ঢাকা, শুক্রবার, ৯ মে ২০২৫, ২৫ বৈশাখ ১৪৩২

গরমে সুস্থ থাকতে রোজ খান আম: জানুন ৬টি আশ্চর্য উপকারিতা

স্বাস্থ্য ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২৫ মে ০৮ ২১:২৭:০২
গরমে সুস্থ থাকতে রোজ খান আম: জানুন ৬টি আশ্চর্য উপকারিতা

নিজস্ব প্রতিবেদক: গ্রীষ্মকালে যখন তাপমাত্রা অসহনীয় হয়ে ওঠে, তখন শরীরের ঠান্ডা রাখার পাশাপাশি পুষ্টির চাহিদাও পূরণ করা জরুরি। আর এই সময়ে বাজারে পাওয়া যায় সোনালী রঙের রসালো একটি ফল—আম। শুধু স্বাদের জন্য নয়, আমের পেছনে রয়েছে এক বিশাল পুষ্টিগুণের ভাণ্ডার। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় আম রাখলে শরীর পায় একাধিক স্বাস্থ্য উপকারিতা। চলুন জেনে নিই, এই গ্রীষ্মে কেন প্রতিদিন আম খাওয়া উচিত।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে

আমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে তোলে। নিয়মিত আম খাওয়ার মাধ্যমে শরীর ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া এবং অন্যান্য সংক্রমণের বিরুদ্ধে প্রাকৃতিকভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সক্ষম হয়। বিশেষ করে গরমে যখন শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে, তখন আম হতে পারে এক নির্ভরযোগ্য সঙ্গী।

হজমের সহায়ক ফাইবার

আম একটি ফাইবারসমৃদ্ধ ফল। ফাইবার পাচনতন্ত্রের কার্যকারিতা ঠিক রাখে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং হজমে সহায়তা করে। গবেষণায় দেখা গেছে, এক কাপ আমে প্রায় ৩ গ্রাম খাদ্যআঁশ থাকে। এছাড়া এটি শরীরে ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে, ফলে হৃদরোগের ঝুঁকিও হ্রাস পায়।

স্মৃতিশক্তি উন্নত করে

যারা ভুলে যাওয়ার সমস্যায় ভোগেন, তাদের জন্য আম হতে পারে দারুণ এক প্রাকৃতিক সমাধান। আমে রয়েছে গ্লুটামিন অ্যাসিড, যা মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়ায় এবং স্মৃতিশক্তি তীক্ষ্ণ করে। তাই ছাত্রছাত্রী থেকে শুরু করে সকল বয়সী মানুষের জন্য এই ফল উপকারী।

ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বাড়তি সুযোগ

অনেকেই মনে করেন ডায়াবেটিস থাকলে আম খাওয়া উচিত নয়। তবে তথ্য অনুযায়ী, আমে থাকা অ্যান্থোসায়ানিডিন নামক প্রাকৃতিক যৌগ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। যদিও পরিমাণের ব্যাপারে সচেতন থাকতে হয়, তবে বিশেষজ্ঞের পরামর্শে সীমিত আকারে আম খাওয়া নিরাপদ হতে পারে।

ত্বককে রাখে সতেজ

গরমের দিনে ত্বক শুষ্ক ও বিবর্ণ হয়ে পড়ে। আমে থাকা ভিটামিন সি এবং অন্যান্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান ত্বককে ভিতর থেকে পুষ্টি দেয়। এটি ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়, বলিরেখা কমায় এবং ব্রণের প্রবণতা হ্রাস করে।

চোখের যত্নেও কার্যকর

আমে রয়েছে ভিটামিন এ, যা চোখের সুস্বাস্থ্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ। দৃষ্টিশক্তি উন্নত করা থেকে শুরু করে রাতকানা প্রতিরোধে এই পুষ্টি উপাদান কার্যকর ভূমিকা রাখে। নিয়মিত আম খেলে চোখ সুস্থ থাকে এবং বয়সজনিত দৃষ্টির দুর্বলতা প্রতিরোধে সহায়তা করে।

গরমের দিনে যখন শরীর অতিরিক্ত পানিশূন্যতায় ভোগে, তখন পুষ্টিকর ফল নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আম শুধু রসালো আর সুস্বাদু নয়, বরং এটি একটি প্রকৃতির উপহার, যা শরীর ও মন দুটোই সতেজ রাখতে সাহায্য করে। তবে যে কোনো ফলের মতোই, আম খাওয়ার ক্ষেত্রেও পরিমিতি বোধ থাকা জরুরি। সঠিক পরিমাণে প্রতিদিন আম খেলে গ্রীষ্মের কষ্টকর সময়টা সহজেই পার করে ফেলা সম্ভব।

মোঃ রাজিব আলী/

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ