ঢাকা, শনিবার, ৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১

০*, ০, ০*, ০,ইবাদত হোসেন

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০১৯ মার্চ ১২ ১৯:৩৫:২৬
০*, ০, ০*, ০,ইবাদত হোসেন

কামরুল ইসলামকে তাহলে টপকেই গেলেন ইবাদত হোসেন!

২০১৬ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষিক্ত কামরুল ইসলাম। এখনো পর্যন্ত ৭টি টেস্ট খেলে ৮ উইকেট পেয়েছেন। যদিও তাঁর মূল দায়িত্ব ব্যাটিং নয়, ব্যাটিংয়েও ৫১টা রান আছে নামের পাশে। সেখানে মাত্র ২ টেস্ট খেলা ইবাদত উইকেট বা রান কোনো ক্ষেত্রেই তাঁকে টপকানোর সুযোগ পাননি। সুযোগ পাননি বলাটা হয়তো ভুল হবে। নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশনেও ২ টেস্টে ৮ উইকেট পাওয়ার সুযোগ ভালোই ছিল, বলা ভালো, করে নিতে পারেননি। তাহলে ইবাদত কীভাবে টপকালেন কামরুলকে?

২০১৬ সালে নিজের অভিষেক সিরিজে অনন্য এক রেকর্ডের কাছাকাছি ছিলেন কামরুল। চট্টগ্রামে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অভিষেকে দুই ইনিংসেই ব্যাট হাতে ০ নিয়ে ফিরেছিলেন। ঢাকায় দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসেও তা-ই। এমন ঘটনা অবশ্য নতুন কিছু নয়। ১৪০ বছরের টেস্ট ইতিহাস এমন কিছু ছয়বার দেখেছে। ক্যারিয়ারের প্রথম তিন ইনিংসেই ০ রানে আউট হওয়া এ ছয়জনের একজনের নাম মারভান আতাপাত্তু। ঢাকা টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে তাই প্রথম কোনো ব্যাটসম্যান হিসেবে প্রথম চার ইনিংসেই ডাক পাওয়ার রেকর্ড গড়ার শঙ্কায় ছিলেন কামরুল। বাংলাদেশি পেসার দ্বিতীয় ইনিংসে ৭ রান করে নিজেকে ও পরিসংখ্যানবিদদের স্বস্তি দিয়েছিলেন।

ইবাদতের ক্যারিয়ার মাত্র ২ টেস্ট লম্বা হলেও ৪ ইনিংস ব্যাট করার সুযোগ পেয়ে গেছেন। ৪ ইনিংস ব্যাট হাতে নামার পর তাঁর নামের পাশে রানের ঘরে কত লেখা? বেশ চকচকে একটা ০! তবে টেস্ট ইতিহাসের সবচেয়ে বাজে শুরুর রেকর্ডটা ইবাদতের ঘাড়ে দিয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। দুই টেস্টেই প্রথম ইনিংসে অপর প্রান্তে সঙ্গীরা আউট হয়ে যাওয়ায় অপরাজিত থেকেই মাঠ ছাড়তে পেরেছেন ইবাদত। ফলে ২ টেস্টের ক্যারিয়ারে ইবাদতের সংগ্রহে এখনো দুটি ডাক, দুটি নটআউট শূন্য।

অবশ্য ৪ ইনিংস মিলিয়ে মাত্র ৭ বল খেলতে পারার দুর্ভাগ্যকে চাইলে দায় দেওয়া যেতে পারে। আর দলের মূল ব্যাটসম্যানরা যেখানে ওয়াগনার-বোল্টদের সামলাতে পারছেন না, সেখানে ইবাদতের কাছে দলের আর কীই-বা চাওয়ার থাকতে পারে? তবে ৪ ইনিংস ব্যাট করলেন, এখনো রানের দেখা পেলেন না! ইবাদত দ্রুত রানের খাতা খুলতে তো চাইবেনই। ১ রান হলেও সই!

ইবাদত অবশ্য সান্ত্বনা পাবেন যে টেস্ট ক্যারিয়ারে তাঁর চেয়েও বাজে শুরু আছে আরও অনেকের। টেস্টে নিজের প্রথম তিন ইনিংসে তিনটি ডাক পেয়েছিলেন লাসিথ মালিঙ্গা। দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে আর ব্যাট করতে হয়নি বলে বেঁচে গিয়েছেন মালিঙ্গা। টেস্টে নিজের প্রথম তিন ইনিংসে শূন্য পাওয়ার প্রথম ঘটনা টমি ওয়ার্ডের রেকর্ডও ভালো কিছু নয়। দক্ষিণ আফ্রিকার এই ক্রিকেটার ১৯১২ সালে অভিষেকের পর আসলে নিজের চার ইনিংসেই শূন্য করেছিলেন। তবে শেষ ইনিংসে অপরাজিত ছিলেন, তাই টানা চার ইনিংসে শূন্য করার রেকর্ডটি হয়নি।

১৯৭৮ সালে অভিষিক্ত ব্রেন্ডন ব্রেসওয়েলও একই কীর্তি করেছেন। নিউজিল্যান্ডের এই ডানহাতি পেসারও নিজের প্রথম চার ইনিংসে কোনো রান করতে পারেননি। দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে অপরাজিত থেকে টমি ওয়ার্ডের মতোই বেঁচে গিয়েছেন ব্রেসওয়েল।

শূন্য রান নিয়ে ক্যারিয়ার শেষ করার অনেক ঘটনাই আছে। তবে আর্থার মোল্ডের মতো দুর্ভাগার দেখা মেলেনি। ১৮৯৩ সালে সফররত অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তিনটি টেস্ট খেলেছিলেন এই ইংলিশ পেসার। মাত্র ৭ উইকেট আর প্রশ্নবিদ্ধ বোলিং অ্যাকশনে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার লম্বা হয়নি। ৩ টেস্টের ক্যারিয়ারে তিনবার ব্যাট করেও কোনো রান নিতে পারেননি মোল্ড। টেস্টে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ ও ইনিংস খেলেও শূন্য রান নিয়ে ক্যারিয়ার শেষ করার রেকর্ডটি এখনো তাঁর। ক্রাইস্টচার্চ টেস্টে দলে থাকলে উইকেট পান আর না পান, ব্যাট হাতে অন্তত ১ রান করার চেষ্টা যে করবেন ইবাদত, সেটা নিশ্চিত!

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



রে