ঢাকা, মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২

খুলনা-চট্টগ্রামে ভারি বৃষ্টির আশঙ্কা, সারাদেশে চলবে বৃষ্টিপাত

সারাদেশ ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২৫ জুলাই ০১ ১৪:৩২:৫১
খুলনা-চট্টগ্রামে ভারি বৃষ্টির আশঙ্কা, সারাদেশে চলবে বৃষ্টিপাত

নিজস্ব প্রতিবেদক: আকাশে ভেসে বেড়ানো কালো মেঘের দল যেন জানান দিচ্ছে—আসছে ঘন বর্ষা। দেশের অধিকাংশ এলাকায় শুরু হয়েছে বৃষ্টির ছোঁয়া, কোথাও আবার ধেয়ে আসছে ভারি বর্ষণের সম্ভাবনা। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট—এই চার বিভাগে মাঝারি থেকে ভারি বর্ষণের আশঙ্কা রয়েছে।

মঙ্গলবার (১ জুলাই) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী পাঁচ দিনের জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে তা অবস্থান করছে প্রবলভাবে। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন অঞ্চলে একটি লঘুচাপের সৃষ্টি হয়েছে, যার প্রভাবে দেশের আবহাওয়ায় এসেছে বড় ধরনের পরিবর্তন।

এর ফলে আজ রাত থেকেই খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের কিছু এলাকায় দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে। কোথাও কোথাও বজ্রসহ বৃষ্টির সঙ্গে ভারি বর্ষণের সম্ভাবনাও রয়েছে।

আবহাওয়ার এ ধারাবাহিকতা থাকছে পুরো সপ্তাহজুড়েই।বুধবারের মতো বৃহস্পতিবারও খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের বেশিরভাগ জায়গায় এবং দেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলের অনেক এলাকায় নামতে পারে ঝুমবৃষ্টি। এ সময় দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে, তবে তাপদাহের আশঙ্কা নেই বললেই চলে।

শুক্রবার ও শনিবারও বৃষ্টি অব্যাহত থাকবে। শনিবারে গিয়ে বর্ষা যেন তার পূর্ণতা পেতে পারে—কারণ এদিন দেশের অনেক জায়গায় মাঝারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে বলে আভাস মিলেছে। রংপুর থেকে শুরু করে চট্টগ্রাম পর্যন্ত—দেশজুড়ে মেঘ-বৃষ্টির ছোঁয়ায় শান্ত হতে পারে উত্তপ্ত শহর ও ক্লান্ত জনপদ।

এদিকে গতকাল সকাল ৬টা থেকে আজ মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে—৩৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অন্যদিকে সবচেয়ে ঠান্ডা ছিল পাহাড়ঘেরা বান্দরবান, যেখানে তাপমাত্রা ছিল ২৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে, যেখানে ৪৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আগামী পাঁচ দিন বৃষ্টির এ ধারা অব্যাহত থাকবে। ফলে বর্ষার এ সময়ে ভেজা শহর, কাদায় ভরা গ্রামের পথ আর ছাতার নিচে গল্প বলা মানুষ—সব কিছু মিলেই তৈরি হতে পারে এক পুরোদস্তুর বৃষ্টিমুখর বাংলাদেশ।

জনসাধারণকে এ সময় সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। বিশেষ করে পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের ঝুঁকি এবং শহরাঞ্চলে জলাবদ্ধতার বিষয়টি মাথায় রেখে প্রস্তুত থাকতে পরামর্শ দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

শেষ কথায় বলা যায়, বর্ষা শুধু বৃষ্টি নয়, এটা এক অনুভূতির নাম। প্রকৃতিকে ধুয়ে-মুছে নতুন করে সাজিয়ে তোলে এই ঋতু। তাই প্রয়োজন সচেতনতা, আর চোখ রাখুন আকাশে—যেকোনো সময় নামতে পারে আরেক দফা বৃষ্টি।

মো: রাজিব আলী/

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ