ঢাকা, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১

সর্বনিম্ন তাপমাত্রার কারণে যেসব জেলায় স্কুল বন্ধ ঘোষণা

জাতীয় ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৪ জানুয়ারি ২৩ ১২:১৭:০০
সর্বনিম্ন তাপমাত্রার কারণে যেসব জেলায় স্কুল বন্ধ ঘোষণা

শীত তার ডানা মেলেছে দেশজুড়ে। শৈত্যপ্রবাহ ও ঘন কুয়াশার কারণে জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। অনেক জেলায় কয়েকদিন ধরে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রেকর্ড করা হচ্ছে। ফলে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী ওই সব জেলার স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্লাসের সময়সূচীতেও পরিবর্তন এনেছে।

১৬ জানুয়ারি, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর একটি নির্দেশনায় ঘোষণা করেছে যে ঠান্ডা আবহাওয়ার ক্ষেত্রে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলি স্কুল ও কলেজের মতো বন্ধ থাকবে। কোনো জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে গেলে ওই জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ করে দেওয়া হবে।

এই নির্দেশনা অনুযায়ী দেশের বিভিন্ন জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করায় মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) প্রায় ২৬টি জেলায় স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

সব জেলায় তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নেমে যাওয়ায় রংপুর বিভাগের সব প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করেছে প্রাথমিক শিক্ষা ও গণশিক্ষা অধিদফতরের বিভাগীয় উপ-পরিচালকের কার্যালয়।

এ বিভাগের আট জেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে চার হাজার ৩৬৫টি। এ ছাড়া বেসরকারি নিবন্ধিত প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে ৩ হাজার ৯৪৬টি, মাদ্রাসা ১ হাজার ৫৩৮টি এবং অধিভুক্ত মাদ্রাসা রয়েছে ১ হাজার ৫৪৮টি।

রংপুর জেলায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনাজপুরে ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি, কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ৭ দশমিক ৫, নীলফামারীর ডিমলায় ৮ দশমিক ৫, সৈয়দপুরে ৮ দশমিক ৬, লালমনিরহাটে ৮ দশমিক ১, ঠাকুরগাঁওয়ে ৮, পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ৭ দশমিক ১ এবং গাঁওবান্ধায় ৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

রাজশাহী বিভাগের সব জেলায়ও স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। রাজশাহী ছাড়া এ বিভাগের ৮ জেলায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে। শুধুমাত্র রাজশাহীতে মাধ্যমিক বিদ্যালয় খোলা।

মঙ্গলবার সকাল ৯টায় রাজশাহীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি। এদিকে সকাল ৯টায় বগুড়ায় ৯, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৭ দশমিক ৮, নওগাঁয় ৯, নাটোরে ৯, পাবনায় ৮, জয়পুরহাটে ৯ ও সিরাজগঞ্জে ৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল।

মঙ্গলবার সকালে খুলনা বিভাগের ৬ জেলার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ বিভাগের চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকাল ৯টায় খুলনা জেলায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া যশোরে ৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি, কুষ্টিয়ায় ৯ ডিগ্রি এবং সাতক্ষীরায় ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে যাওয়ায় এসব জেলায় স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। খুলনা বিভাগীয় প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের উপ-পরিচালক মোসলেম উদ্দিন এবং খুলনা বিভাগীয় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক রুহুল আমিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

খুলনা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ সিনিয়র আবহাওয়াবিদ আমিরুল আজাদ বলেন, মেহেরপুর চুয়াডাঙ্গা অফিসের অধীনে। এছাড়া আগামীকাল থেকে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে।

ঢাকা বিভাগে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে টাঙ্গাইলে ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ফরিদপুরে ৭ দশমিক ৫, মাদারীপুরে ৮ দশমিক ৩, গোপালগঞ্জে ৭ দশমিক ৮ এবং কিশোরগঞ্জে ৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এদিকে সিলেট বিভাগের কোনো জেলায় স্কুল বন্ধ হয়নি। মঙ্গলবার সিলেট জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা গতকাল ছিল ১৩.৬ ডিগ্রি।

সিলেট জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আবু সাঈদ আব্দুল ওয়াদুদ জানান, সিলেট বিভাগের মধ্যে শ্রীমঙ্গলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রয়েছে। এটি দেখা যায় যে এই এলাকার তাপমাত্রা রাতে বা সকালে ১০ ডিগ্রি বা তার নিচে নেমে যায়। তবে সকালের আগে তাপমাত্রা ১১ বা ১২ ডিগ্রির উপরে, তাই স্কুলগুলি বন্ধ করার দরকার নেই।

এ ছাড়া তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে না নামায় এখন পর্যন্ত ময়মনসিংহ, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়নি।

যখন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে পড়ে তখন তাকে মৃদু বর্ষা বলে। এবং তাপমাত্রা ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে গেলে এটি একটি মাঝারি ঠান্ডা স্রোতে পরিণত হয়। এবং ৪ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় একটি অত্যন্ত ঠান্ডা স্রোত রয়েছে।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে