স্বাস্থ্য খাতে বড় সংস্কার: ২৬ মেডিকেল কলেজ বন্ধের সিদ্ধান্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাত আজ এক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। গত এক দশকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যেসব নতুন মেডিকেল কলেজ গড়ে উঠেছে, তার মধ্যে বেশিরভাগই কার্যকরভাবে পরিচালিত হচ্ছে না। এসব কলেজের অবকাঠামো, শিক্ষার মান এবং প্রয়োজনীয় সুবিধাগুলোর অভাবে, দেশের ভবিষ্যৎ চিকিৎসকদের দক্ষতা নিয়ে বড় প্রশ্ন উঠেছে। সরকারের পক্ষ থেকে এমন একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যার মাধ্যমে ২৬টি মেডিকেল কলেজ বন্ধ করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
অবকাঠামো ও শিক্ষার মানের সংকট
নিজস্ব প্রতিবেদক: শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হওয়া সত্ত্বেও, অনেক কলেজের শুরুর অবকাঠামোই স্থায়ী হয়নি। যেখানে ক্যাম্পাস রয়েছে, সেখানে পর্যাপ্ত শ্রেণিকক্ষ, আবাসন বা অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা প্রায়শই অনুপস্থিত। শিক্ষকদের অভাব, বিশেষত বেসিক সায়েন্স এবং কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগে, শিক্ষার মানকে আরও সংকুচিত করেছে। এর ফলস্বরূপ, শিক্ষার্থীরা যথাযথ শিক্ষা পায় না, এবং অদক্ষ চিকিৎসক তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।
রাজনৈতিক প্রভাবের ছাপ
অনেক কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে রাজনৈতিক তদবিরের মাধ্যমে, যেখানে শিক্ষার পরিবেশ তৈরির জন্য কোনো পরিকল্পনা ছিল না। এসব কলেজে শিক্ষার সুযোগ-সুবিধা কখনোই আদর্শ ছিল না, যা বাস্তবিক শিক্ষাদানের ক্ষেত্রে এক বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পদক্ষেপ
দেশে মোট ১ লাখ ৩০ হাজারেরও বেশি চিকিৎসক থাকলেও, তাদের মধ্যে অনেকেই দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার ঘাটতির কারণে সঠিক চিকিৎসা প্রদান করতে অক্ষম। সরকার এখন স্বাস্থ্য খাতে একটি বড় পরিবর্তন আনার জন্য দৃঢ় পদক্ষেপ নিচ্ছে। তাদের লক্ষ্য, শুধুমাত্র মানসম্পন্ন মেডিকেল কলেজগুলোকে চালু রাখা এবং বাকি কলেজগুলোর কার্যক্রম বন্ধ করা। ইতিমধ্যে ২৬টি কলেজের বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, এর মধ্যে সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে রয়েছে।
অদক্ষ চিকিৎসক তৈরি না করতে সরকারের পদক্ষেপ
এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে সরকার আশা করছে, ভবিষ্যতে শুধুমাত্র দক্ষ চিকিৎসক তৈরি হবে, যারা দেশের স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নত করবে। গত বছর দুইটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজের নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছিল, এবং আরো কয়েকটি কলেজের নিবন্ধন স্থগিত করা হয়েছে। সরকারের পরিকল্পনা হলো, কলেজগুলোর আসনসংখ্যা কমিয়ে শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় এবং মানসম্পন্ন প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর জোর দেওয়া।
স্বাস্থ্য খাতে নতুন দিগন্ত
এখনও অনেক চ্যালেঞ্জ বাকি, তবে এই পদক্ষেপ দেশের স্বাস্থ্য খাতের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল করার জন্য একটি প্রথম পদক্ষেপ হতে পারে। এই সিদ্ধান্তগুলো আগামী বছর থেকে কার্যকর হতে পারে, এবং এর মাধ্যমে স্বাস্থ্য খাতে নতুন দিগন্তের উন্মোচন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তুহিন/
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- দেশের বাজারে ইতিহাস গড়ে কমলো সোনার দাম, জেনেনিন বাজার মূল্য
- অভিনেতা সিদ্দিককে পিটিয়ে পুলিশে দিল ছাত্রদল কর্মীরা
- আজ বাংলাদেশের বাজারে১৮ ক্যারেট, ২১ ক্যারেট ও ২২ ক্যারেট সোনার দাম
- ৬ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির ডিভিডেন্ড ঘোষণা, কারা কত শতাংশ দিচ্ছে
- বাংলাদেশ স্কোয়াডে দুই পরিবর্তন, আসছে এক চেনা মুখ ও এক নতুন নাম
- বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ প্রধানমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করলেন হাসানত আব্দুল্লাহ
- মার্জিন রুলস ১৯৯৯-এ বড় পরিবর্তন: পুঁজিবাজারের নতুন দিগন্ত
- ১১ কোম্পানির তৃতীয় প্রান্তিক প্রকাশ: কার লাভ, কার ক্ষতি?
- শেয়ারবাজারের স্থিতিশীলতা ফেরাতে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিল বিএসইসি
- বাঁচাও শেয়ারবাজার’: বিনিয়োগকারীদের গর্জনে কাঁপলো মতিঝিল
- বাংলাদেশের প্রথম নির্বাসিত কবি দাউদ হায়দার মারা গেছেন
- বিনিয়োগকারীদের জন্য ৭ কোম্পানির নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা
- রিয়াল বনাম বার্সা ফাইনাল: কখন, কোথায়, কিভাবে দেখবেন আজ রাতে
- আজকের সৌদি রিয়াল রেট (২৮ এপ্রিল ২০২৫)
- শ্রীলঙ্কার ‘না’ বলে দেওয়া, ভারতের সেতু স্বপ্ন স্থগিত