হার্টের রিংয়ের দাম কমলো, জানুন নতুন মূল্য ও তার সময়
নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশে হৃদরোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত ‘হার্টের রিং’ হিসেবে পরিচিত করোনারি স্টেন্টের দাম নতুনভাবে কমানো হয়েছে। আগামী ১ অক্টোবর থেকে এই নতুন দাম কার্যকর হবে বলে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর জানিয়েছে। এর ফলে রোগীদের হৃদরোগের চিকিৎসায় খরচ অনেকটাই কমে আসবে।
করোনারি স্টেন্ট কেন গুরুত্বপূর্ণ?
হৃদযন্ত্রের ধমনীতে রক্ত চলাচল বন্ধ বা বাধাগ্রস্ত হলে এনজিওপ্লাস্টি পদ্ধতির মাধ্যমে ওই স্থানে স্টেন্ট বসানো হয়। এটি রক্তের সঠিক প্রবাহ নিশ্চিত করে হৃদযন্ত্রের স্বাভাবিক কার্যকারিতা বজায় রাখে। সাধারণ মানুষের ভাষায় এই স্টেন্টকেই ‘হার্টের রিং’ বলা হয়। বাংলাদেশে বছরে প্রায় ৪৫ হাজার স্টেন্টের চাহিদা থাকে।
দাম কমানোর পেছনের কারণ
মেডট্রোনিক, বস্টন সায়েন্টিফিক ও অ্যাবোট – এই তিনটি প্রতিষ্ঠানের স্টেন্টের দাম তুলনামূলক বেশি হওয়ায় বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে গত ৩ আগস্ট দাম কমানোর প্রক্রিয়া শুরু করে সরকার। পরে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের হাতে আগের দামের মজুদ থাকায় নতুন দাম কার্যকর করতে কিছু সময় চেয়েছিল। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে ১ অক্টোবর থেকে নতুন দাম বাস্তবায়ন করা হবে।
নতুন দাম কত?
মেডট্রোনিক
রিসলিউট অনিক্স: ১,৪০,৫০০ টাকা থেকে কমিয়ে ৯০,০০০ টাকা
অনিক্স ট্রুকর: ৭২,০০০ টাকা থেকে ৫০,০০০ টাকা
বস্টন সায়েন্টিফিক
প্রোমাস এলিট: ৭৯,০০০ থেকে ৭২,০০০ টাকা
প্রোমাস প্রিমিয়ার: ৭৩,০০০ থেকে ৭০,০০০ টাকা
সাইনার্জি: ১,১৭,০০০ থেকে ৯০,০০০ টাকা
সাইনার্জি শিল্ড: ১,২০,০০০ থেকে ৯০,০০০ টাকা
সাইনার্জি এক্সডি: ১,৮৮,০০০ থেকে ১,০০,০০০ টাকা
অ্যাবোট
জায়েন্স প্রাইম: ৬৬,৬০০ থেকে ৫০,০০০ টাকা
জায়েন্স আলপাইন: ১,৪০,৫০০ থেকে ৯০,০০০ টাকা
জায়েন্স সিয়ারাঃ ১,৪০,০০০ থেকে ৯০,০০০ টাকা
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের বক্তব্য
অধিদপ্তরের পরিচালক ড. মো. আকতার হোসেন বলেন, “আমাদের বিশেষজ্ঞ পরামর্শক কমিটি এই দাম পুনঃনির্ধারণ করেছে যাতে স্টেন্টের দাম সহনীয় হয় এবং বাজারে সরবরাহ অব্যাহত থাকে। আমরা বাকী প্রতিষ্ঠানগুলোর স্টেন্টের দামও শিগগিরই পর্যালোচনা করব।”
সাশ্রয়ী চিকিৎসার দিকে এক ধাপ
করোনারি স্টেন্টের দাম কমানোর ফলে রোগীদের হৃদরোগ চিকিৎসার খরচ অনেকটাই কমে আসবে। এটি বিশেষ করে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত রোগীদের জন্য খুবই সুখবর। আগামী ১ অক্টোবর থেকে এই নতুন মূল্য কার্যকর হওয়ায় চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানগুলোও দ্রুত এই পরিবর্তন অনুসরণ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
FAQ:
১. করোনারি স্টেন্ট কী?
করোনারি স্টেন্ট হলো একটি ছোট ধাতব নল যা হৃদযন্ত্রের ধমনীতে বসানো হয় রক্ত চলাচল সহজ করার জন্য।
২. কেন স্টেন্টের দাম কমানো হলো?
বাজারে স্টেন্টের দাম বেশী হওয়ায় রোগীদের চিকিৎসা খরচ কমানোর জন্য সরকার দাম পুনঃনির্ধারণ করেছে।
৩. নতুন দাম কবে থেকে কার্যকর হবে?
অক্টোবর থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে।
৪. কোন কোম্পানির স্টেন্টের দাম কমানো হয়েছে?
মেডট্রোনিক, বস্টন সায়েন্টিফিক ও অ্যাবোট কোম্পানির স্টেন্টের দাম কমানো হয়েছে।
৫. বাংলাদেশে প্রতি বছর কত স্টেন্টের প্রয়োজন হয়?
প্রায় ৪৫ হাজার স্টেন্টের চাহিদা থাকে।
মো: রাজিব আলী/
পাঠকের মতামত:
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- বাংলাদেশকে না বলে দিল যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও সুইজারল্যান্ড
- তারেক রহমান দেশে ফিরেই বিএনপির প্রার্থী তালিকায় করলেন বড় রদবদল, দেখুন তালিকা
- বিএনপির চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা থেকে বাদ পড়লেন যারা,দেখুন তালিকা
- আরও ১৫ আসনে বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তন, বাদ পড়লেন যারা, দেখুন তালিকা
- ১২ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন: বিএনপির প্রার্থী তালিকায় ব্যাপক রদবদল, দেখুন তালিকা
- খালেদা জিয়াকে নিয়ে করা সাকিবের ফেসবুক পোস্ট ভাইরাল, দেশ জুড়ে আলোচনার ঝড়
- শেষ মুহূর্তে ১৫ আসনে প্রার্থী পরিবর্তন করল বিএনপি, দেখুন তালিকা
- বিপিএল লাইভ-চট্টগ্রাম বনাম রংপুর: চলছে ম্যাচ, সরাসরি দেখুন Live
- খালেদা জিয়ার ৩ আসনে নাটকীয়তা: বিকল্প প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিলেন যারা
- ২০২৬ সালের স্কুলের ছুটির তালিকা প্রকাশ: মোট ৬৪ দিনের পূর্ণাঙ্গ ক্যালেন্ডার
- এ' থেকে 'বি' ক্যাটাগরিতে অবনমন হলো তালিকাভুক্ত কোম্পানি
- চলছে নোয়াখালী বনাম রাজশাহী ম্যাচ: খেলাটি সরাসরি Live দেখুন এখানে
- খালেদা জিয়াকে নিয়ে করা মাশরাফির ফেসবুক পোস্ট ভাইরাল, দেশ জুড়ে আলোচনার ঝড়
- শরিকদের যত আসন ছাড় দিল জামায়াত
- চট্টগ্রাম রয়্যালস বনাম রংপুর রাইডার্স: সরাসরি Live দেখবেন যেভাবে