ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১

বিশ্বরেকর্ড: টি-টোয়েন্টিতে ৫৪৯ রানের অবিশ্বাস্য ম্যাচ, গড়লো যত রেকর্ড

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৪ এপ্রিল ১৬ ১০:২৭:৩১
বিশ্বরেকর্ড: টি-টোয়েন্টিতে ৫৪৯ রানের অবিশ্বাস্য ম্যাচ, গড়লো যত রেকর্ড

টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। তারা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেটের বিনিময়ে ২৮৭ রানের বিশাল ইনিংস গড়ে তোলে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে বেঙ্গালুরু নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটের বিনিময়ে ২৬২ রান সংগ্রহ করে। ২৫ রানের ব্যবধানে ম্যাচ জেতে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। সুতরাং, চিন্নাস্বামীতে এদিন ম্যাচের দুই ইনিংস মিলিয়ে সাকুল্যে ৫৪৯ রান ওঠে, যা টি-২০ ক্রিকেটের ইতিহাসে বিশ্বরেকর্ড।

সোমবারের ম্যাচে একাধিক রেকর্ড হয়। সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ৩ উইকেটে ২৮৭ রানের বিরাট স্কোর করে। এটি আইপিএলের ইতিহাসে এক ইনিংসে করা সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। এই রান তাড়া করতে নেমে আরসিবি শেষ পর্যন্ত হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করে। তবে শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেটে ২৬২ রানেই থেমে যায় তাদের ইনিংস। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে এটি আবার সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। ম্যাচটি উভয় ইনিংসে ৩৮টি ছক্কা হয়। সেটিও রেকর্ড। এছাড়াও উভয় দল মিলে এদিন মোট ৫৪৯ রান করেছে, এটিও রেকর্ড স্কোর।

ট্র্যাভিস হেড এদিন চিন্নাস্বামীতে ধ্বংসাত্মক শতরান করেন। মারকাটারি অর্ধশতরান করেন এনরিখ ক্লাসেন। হেড ৩টি চার ও ৫টি ছক্কার সাহায্যে মাত্র ২০ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। তিনি শতরানের গণ্ডি টপকান ৯টি চার ও ৮টি ছক্কার সাহায্যে মাত্র ৩৯ বলে। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে এটি আইপিএলের ইতিহাসের দ্রুততম শতরান। সার্বিকভাবে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়র লিগের ইতিহাসে এটি চতুর্থ দ্রুততম সেঞ্চুরি। হেড শেষমেশ ৪১ বলে ১০২ রান করে আউট হন।

ক্লাসেন ২টি চার ও ৫টি ছক্কার সাহায্যে ২৩ বলে হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। তিনি ২টি চার ও ৭টি ছক্কার সাহায্যে ৩১ বলে ৬৭ রান করে মাঠ ছাড়েন। এছাড়া ২২ বলে ৩৪ রান করেন অভিষেক শর্মা। মারেন ২টি চার ও ২টি ছক্কা। ১৭ বলে ৩২ রান করে অপরাজিত থাকেন এডেন মার্করাম। তিনিও ২টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন। ৪টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ১০ বলে ৩৭ রান করে নট-আউট থাকেন আবদুল সামাদ।

আরসিবির হয়ে ৪ ওভারে ৫২ রান খরচ করে ২টি উইকেট সংগ্রহ করেন লকি ফার্গুসন। ৪ ওভারে ৬৮ রান খরচ করে ১টি উইকেট নেন রিস টপলি। ৪ ওভারে ৫১ রান খরচ করেন যশ দয়াল। কোনও উইকেট পাননি তিনি। বিজয়কুমার বৈশাক ৪ ওভারে ৬৪ রান খরচ করেও উইকেটহীন থাকেন।

পালটা ব্যাট করতে নেমে ধ্বংসাত্মক মেজাজে ইনিংস শুরু করে আরসিবি। তারা পাওয়ার প্লে-র ৬ ওভারে কোনও উইকেট না হারিয়েই ৭৯ রান সংগ্রহ করে নেয়। শেষে কোহলি ২০ বলে ৪২ রান করে আউট হন। তিনি ৬টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন। ২৮ বলে ৬২ রান করে সাজঘরে ফেরেন ফ্যাফ ডু'প্লেসি। তিনি ৭টি চার ও ৪টি ছক্কা মারেন।

উইল জ্যাকস ৭, রজত পতিদার ৯ ও সৌরভ চৌহান ০ রানে আউট হন। ছয় নম্বরে ব্যাট করতে নেমে দীনেশ কার্তিক ৪টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে ২৩ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। তিনি শেষমেশ ৩৫ বলে ৮৩ রানের ধ্বংসাত্মক ইনিংস খেলে মাঠ ছাড়েন। মারেন ৫টি চার ও ৭টি ছক্কা।

এছাড়া মহীপাল লোমরোর ২টি ছক্কার সাহায্যে ১১ বলে ১৯ রান করেন। ৫টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১৪ বলে ২৫ রান করে অপরাজিত থাকেন অনূজ রাওয়াত। আরিসিবি নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটের বিনিময়ে ২৬২ রান সংগ্রহ করে। ২৫ রানের ব্যবধানে ম্যাচ জেতে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। সুতরাং, চিন্নাস্বামীতে এদিন ম্যাচের দুই ইনিংস মিলিয়ে সাকুল্যে ৫৪৯ রান ওঠে, যা টি-২০ ক্রিকেটের ইতিহাসে বিশ্বরেকর্ড।

সানরাইজার্স দলনায়ক প্যাট কামিন্স ৪ ওভারে ৪৩ রান খরচ করে ৩টি উইকেট দখল করেন। ৪ ওভারে ৪৬ রান খরচ করে ২টি উইকেট নেন মায়াঙ্ক মার্কান্ডে। ম্যাচের সেরা হন ট্র্যাভিস হেড।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



রে