক
অ্যাভোকাডো স্বাস্থ্যকর মনোআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট সমৃদ্ধ, যা রক্তের ক্ষতিকর LDL কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে, দুপুরের খাবারের সঙ্গে অর্ধেক অ্যাভোকাডো খেলে দীর্ঘ সময় ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং এটি ওজন নিয়ন্ত্রণেও কার্যকর।
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরের যত্ন নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ৩০ বছরের পর নারীদের খাদ্যাভ্যাসে এই ছয়টি ফল অন্তর্ভুক্ত করলে শরীর সুস্থ ও সজীব থাকবে এবং দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্য সমস্যা প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- স্বর্ণের বাজারে বড় পরিবর্তন, ভরিতে কমলো ৭,৩২৫ টাকা
- সোনার দাম কমল: ৯ মে থেকে কার্যকর নতুন মূল্য তালিকা
- “না মারলে ঘটত বড় কিছু”—নেহালের এই কথায় দেশজুড়ে তোলপাড়
- শেয়ারবাজারের ঝুঁকি নিয়ে গভর্নর সতর্ক, জানিয়ে দিলেন বিনিয়োগকারীদের
- আসন্ন বাজেটে শেয়ারবাজারে আস্থা ফেরাতে সরকারের ৭ পদক্ষেপ
- শেয়ারবাজারের সংকটে এনসিপির শক্তিশালী প্রস্তাব
- ১০ বলে ২৭ রান! রাকিবুলের ছক্কা বৃষ্টি আর জয়ের উল্লাস
- যুদ্ধবিরতির পর কাশ্মীর নিয়ে ভারত-পাকিস্তানকে ট্রাম্পের নতুন প্রস্তাব
- স্বর্ণের দাম কমেছে, এখনই কিনুন!
- বাংলাদেশ ২-২ ড্র: সাফ অনূর্ধ্ব-১৯-এ মালদ্বীপের সাথে সমতা
- শেষ ওভারে বদলে গেল ম্যাচের দৃশ্যপট, ব্যর্থ আকবরদের প্রচেষ্টা
- শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠদের পলায়ন: বিদেশে কোথায় আশ্রয় নিয়েছেন তারা
- ভুটানকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করল বাংলাদেশ
- যুদ্ধের মুখে যুদ্ধবিরতি! ভারত-পাকিস্তানকে থামাল কে?
- আজ সন্ধ্যা ৬টার আগে হতে পারে ঝড়, সতর্ক ৬ জেলা