ঢাকা, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

১৫ ম্যাচে নিলেন ২৮ উইকেট, বিশ্বকাপের আগে আমিরের জেরক্স কপি খুজে পেল বিসিবি

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৪ মে ০৯ ১৩:৪৫:৪১
১৫ ম্যাচে নিলেন ২৮ উইকেট, বিশ্বকাপের আগে আমিরের জেরক্স কপি খুজে পেল বিসিবি

বাংলাদেশ বর্তমানে পেসারদের স্বর্গ রাজ্যে পরিণত হয়েছে। পাইপ লাইনে আছেন বেশ কয়েক জন ভালো পেসার। দারুন বল করার পরও বাংলাদেশ দলে সুযোগ পাচ্ছেন না আবু হায়দার রনি, হাসান মাহমুদরা। আরও বেশ কয়েক জন উঠতি পেসার আছে যাদের ভবিষ্যতে সম্ভবনা আছে জাতীয় দলের হয়ে খেলার। তার মধ্যে অন্যতম পেসার রুয়েল মিয়া।

পাকিস্তানের পেসার আমিরের মত বল করেন তিনি। সুইং করাতে পারেন আমিরের মত। আর যখন কাটার করার সময় অনুসরণ করেন বাংলাদেশের কাটার মাস্টার ‍মুস্তাফিজকে।

রুয়েল সদ্য সমাপ্ত ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের হয়ে ১৫ ম্যাচে ১৯.৬৪ গড় ও ৪.৭৪ ইকোনমি রেটে ২৮ উইকেট নিয়ে সেরা উইকেট শিকারির তালিকায় দুইয়ে থেকে টুর্নামেন্ট শেষ করেছেন। তার চেয়ে এক ম্যাচ বেশি খেলে ও তিন উইকেট বেশি নিয়ে শীর্ষে আবু হায়দার রনি। যা হোক, সেই রুয়েলের কাছেই জানতে চাওয়া হয়েছিল, তা পছন্দের ডেলিভারি কি এবং বোলিংয়ে তার আইডল কে।

টোয়েন্টিফোর লাইভ নিউজপেপারের সঙ্গে একান্তে আলাপকালে সে বিষয়টিই খোলাসা করেছেন, হবিগঞ্জের এই বাঁহাতি পেসার। তিনি বলছিলেন, ‘আমাকে আরও বৈচিত্র শিখতে হবে। কারণ শেখার কোন শেষ নেই। আম যত বেশি বৈচিত্র আমার বোলিং যোগ করতে পারব, ততই আমার জন্য ভালো। ইন-সুইং, আউট-সু্ইং দুটোই আমি পারি। যেহেতু আমার বোলিং অ্যাকশনটা মোহাম্মদ আমিরের মত, সেহেতু আমি সুইংয়ের ক্ষেত্রে তাকেই অনুসরণ করি। আর কাটার, স্লোয়ার ও ডেথ ওভারে বোলিংয়ের ক্ষেত্রে আমি মোস্তাফিজ ভাইকে অনুসরণ করি।’

যেহেতু আমির হাতের নাগালে নেই, তাই তার থেকে টোটকা নেওয়া সম্ভব না হলেও মোস্তাফিজের সঙ্গে হরহামেশাই কথা হয় রুয়েলের এব মোস্তাফিজও তাকে ফিরিয়ে দেন না। ‘আমির ভাইকে তো আর পাওয়া যায় না। তবে মোস্তাফিজ ভাইয়ের সঙ্গে কথা হয়। তিনি আমাকে টিপস দেন। এছাড়াও কামরুল ইসলাম রাব্বি, আবু জায়েদ রাহি ভাইয়ের সঙ্গেও আমার কথা হয়। চেষ্টা করি তাদের থেকে টিপস নিতে।’

দেশের ক্রিকেটের মেরুদন্ডখ্যাত এই ঢাকা লিগে পারফর্ম করেই আজ জাতীয় দলে জায়গা করে নিয়েছেন সাকিব, তামিম, লিটন দাস কিংবা নাজমুল হোসেন শান্তরা। অর্থাৎ সাদা বলের ক্রিকেটে যারা জাতীয় দলের আঙিনায় আসেন তারা সবাই ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের পারফর্মার। রুয়েলও তাই একন সেই স্বপ্ন বুনতে শুরু করেছেন। কারণটাও তো কম সঙ্গত নয়। দেশের ঘরোয়া লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ আসরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি তিনি।‘দেখেন সবারই জাতীয় দলে খেলার স্বপ্ন থাকে। আমারও আছে। কারণ, আমি দেশের হয়ে খেলতে চাই ও দেশের হয়ে সম্মান বয়ে আনতে চাই। আমার লক্ষ্য থাকবে আমি স্রেফ খেলার জন্য নয়, দেশকে জেতানোর জন্যও খেলব যাতে করে সবাই আমাকে মনে রাখে।’

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



রে