ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সিলেটের ব্যাটিংয়ের দৈন্যদশা কেন তা নিয়ে যা বললেন তুষার ইমরান

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৩ জানুয়ারি ২৭ ২০:৩৪:২৪
সিলেটের ব্যাটিংয়ের দৈন্যদশা কেন তা নিয়ে যা বললেন তুষার ইমরান

শেষ তিন ম্যাচেই সিলেট স্ট্রাইকার্সের টপ অর্ডার ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। গত খেলায় ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত হাল ধরায় রক্ষা। না হয় হয়তো টানা ৫ খেলায় জেতার পর পরপর ৩ ম্যাচে হারতে হতো।

এর মধ্যে আজ শুক্রবার সিলেটে চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে মাশরাফির সিলেট। শুরু থেকেই চরম বিপদে। ১৮ রানে ৭ উইকেট খুইয়ে একদম খাদের কিনারায় পড়ে যাওয়া। শান্ত ৯, টম মুরস ২, তৌহিদ হৃদয় ০, জাকির হাসান ০, মুশফিক ০, ইমাদ ওয়াসিম ১, থিসারা পেরেরা ৩- কেউই মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেননি।

তারপর পেসার তানজিম হাসান সাকিব আর অধিনায়ক মাশরাফির হাক ধরে ৯২ রান পর্যন্ত পৌঁছালেও শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেটে হার হয় সঙ্গী।

ঠিক আগের ম্যাচে শেরে বাংলায় রংপুর রাইডার্সের সাথেও টপ অর্ডার ক্লিক করেনি সিলেটের। শুরুতে মাত্র ১৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়ে মাশরাফির দল। সেখান থেকে শান্তর দৃঢ়তায় (৮৯*) ১৭০‘র ঘরে পা রেখে কোনোমতে ২ রানে জয়ী হয় মাশরাফির দল।

তার আগের খেলায় কুমিল্লার বিপক্ষে ২০ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে শুরুতে মুখ থুবড়ে পড়েছিল সিলেট। পরে ১৩৩ রানে থেমে ৫ উইকেটে হার মানে তারা।

প্রথম ৫ খেলায় টানা জয়ের পর শেষ তিন ম্যাচের দুটিতে হার আর তিনটিতেই ফ্রন্টলাইনারদের জ্বলে উঠতে না পারা-সিলেটের এই ব্যাটিং অর্ডারের ভগ্নদশার কারণ কী?

সিলেটের ব্যাটিং কোচ তুষার ইমরান আজকের ম্যাচ নিয়ে বলেন, ‘আজ উইকেট বুঝতে সময় লেগেছে। তবে রংপুরের বোলাররা খুবই ভালো বোলিং করেছে।’

তুষার বোঝানোর চেষ্টা করেন, এ উইকেটে আগে ব্যাটিং করা সহজ ছিল না। তাই মুখে এমন কথা, ‘টস ভাইটাল হয়ে গেছে। আমরা জিতলেও ফিল্ডিং করতাম। প্রথম তিন-চারটা ওভারে বল মুভ করেছে। মুশফিকেরটা গ্রেট ডেলিভারি ছিল। আমাদের ব্যাটারদের ভুল আছে। সেটা কাটিয়ে উঠতে পারলে পরের ম্যাচে ভালো করবো।’

মুশফিকের আউট হওয়াটাই টার্নিং পয়েন্ট বলে মনে করেন অনেকে। আফগান ফাস্টবোলার আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের ইনকাটার অফস্টাম্পের বাইরে থেকে ভেতরে ঢুকে মুশফিকের উইকেট ভেঙে দেয় চোখের পলকে। তুষারের মতে, ‘বলটা বেশি ভালো হয়েছে বলে আউট হয়ে গেছে।’

তুষার মানছেন, তার দল শেষ তিন ম্যাচেই ভালো ব্যাটিং করেনি। সে ব্যর্থতা কাটিয়ে ওঠা খুব জরুরী বলেও মনে হয় তার।

সিলেটের ব্যাটিং কোচ বলেন, ‘শেষ তিন ম্যাচে আমরা ওপরের ব্যাটিংয়ে স্ট্রাগল করেছি। এটা কাটিয়ে উঠতে হবে। তবে এক-দুই ব্যাটার যদি শেষ পর্যন্ত থাকতে পারতো, যেমনটা শান্ত করেছিল গত ম্যাচে, বরিশালের সঙ্গে আমরা ১৭৪ করেছিলাম।’

‘আজ যদি একজন ব্যাটার শেষ পর্যন্ত থাকতো তাহলে ১৬০-১৭০ হয়ে যেতো। কেউই সেটা করতে পারেনি। তারপরও মাশরাফি ও সাকিবকে (তানজিম) ক্রেডিট দিতে হবে। কারণ ৫-৬ উইকেট পড়ে যাওয়ার পরও সেখান থেকে একশর কাছাকাছি পৌঁছে দিয়েছে তারা’-যোগ করেন তুষার ইমরান।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



রে