ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশে ২০১৮ সালের আলোচিত ৯ ঘটনা

জাতীয় ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০১৯ জানুয়ারি ০১ ২১:১৬:৩৩
বাংলাদেশে ২০১৮ সালের আলোচিত ৯ ঘটনা

১. সংসদ নির্বাচন ও রাজনীতির উত্তাপ

২০১৮ সালের পুরো সময়টাতেই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিষয়টি আলোচনায় ছিল। তবে রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনী কার্যক্রমের তৎপরতা অক্টোবরের শুরু থেকে দেখা যায়।

১৩ অক্টোবর গণফোরাম নেতা ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে বিএনপি এবং কয়েকটি ছোট দল জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নামে নতুন একটি জোট গঠনের কথা ঘোষণা করে।

জাতীয় নির্বাচনের আগে সরকারের পদত্যাগ, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন এবং সংসদ বাতিলসহ আরো কিছু দাবি তোলে তারা। পরে ২৪ অক্টোবর এসব দাবি নিয়ে সিলেট শহরে প্রথম জনসভা করে তারা।

এরপর গত ২৮ অক্টোবর জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে একটি চিঠিতে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই তাদের সাত দফা দাবি নিয়ে সরকারকে আলোচনায় বসার প্রস্তাব দেয়া হয়।

ওই প্রস্তাবের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সংলাপে বসতে রাজি হওয়ার সরকারি সিদ্ধান্তে বিরোধী দলীয় নেতারা বিস্মিত হন।

পরে অবশ্য ৭ নভেম্বর সরকার ও ঐক্যফ্রন্ট আরো এক দফায় সংলাপে বসলে কার্যত কোন ফলাফল পাওয়া যায়নি। পরের দিনই মতপার্থক্য আর বিতর্কের মধ্যে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছিল নির্বাচন কমিশন। তখন ২৩ ডিসেম্বর ভোটগ্রহণের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছিল। পরে অবশ্য তা পিছিয়ে ৩০ ডিসেম্বর নেয়া হয়।

এর মধ্যে ১১ নভেম্বর নির্বাচনে অংশগ্রহণের নীতিগত সিদ্ধান্ত জানায় ঐক্যফ্রন্ট। কিন্তু ড. কামাল হোসেন কোন মনোনয়নপত্র জমা দেননি। এ সময় ধানের শীষ প্রতীকে জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের মনোনয়ন দেয়ার ব্যাপারটিও আলোচনায় আসে।

এদিকে ৯ ডিসেম্বর মহাজোট ও ঐক্যফ্রন্ট শরিকদের মধ্যে আসন ভাগাভাগি চূড়ান্ত করার পরের দিনই ১০ ডিসেম্বর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচারণা শুরু হয়। তবে ১২ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া থেকে এবং বিরোধী জাতীয় ঐক্যজোট নেতা ড. কামাল হোসেন সিলেট থেকে তাদের প্রচারাভিযান শুরু করেন।

১৭ ডিসেম্বর ঐক্যফ্রন্ট এবং ১৮ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগ ও বিএনপি তাদের নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করে।

এরই মধ্যে ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয়েছে একাদশ সংসদ নির্বাচন। ২৯৯টি আসনে ভোট গ্রহণ হয়। গাইবান্ধার একটি আসনে একজন প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে সেই আসনে নির্বাচন স্থগিত করা হয়।

আওয়ামী লীগ ও মহাজোট ২৮৮টি আসন পেয়ে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে। অপর দিকে ঐক্যফ্রন্ট ও বিএনপি জোট ৭টি আসন পায়। অন্যান্যরা বাকি ৩টি আসন পায়।

বিরোধী জোট 'কারচুপি ও অনিয়মের' অভিযোগে নির্বাচনী ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে পুনর্নির্বাচনের দাবি তুললেও আওয়ামী লীগ ও নির্বাচন কমিশন তা নাকচ করে দেয়।

২. খালেদা জিয়ার কারাদণ্ড ও নির্বাচনে অযোগ্যগত বছরের শুরু থেকে সবচেয়ে বড় আলোচিত বিষয়টি ছিল বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার কারাদণ্ড। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ফেব্রুয়ারি মাসের ৮ তারিখ থেকে কারাবন্দি রয়েছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া।

২০০৮-এর ৩ জুলাই দুর্নীতি দমন কমিশনের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি ৫ বছরের কারাদণ্ড দেয় ঢাকার একটি বিশেষ আদালত। তখন থেকেই তিনি জেলে আছেন।

এরপর ৩০ অক্টোবর একই মামলায় খালেদা জিয়ার কারাদণ্ড পাঁচ বছর থেকে বাড়িয়ে ১০ বছর করেছে হাইকোর্ট। অন্যদিকে আরেকটি দুর্নীতি মামলায় (জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট) আরেকটি বিশেষ আদালত তাকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়।

তবু একাদশ সংসদ নির্বাচনের অংশগ্রহণ করার জন্য বিএনপি থেকে তার পক্ষে ফেনী-১ এবং বগুড়া-৬ ও ৭ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেয়া হয়েছিল। তবে ২ ডিসেম্বর বাছাইয়ের সময় কারাদণ্ডের কারণ দেখিয়ে খালেদা জিয়ার প্রার্থিতা বাতিল করে দেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা। নির্বাচন কমিশনে আপিল করা হলে সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে নেয়া সিদ্ধান্তে সেই আপিল নাকচ হয়ে যায়। পরে ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে গিয়েছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সন। ১৩ ডিসেম্বর খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন কি-না সে নিয়ে বিভক্ত রায় দেয় হাইকোর্ট বেঞ্চ। এই রিট আবেদনের শুনানির পর সংশ্লিষ্ট বেঞ্চের প্রতি অনাস্থা জানিয়েছিলেন তার আইনজীবীরা। এরপর তার রিট তৃতীয় আর একটি বেঞ্চে পাঠানো হলে সেটিও ১৮ ডিসেম্বর তা খারিজ করে দেয় আদালত। খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে এ প্রথমবারের মতো তিনি নির্বাচনে অযোগ্য হলেন।

৩. নেপাল বিমান দুর্ঘটনা২০১৮ সালের একটি বড় ঘটনা ছিল নেপালের কাঠমান্ডুতে ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিমান দুর্ঘটনা। ১২ মার্চ বিমানটি বিধ্বস্ত হলে ৪৯ জন মানুষ নিহত হন। এর মধ্যে ২৬ জন আরোহী বাংলাদেশি।

এ দুর্ঘটনার পর থেকে আকাশপথের নিরাপত্তা ইস্যুতে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হয়েছিল। পরে ১৯ মার্চ নিহত ২৬ জনের মধ্যে ২৩ জনের লাশ ঢাকায় এনে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বাকিদেরটা পরে আনা হয়।

৪. মাদকবিরোধী অভিযানচলতি বছরের মাঝামাঝি সময় থেকে যে ইস্যুটা ব্যাপকভাবে নাড়া দিয়েছিল সেটি হলো মাদকের বিরুদ্ধে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান।

মাদকবিরোধী অভিযানকে অনেকেই সাধুবাদ জানালেও কথিত বন্দুকযুদ্ধ নিয়ে মানবাধিকার কর্মীরা বরাবরই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। উদ্বেগের কথা আনুষ্ঠানিকভাবে তারা বিভিন্ন ফোরামে তুলে ধরেছেন।

বছরের মে মাসের ১৫ তারিখ থেকে শুরু করে অক্টোবর পর্যন্ত মাদকবিরোধী অভিযানে চার শতাধিক লোক নিহত হয়েছে বলে মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে।

তবে ২৬ মে টেকনাফে কথিত বন্দুকযুদ্ধে সেখানকার পৌর কাউন্সিলর ও স্থানীয় যুবলীগের সাবেক সভাপতি মো. একরামুল হকের নিহত হওয়ার ঘটনা নিয়ে রেকর্ডকরা অডিও প্রকাশ হওয়ার পর ঘটনা নিয়ে সামাজিক নেটওয়ার্কে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

এর মধ্যেই ৩০ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, মাদকবিরোধী অভিযান চলছে তাতে কাউকেই রেহাই দেয়া হবে না।

৫. নিরাপদ সড়ক আন্দোলনসড়কে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবিতে আন্দোলন বাংলাদেশে এর আগে হলেও গত বছরের আগস্ট মাসের মতো আলোড়ন তৈরি হয়নি কখনোই।

২৯ জুলাই ঢাকার রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী বাসচাপায় নিহত হওয়ার পর নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থীরা।

প্রথম কয়েকদিন স্কুল-কলেজ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ও পরবর্তীতে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ হয় ঢাকার বিভিন্ন স্থানে। এ সময় তাদের প্ল্যাকার্ড-পোস্টারসহ নানা স্লোগানে উত্তাল হয় ঢাকার রাস্তা। তাদের এই আন্দোলন অল্প সময়ের মধ্যেই সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে।

তবে ৪ আগস্ট কিছু গুজব ছড়িয়ে পড়লে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ কর্মীদের সাথে সংঘর্ষে ঢাকার ধানমণ্ডির জিগাতলা এবং সায়েন্স ল্যাব মোড় অনেকটা রণক্ষেত্রে রূপ নিয়েছিল। পরে গত ৫ আগস্ট আলোকচিত্রী শহিদুল আলমকে পুলিশ আটক করে। তার বিরুদ্ধে ইন্টারনেটে সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে 'অসত্য এবং উস্কানিমূলক তথ্য' ছড়ানোর অভিযোগে তথ্য-প্রযুক্তি আইনে মামলা করা হয়। পরে ১০৮ দিন কারাগারে থাকার পর তিনি জামিনে বের হন।

৬. কোটা সংস্কার আন্দোলন২০১৮ সালে বাংলাদেশে আলোচিত আরেকটি বড় ইস্যু হলো সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের আন্দোলন। কোটা সংস্কারের দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। এর আগে বিভিন্ন সময় কোটা পদ্ধতি সংস্কার করার দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ হলেও এপ্রিলে সেই আন্দোলন তীব্র হয়ে দেশের বেশিরভাগ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছড়িয়ে পড়েছিল।

এক পর্যায়ে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ ও পুলিশের নিয়মিত সংঘর্ষ হতে শুরু করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পুলিশের সাথে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষের সময় উপাচার্যের বাসভবনে ভাংচুর ঘটনাও ঘটে।

ওই ঘটনার পর ব্যাপক পুলিশ অভিযান চালানো হয় আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে। এভাবে শুরুতে সরকার কোটা পদ্ধতির পক্ষে শক্ত অবস্থান নিলেও সেই আন্দোলনের মুখে এক পর্যায়ে মন্ত্রী পরিষদ সচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল।

জাতীয় সংসদে দেয়া এক বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা থাকবে না।

কমিটির পর্যালোচনা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে মন্ত্রীসভা সরকারি চাকরির প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর পদের জন্য কোটা বাতিলের প্রস্তাব অনুমোদন করে। নিম্নপদের জন্য কোটা পদ্ধতি বহাল রাখা হয়েছে। অবশেষে ৪ অক্টোবর কোটার বিলুপ্তি ঘোষণা করে পরিপত্র জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

৭. উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় বাংলাদেশগত বছরের ১২ মার্চ জাতিসংঘের অর্থনৈতিক এবং সামাজিক পরিষদের উন্নয়ন নীতিবিষয়ক কমিটি বা সিডিপি বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উঠে আসার যোগ্যতা অর্জন করেছে বলে স্বীকৃতি দেয়। কিন্তু উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতির জন্য অপেক্ষা করতে হবে ২০২৪ সাল পর্যন্ত।

একটি বিশেষজ্ঞ টেকনিক্যাল কমিটির মাধ্যমে উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি পাবার পর যেকোন দেশের মূল্যায়ন হয়। ২০২১ সালে এ বিষয়ে প্রথম রিভিউ হবে, বাংলাদেশ সব ক্ষেত্রে তা অর্জনকে কতটা সুদৃঢ় করেছে, এরপর ২০২৪ সালে আরেকটি মূল্যায়ন হবে।

তবে ২২ মার্চ বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে এটিকে ধুমধাম করে উদযাপন করা হয় এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সংবর্ধনা দেয়া হয়।

৮. ডিজিটাল সিকিউরিটি এ্যাক্টআইসিটি অ্যাক্টের ৫৭ ধারা বাতিল হলেও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে নতুন রূপে তা ফিরে আসছে বলে অভিযোগ গণমাধ্যমকর্মীদের।গত বছরের শুরুর দিনই অর্থাৎ ১ জানুয়ারি মন্ত্রিসভা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ নামের একটি নতুন আইনের খসড়া অনুমোদন করেছিল, যে আইনে তথ্য-প্রযুক্তি বা আইসিটি আইনের বিতর্কিত ৫৭ ধারা বিলুপ্ত করার প্রস্তাব করা হয়।

এরপর থেকেই উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছেন গণমাধ্যম এবং সামাজিক মাধ্যমের কর্মীরা। তাদের আশঙ্কা, আইনটির অনেক ধারায় হয়রানি ও অপব্যবহার হতে পারে।

এর মধ্যেই এটি ১৯ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদে পাশ হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও ৩ অক্টোবর এক সংবাদ সম্মেলনে এই আইনের পক্ষে শক্ত অবস্থান তুলে ধরেন। তিনি বলেন, 'মিথ্যা তথ্য' পরিবেশ না করলে সাংবাদিকদের এই আইন নিয়ে উদ্বিগ্ন হবার কিছু নেই।

তবে আইনের সংশোধনীর দাবিতে ১৫ অক্টোবর রাজধানী ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ঢাকা থেকে প্রকাশিত সংবাদপত্রগুলোর সম্পাদকরা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।

৯. রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন চুক্তিগত বছরের ১৭ জানুয়ারি বাংলাদেশ আর মিয়ানমারের সরকার রোহিঙ্গা মুসলিমদের প্রত্যাবাসনের জন্য একটি চুক্তি করেছে। চুক্তি অনুযায়ী মিয়ানমার প্রতিদিন ৩০০ করে প্রতি সপ্তাহে ১৫০০ রোহিঙ্গাকে ফেরত নেবে এবং দুই বছরের মধ্যে এই রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন শেষ করা হবে।

তবে ঠিক কখন এই প্রত্যাবাসন শুরু হবে সেটি তখন না জানালেও ১৫ নভেম্বর তারিখে প্রথম দফায় প্রত্যাবাসন শুরু হওয়ার কথা ছিল। প্রথম দফায় দুই হাজারের কিছু বেশি রোহিঙ্গাকে তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল। মিয়ানমারের পক্ষ থেকেই তাদের যাচাই করে এই তালিকা দেয়া হয়েছে। প্রত্যাবাসন শুরু হওয়ার কথা থাকলেও ফিরতে রাজি না রোহিঙ্গারা।১৫ নভেম্বর প্রথম দিন দেড়শ জনের মতো রোহিঙ্গাকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর কথা থাকলেও সেটি পরে সম্ভব হয়নি।

এদিকে মিয়ানমার সরকার দাবি করেছিল, বাংলাদেশ সরকার ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন শেষ না হওয়া পর্যন্ত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন পিছিয়ে দিতে চাইছে। তবে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বিষয়টি নাকচ করে দিয়ে বলেছিলেন, ‘সেটা হয়নি কারণ যারা যাবেন তারা রাজি হয়নি। এখানে আমরা যেটা বুঝেছি যে এখানে আস্থার সংকট আছে তাদের।’

তথ্য সূত্র: বিবিসি অনলাইন।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে