ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সৌম্যর সেঞ্চুরির উদযাপনটা ছিল দেখার মতো

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০১৮ অক্টোবর ১৯ ২১:০৫:৫৯
সৌম্যর সেঞ্চুরির উদযাপনটা ছিল দেখার মতো

বিজয়া দশমী আজ। সনাতন ধর্মাবলম্বী বাঙালিদের সর্ববৃহৎ উৎসব দুর্গাপূজার শেষ দিন। জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) ম্যাচ না থাকায় দিনটি গ্রামের বাড়ি সাতক্ষীরায় কাটাতে চেয়েছিলেন সৌম্য সরকার। জাতীয় লিগের তৃতীয় রাউন্ড শেষ করেই খুলনা থেকে সরাসরি সাতক্ষীরায় যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তার। কিন্তু খুলনা থেকে বাঁহাতি এই ওপেনারকে ছুটে আসতে হলো ঢাকায়।

ঢাকা থেকে সৌম্য গেলেন সাভারের বিকেএসপিত। বিসিবি একাদশের হয়ে খেলতে হলো জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ। এসে যেন শাপে বর হলো। ভ্রমণের ক্লান্তি উপেক্ষা করে হাঁকিয়েছেন দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি। অথচ আগের দিনই শেষ হয়েছে জাতীয় লিগের তৃতীয় রাউন্ড।

তৃতীয় রাউন্ডে খেলে ও দীর্ঘ ভ্রমণে শারীরিকভাবে খানিকটা ক্লান্ত থাকলেও মানসিকভাবে শক্ত ছিলেন সৌম্য। প্রস্তুতিটাও নিয়েছিলেন সেভাবেই। আর তাতেই ১১৪ বলে ১০২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলা সম্ভব হয়েছে বলে মনে করছেন তিনি।

ম্যাচ শেষে সৌম্য বলেন, ‘শারীরিক দিক থেকে একটু কঠিন ছিল। মানসিক দিক দিয়ে অন্যভাবে প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। খেলতে যেহেতু হবে, ওভাবে না ভেবে রাতের মধ্যে যতটুকু সম্ভব রিকভারি করে খেলা যায়। সকালবেলায়ও একটা জার্নি ছিল। সেসব মাথায় না নিয়ে চেষ্টা করেছি, যতটা সম্ভব স্বাভাবিক খেলা যায়। যতক্ষণ সুস্থ থাকব বা শরীর পারমিট করবে, প্রপার ক্রিকেট খেলব।’

এই ম্যাচে বিসিবি একাদশকে নেতৃত্বও দিয়েছেন সৌম্য। গেল ১৭ অক্টোবর সৌম্যর নেতৃত্বে প্রস্তুতি ম্যাচের স্কোয়াড ঘোষণা করে বিসিবি। তার আগেই বাড়ি যাওয়ার পরিকল্পনা করে ফেলেছিলেন সৌম্য। এমনকি এই ম্যাচ সম্পর্কে অবগত ছিলেন না তিনি।

এ বিষয়ে সৌম্যর ভাষ্য, ‘প্রথমে তো এই খেলা আছে, জানতাম না। খুলনাতেই ছিলাম, পরিকল্পনা ছিল বাড়িতে যাব। হঠাৎ করে বলা হলো, খেলতে হবে। প্রথমে একটু খারাপ লেগেছিল। অনেক দিন পর একটা ছুটি পেয়েছিলাম; সেটাও মিস। আবার চিন্তা করলাম, যেহেতু খেলতেই হবে, এসব চিন্তা না করাই ভালো। মনোযোগ দিয়ে খেলাই ভালো। সেই চেষ্টাই করেছি।’

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



রে