ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১

সৌদিতে আকামা জটিলতায় হাজারো বাংলাদেশী প্রবাসী

বিশ্ব ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০১৮ মে ২৮ ১০:৫৬:৪৯
সৌদিতে আকামা জটিলতায় হাজারো বাংলাদেশী প্রবাসী

সেখানে লাখ লাখ টাকা খরচ করে যাওয়া শ্রমিকরাই বলছেন, এই মুহূর্তে বাংলাদেশ থেকে কেউ যেনো সৌদি আরবে আসার চিন্তাও না করে। এলে শুধু পদে পদে বিপদ আর বিপদ রয়েছে বলে হুঁশিয়ার করেন তারা।

যদিও কোম্পানি থেকে তাদের আকামা করে দেয়ার নিয়ম তবুও অধিকাংশ কোম্পানিই সেটি করছে না। এর কারণে এরমধ্যে যারা পুলিশি অভিযানে ধরা পড়ছেন তাদের সৌদি সরকারের জাকাত ফান্ডের খরচে ১৫ দিনের মধ্যে বিমানের টিকিট দিয়ে দেশে ফেরত পাঠানো হচ্ছে।

এ দিকে ঢাকা থেকে রিক্রুটিং এজেন্সির পাঠানো শতাধিক শ্রমিক প্রতিদিন আকামা সমস্যা, কোম্পানিতে কাজ না থাকাসহ নানা সমস্যা নিয়ে সৌদি আরবে বাংলাদেশ দূতাবাসে ভিড় করছেন।

দূতাবাসের লেবার উইংয়ের কর্মকর্তারা তাদের সমস্যা সমাধানে চেষ্টা অব্যাহত রাখছেন বলে জানা গেছে। লেবার উইংয়ের এক কর্মকর্তা নয়া দিগন্তকে বলেছেন, বর্তমানে সৌদি আরবে বিদেশী শ্রমিকদের আকামাসহ যেসব সমস্যা বিরাজ করছে,

সেটি দূতাবাসের একার পক্ষে সমাধান করা সম্ভব নয়। এসব অভিযোগের বিষয়টি ঢাকায় লিখিতভাবে প্রতিবেদন পাঠানো হচ্ছে। তিনি মনে করেন, এসব সমস্যার সমাধান সৌদি সরকারের সংশ্লিষ্ট ডিপার্টমেন্টের হস্তক্ষেপ ছাড়া হবে না।

তবে রিয়াদের অদূরে এবিভিরক নামক একটি কনস্ট্রাকশন কোম্পানিতে লেবার উইংয়ের তত্ত্বাবধানে কাজ না থাকা ৫০০ শ্রমিককে (রিপ্লেস) বিভিন্ন পদে চাকরিতে নিয়োগ দেয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

সৌদি আরবে পাড়ি জমানো একাধিক প্রতারিত শ্রমিক গতকাল জানান, ৫-৬ লাখ টাকা খরচ করে সৌদি আরবে যাওয়ার পরও চাকরি নেই এমন শ্রমিকের এখন অভাব নেই। বর্তমানে সৌদি আরবের পরিস্থিতি খুব ভালো নয়।

নির্মাণপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ হয়ে আছে। আর যেগুলো সচল সেগুলোও সেøা। ফলে হাজার হাজার শ্রমিক বিপদের মধ্যে আছে। আকামা নেই, কাজ নেই, বেতন নেই এমন ৫০-১০০ জন শ্রমিক গড়ে প্রতিদিন বাংলাদেশ দূতাবাসে ভিড় জমাচ্ছেন।

তারা বলছেন, ঢাকা থেকে রিক্রুটিং এজেন্সি ও তাদের দালালরা এখানকার ফাইভ স্টার হোটেলের ছবি দেখিয়ে ৫-৬ লাখ টাকা নিয়ে সৌদি আরব পাঠিয়ে দিচ্ছে। কিন্তু যাওয়ার পর জানতে পারেন, আসলে তাদের সাথে প্রতারণা করা হয়েছে।

ক্লিনিংয়ের কাজে বেতন ১০০০ রিয়ালের কথা বলে নিলেও শ্রমিকরা ৫০০ রিয়ালের বেশি বেতন পাচ্ছেন না।সেখানে একজনের আকামা তৈরি করতে ৮-৯ হাজার সৌদি রিয়াল। বাংলাদেশী টাকায় পৌনে ২ লাখ টাকার মতো।

এর সাথে ‘টেবিল খরচ’ মিলিয়ে দুই লাখ টাকা পড়ে যায়। নারী শ্রমিকরাও সমস্যার মধ্যে রয়েছেন। তবে আগের তুলনায় অনেক কম।তাই আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি হওয়ায় বাংলাদেশীসহ প্রবাসী বিদেশী শ্রমিকরা এখন স্বেচ্ছায় দেশটি থেকে চলে যাচ্ছে।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে